কাউকে বেশি ভালোবেসো না
কাউকে কখনো বেশি প্রেম দিতে নেই
ঝড়ের কবলে পড়া বৃক্ষের মতন
ভেঙেও পড়তে নেই
অপেক্ষায় নিজেকে পোড়াতে নেই আপন চিতায়
ভালোবাসায় নিজেকে বুড়িগঙ্গায় ডুবিয়ে মেরো না কখনো
যে তোমার আগুনে পোড়ে না
যে তোমার তীব্র প্রার্থনায় নেমে আসে না প্রাসাদ থেকে
তার জন্য কখনোই নিজে পুড়িও না
কাউকে ভালোবেসো না খুব বেশি
যে তোমার তৃষ্ণায় তৃষিত নয়
তুমি কেন তাকে দাও মেঘ, জল দাও রাত্রিদিন?
ফিরে যাচ্ছি
তোমাদের রামধনু মেঘের নগরে
জানি না এসেছিলাম কতটুকু আমি
ফিরে যাচ্ছি তারও অধিক
এখানে সবুজ ফসলের গান-সুর
রুপালি নদীর ঢেউ-সরল মানুষ
বাউলের একতারা কোনোটাই নেই
শুধু রঙ আছে-সুন্দর মুখশ্রী আছে
নিজের সাজানো মনগড়া কথা আছে
ফিরে যাচ্ছি বেদনার অধিক বেদনা নিয়ে
এ আমার রোগ নাকি শোক!
কিভাবে এতটা নুয়ে থাকে মেরুদণ্ডহীনতায়!
যাদের ভেবেছি ব্যক্তিত্বে হীরকদ্যুতি
স্বার্থের গোপন গুহায় নিজেকে বেচে দেয় তারা
সকাল বিকাল মধ্যরাত;
ভেবেছি তাদের দৃঢ় পর্বত সমান।
এখন তো দেখি সবই যে মুখোশের কারুকাজ
নিখাদ ভণ্ডের কণ্ঠে জীবনের গান
নির্লজ্জ লোভের লম্বা জিহ্বা চেটে খায় মলমূত্র যেখানে যা পায়,
সামান্য আলোও থাকে না তো বুকের গহিনে,
অথচ তারাই দেবতার চেহারা অন্তরে আমাদের।
মানুষের কত রূপ!
ভালোবাসা ভুলভাল অঙ্কে ভরে যায়
দেবতার মতো করে রেখেছি যাদের অন্তর দেউলে,
এই ভয়াবহ ভুলে নিজেই এখন নিজেকেই ছিঁড়ে ফেলি
ছিন্নভিন্ন করে ছুড়ে ফেলি ভাগাড়ের দুর্গন্ধের স্তূপে।
এই বেদনায় নিজেরই হৃৎপিণ্ড
টুকরো টুকরো করে সালাদ বানিয়ে খাই
গড়াই ব্রিজের এককোণে নিবিড় আড়ালে,
অজপাড়াগাঁ’র মাঝরাতে অন্ধকারে আমি একা,
এ আমার রোগ? নাকি অবিশ্রান্ত শোক?