এক.
নমিত দুর্বাঘাসের সবুজের দিকে তাকাও,
দেখবে-অনেক আলো লুকিয়ে আছে
আছে অনেক কথার বিন্যাস-;অনেক প্রান্তর
পথ পেরিয়ে যাওয়া মানুষের ছায়া,
যারা একা ছিল, যারা একা থাকতে চায়-
লুকিয়ে রাখে ও একটুকরো আকাশ লুকায়!
দুই.
সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে আছি। আগেও ছিলাম-
হেরা পর্বতের গুহার কথা মনে পড়ে!
অথবা পদ্মার তীরে গভীর রাতে বাঁশি
বাজানোর স্মৃতি!
হাকালুকি হাওরের টলমল জল ভেদ করে
মধ্যদুপুরে চলন্ত নৌকোর গলুই কি একা
ছিল না সেদিন!
যেমন জলের কোলাহলে গভীর নির্জনতা
খুঁজে একটি দলভাঙা মীন!
তিন.
এই যে সঙ্গনিরোধের ছবি তুমি আমাকে
দেখাচ্ছ, তা আমি এঁকে রেখেছিলাম
অনেক আগেই।
বৃক্ষের সাথে গল্প, অথবা ধানক্ষেতের আ’ল
ধরে একাকী হেঁটে যাওয়াও
আমার একপ্রকারের স্বাধীনতা।
যখনই আমাকে অন্ধকার গ্রাস করেছে-
তখন আমার পাশে এসে
দাঁড়িয়েছে মঙ্গলের একক দেবতা!
চার.
আপাতত কারও দিকে তাকাবার কোনও
প্রয়োজন নেই। দেখার দরকার নেই
কারও মুখ,চোখ। বরং বিগত সকল চুম্বনের
স্মৃতি ভুলে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা উচিত
পাতাবাহারের ছায়ায়-
একটি রঙিন প্রজাপতি যেমন লাল
সন্ধ্যাটির গতি ভেদ করে উড়ে যায়।
পাঁচ.
আঁধার সাজাচ্ছে তার পেখম।হয়তো
পাখি হয়ে উড়বে আকাশে,
কিছু তারা হারিয়ে যাবে তার সাথে-
কিছু জোনাকি ফিরবে নিজের ঘরে,
যারা বনে বাস করে,
এই পৃথিবী তো তাদেরও
এবং সেই শিশুরা-
যারা দুটো ধান কুড়াতে যায় যমুনার চরে!