একডজন ভ্রূণের বর্ষা
ফিরে যাওয়ারা সূত্র মানে না
যদিও আসার একটা রেখা ছিল
ক্রমন্বয়েই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল বিত্তহীন ব্যাসার্ধ
তাহারা তিন জন ৪৬ বছরের আরতি, টগবগে ঈর্ষা, পিপাসা ফ্রিজিং রেখেও
খুলে দিলো ত্রিগিঁট
আষাঢ়ের শরীর জমে গেলো একচিলতে কর্পূরের কারিশমায়
তাহারা গচ্ছিত রেখে গিয়েছে একডজন ভ্রূণ
ভেঙে যাওয়া তিন প্রহরী মেঘের আঁচলে
বোবা বিছানায়
আকাশি জ্বরে
অসহায় চায়ের কাপে
তাহাদের এই চলে যাওয়ায় সিঁদুরের তোড়জোড় সমাপ্ত হলো
অনাথ হলো চৌদ্দটি বর্ষা
এমন বৃষ্টির একটা কাঁপন থাকে
নিমগ্ন ধ্যান কিংবা ধুলোমাখা সূর্যের সহগামে
স্তব্ধ অনিবার্যতায় রিক্ত হয় অষ্টম ঔরস
তাহারা বুঝি স্বর্গেই ছিলো!
অশুচি বায়নাঘর
তুমি সবুজ বেলুনেই ডুবেছিলে
যখন বেড-কভারের বিস্ফোরণে
পতিতার ঘ্রাণ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল উপসনালয়ে
তোমার শরীর খোলা হয়নি
একঝাঁক ঠোঁট অতিক্রম করেনি গুণনীয় ধারা
তবু ভাড়ায় চালিত হয় দোলনচাঁপা
অশুচি জ্বরের দায়ে নোঙর ফেলে
তোমার বিশুদ্ধ বিকারে
অথচ
তুমিই খুলে দিয়েছিলে বায়নাঘর
তার দানের দোলায় উগ্রে ওঠা গাম্ভীর্যে
বিনয়ী সাপের কোমড়ে এঁকেছিলে
অমর ক্ষুধা
জানা-অজানার জানাযায়ে তুমিই আজ স্লিপিং মুডে
ভালোবাসি বলেছিলে
ভালোবাসোনি বলেই!
বেওয়ারিশ ইস্যু
বেওয়ারিশ এন্টিবায়োটিক ডোজ সমাপ্ত হলো
কাঁচা শরীরের উঁচু-নিচু ঢেউ
নিম্নবর্গীয় হাওয়ায়
একঝাঁক শহর
খুলে গেলো
বেসামরিক চোখের কাছে
এমন ইস্যুতে বাঁধভাঙার কথা ছিল না
তবু শূন্য হয়ে যায় টিস্যুর বাক্স
বুকপকেটের চুমুর ঘামে আমাদের আর স্নান হয় না
স্বপ্নের দোষে তাই
আমলকী বাগানের পাঁচিল টপকাই
তিনের পাশে শূন্যের ঝংকারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়েছিল যে পড়শী
তাহার জন্যই তবু আহারে লাগে!
ভূমিহীন ফিলোসোফি
অপূর্ণতা বুঝতে না দেওয়ার হাওয়ায়
তৈরি হয় গোপন সূত্র
একটা মেঘ পুষে আজকের নখে
এই উষ্ণ বৃষ্টি আক্ষরিক ব্যাকরণের অন্তরায়
ঝলসে দেয় চুড়ির বর্গ
বর্ণের কলমে উড়ুক্কু আকাঙ্ক্ষা
পাখির ডানা এড়িয়ে কাহারে আঁকে!
মধুরার টিপের মৌ মৌ সুভাষে
বোবা হয় বউয়ের ফিলোসোফি
ঘুমিয়ে পড়ে আঁচল অসমাপ্ত ঘোরে
তাহারে আর বাঁধা হলো না
চাবিটার নিরুদ্দেশ যাত্রার কোনো চিহ্ন থাকতে নেই
শূন্যেই না হয় খুঁজে নেবে তারে।
আরও পড়ুন: অপরিচিত দূরত্ব ॥ ইলিয়াস বাবর