আদম-ক্বাবা
ডান-বাম বলে কিছু নেই
সত্য এবং মিথ্যাও তর্কসাপেক্ষ
বৃত্তের আবার পূর্ব-পশ্চিম কী?
দিন ও রাত্রির ঘূর্ণাবর্ত আলো-ছায়ার খেলামাত্র।
যা ব্যপ্ত, সর্বত্র, তা প্রেম, যা অভীষ্ঠ, তা মানুষ।
আমি দিনের আলো বা রাতের অন্ধকারে
মানুষের কাছে আসি, ডানের বা বামের
ক্রোধের ও কামের, সুগন্ধী বা ঘামের
মূল্যহীন বা দামের, সুনাম-বদনামের,
সকল মানুষের কাছে,
সত্যমানুষ বা মিথ্যামানুষ আমার হৃদয়ে
এখন তোলে না ভিন্ন তরঙ্গ, মানুষের সঙ্গ-সাধনাই ব্রত…
অনবরত আমি হাঁটি,
কথা বলে ঘাস-আকাশ, পথের কাদা-মাটি
কোথায় ডেরা, কোথায় যাবা?
লক্ষ্য আমার আদম-ক্বাবা।
কর্ণফুলী
সভ্যতার নাকের ওপর দাঁড়িয়ে তুমি রোদ খাও?
তুমি আমার বোধ খাও।
সমৃদ্ধির বৃষ্টি দিলে?
চোখের আগুন ভিজিয়ে তুমি নীল পাথরের দৃষ্টি দিলে।
আমি এখন অন্ধ, বধির
নিঃশব্দে জল মাপি রোজ পূর্ব নদীর।
নদীর ঢেউয়ে দুলি
বুকের ভেতর হু হু কাঁদে দূরের কর্ণফুলী।
বায়োলজি
টানে, আমারে টানিয়া লয়, দূরের বায়োলজি
ছিল না আলাপ—দেখা, তবু তাঁর দেখা মেলে রোজই।
অথচ যাহার সাথে সামাজিক এ-রসায়ন
চলিছে সারাবেলা
হাড়ি ও গৃহ খেলা; গোপনে ঘটিতেছে নিবিড় পরাগায়ণ
সে শুধু দূরে থাকে, সে দূরে রহিয়াছে…
দূরের বায়োলজি, পায়েরই পদছায়া, থাকে সে কাছে কাছে।