উত্তরাধিকার
বাবার প্লেটে আলুভর্তার পাশে আস্ত একটা চাঁদ
জোছনা খেতে খেতে বাবা একদিন জোনাকি হয়ে যায়
পোড়ামরিচের অন্ধকারে দৌড়ে
আয়ুরেখা অতিক্রম করেছিল মা
পান্তাভাত আর কাঁচামরিচের পাশে উৎপন্ন শীতকাল
আমার উত্তরাধিকার।
বোন
কার্তিকের চাঁদটা ছিঁড়ে
ডেকচিতে রান্না করে
পাড়ায় পাড়ায় বন্টন করা হলো মাংস
মাংসের হলুদ ঘ্রাণে
বোনকে খুঁজতে
বনের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে একটি নীল হরিণ।
সংহার
দেয়ালঘড়ির
ভেতরে বাস করে তিনজন
ক্রমিক সঙ্গমে প্রেগন্যান্ট ঘণ্টার কাঁটা
প্রসবের পর বৃত্তঘর থেকে বেরিয়ে এসে
চারজনে
ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে সূর্যের পোড়া মাংস।
চক্র
একটি কালো ছাগল
ঘাস খেতে খেতে পুরো বিকেলটাই খেয়ে বসে আছে
পাকস্থলীতে
সন্ধ্যা নেমে রাত আসে
পরদিন
মলদ্বার দিয়ে বের হয় হওয়া উজ্জ্বল ভোরের ঘ্রাণে
দুপুরের পেটে ঢুকে যাচ্ছে কালো ছাগল।
মানুষ
মানুষ নিজেই একটি বিয়োগচিহ্ন
ট্রেনের বগির মতো
জোড়া লেগে পালিয়ে যাচ্ছে স্টেশন থেকে…