নারীর শরীর জুড়ে বিলবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছি
বৃষ্টির ফোঁটায় ধুয়ে যাবে ফসলের ফুরফুরে রোদ
ছালাদ কাটার ছুরিতে সান্ত্বনা লেগে থাকে টমেটোর ফালি-ফালি আর্তনাদ !
গাজরের হালুয়া নিষিদ্ধ হোক,
নারীর শরীর জুড়ে বিলবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছি
অনেক যন্ত্রণা দেখবে সেখানে…
দেখবে আগুনে পুড়ছে রান্নার তরকারি,
গীষ্মের বাগান ভরে উঠছে ফুলের করতালি বাড়ানো কোমল হাতের উত্তাপে!
চাপাতি লুকানো খাপের ভেতর
এই বসন্ত ছড়িয়ে আছে,
প্রজাপতি ডানামেলে দিলে সেই রঙে সূর্যাস্তের লাল গোধূলি ঘুঙুর পরে
এখনো রক্তের জমাট সবুজ হয়ে ওঠে, সবজি ক্ষেতের উঞ্চতায়
মেঘ ভেসে বেড়িয়েছে বহুকাল…
অনেক বোলতা পালিয়ে রয়েছে চাপাতি লুকানো খাপের ভেতর!
অনেক অসুখ বুকের ভেতর লকলকে ফণা তুলে আছে,
চারপাশে নিরাপত্তাবিহীন গাছের ডালপালা, রক্তকরবীর গন্ধে মিশে আছে
অন্ধকারে শত্রুর আতর মাখানো উদ্যত হাতের ইশারা!
আঁচলে জড়াবে ভোর
বাইরে এখনো চাঁদকে সজাগ রেখেছি ভুলিয়ে,
ঘরের আলোটা এক্ষুনি নিভিয়ে দিতে হবে—
ফিনাইল জলে
ভিজিয়ে রাখতে হবে ছোলা আর কাজু বাদামের শাঁস
ফুলে উঠবে স্তনের বোঁটা বুকের পাঁজরে
ভরে উঠবে বাগানবিলাস আনছান করা রজনীগন্ধার ডালপালা
ছড়াবে শাড়ির হোলিখেলা—
আঁচলে জড়াবে ভোর !
স্বপ্ন দেখবে হাঙর সাঁতার কাটছে হাইওয়ের জোছনায় ড্রাইভিং কোর্স…।
উড়ালপুলের ডানা
উড়াল পুলের ডানা খসে পড়ল পালক খুলে,
লোহার গায়ে যে পেরেক ঠুকেছ ঘাসের
বুকে!
সেখানে রক্তের ফোয়ারায় মৃত্যুর যন্ত্রণা
ঝরছিল—
চাপা পড়ে থাকা বহু প্রজাপতি উড়ছিল ডানা ভাঙা
কল্পনা ছাড়াই, ভাসছিল তরী…
বহু মানুষের লাশ টেনে তুলতে হয়েছে
থেঁতলে থাকা নিশ্চুপ মায়ের বুকের শিশুকে—
দেখে, ন্যুব্জ কাতর দেখেছি, কলকাতার ক্রুশবিদ্ধ যিশুকে।
কোলাহল হবে
কালোকে কালো বললে, কোলাহল হবে
সানগ্লাস ছাড়াই চোখের উপর চৈত্রের রোদ্দুর ছড়াবে,
দুর্ভিক্ষের গম খেয়ে আফ্রিকার মেয়েরা কৃষ্ণাঙ্গ
হয়েছে র্যাবের পোশাক খুলে…
বাঘের চামড়া গায়ে দিয়ে মিলিটারি
ক্যাম্পের সার্কাস খেলা হতো সূর্যমণি মেলার প্রাঙ্গণে
লোক সমাগম—
সকলে দাঁড়িয়ে রয়েছে নির্বাক, সকলের পাষাণ হৃদয়-মন…
তখনো পথের পাশে তড়পাচ্ছিল পোশা একটি কালো বেড়াল!