পুতুল ফুলে
পৃথিবীর প্রতিটি নদী আর সড়কে গাঁথা আছে ভাতফুল।
আমরাও মানুষের অনঙ্গ নদী আর সড়কের বেদনা গিলে বানিয়েছি
তিলোত্তমা সই। তোমার যন্ত্রসুতার মই ধরে ড্রাকুলা হয়ে যাই;
তোমার যন্ত্রহাতে হয়ে যাই ফ্রাংকেনস্টাইন।
আমি চোখে রাখছি চোখ। হাসিতে রাখছি হাসি।
বুকে রাখছি বুক। একটি পাতার কোমল আস্তিনে রেখেছি মায়া—
চারদিকে এত পাষাণ-পাথর কেন?
বিন্নি ফুলের দিনগুলো হৃদয় ভাঙা হাহাকার
এঁটো মুখে লেগে আছে বিষণ্ন সকাল।
করোনা দিন গেলেই
ক্রান্তিকালে ধরা লাগে ধৈর্য
না হয় পাতে জুটে না গুচ্ছ গুচ্ছ ধান
মোহনার ঘূর্ণিগুলো খড়কুটা খুলছেই
ঝাপসা স্মৃতির দুয়ার ঘুছে গেলেই
বানানো হবে নতুন চঁই, বজরা ফুল,
কার্গো নৌ, ফিশিং ডন।
ক্রান্তিকালে ধরা লাগে ধৈর্য
না হয় পাতে জুটে না গুচ্ছ গুচ্ছ ধান
অথচ ভয়াল বণিক পাখি আবার উড়বেই!
জাহাজের বিশাল মটকায় মারণাস্ত্র ভ্রূণ ফুটবেই?
মানব ধ্বংসী বন-ধ্বংসী আগুন ফুল ঝরবেই?
ক্রান্তিকালে ধরা লাগে ধৈর্য
না হয় পাতে জুটে না গুচ্ছ গুচ্ছ ধান
পৃথিবীর যত বণিক-দাদন, গলায় পরো
ঐকতানের মালা
পাশে ঠিকই ফুটছে ফুল অরুণ
বিরতি মানেই থেমে যাওয়া নয়
ধল-পূর্ণিমায় থোকা থোকা আলোফুল দুলবেই।
ধান
গাছের শরীরঘন আনন্দে ডুবে ছিল পৃথিবীর শর্করা ধান—
নিজস্ব গন্ধ-কথার নিচে তুমিও খুলো
ধন-ধান্যের বান
বণিক ছন্দ যত বাড়ে তত কমে ঊর্বরতা
নিজের নাম-পরিচয় থান।