রসায়ন
পথের সাথে পথের মিলনেই
রাস্তা দ্বিখণ্ডিত হয়।
তুমি ভাবো, কিছুই বুঝি না আমি।
কত সময় এমনি পার হয়ে যায়
কত নদী অকারণে বয়ে যায়।
তবু আমরা রোদের গল্প করি
নদীর বিবরণ দেই
সময়ের স্মৃতিচারণ করি।
কখন যে একত্রিত হতে হতে
পরস্পরে পার্থক্য গড়েছি
মনে পড়ে বাল্যকাল, পাঠশালা
বউর বদলে বউ-বউ খেলা।
মুখ
একটি স্বপ্নের মৃত্যু হলে
হাজারো স্বপ্ন খেলা করে।
সেই স্বপ্ন ঘুরে ঘুরে মেঘ হয়ে যায়।
একটি মুখের জন্য হাজারো দিনের অপেক্ষা
সেই মুখ ঘুরে ফিরে নক্ষত্র বনে যায়।
একটি মুখ আলো আঁধারিতে ঢাকা থাকে
একটি মুখের অবয়বের জন্য লক্ষ মুখ দেখি
এত্তো এত্তো মুখ, তবুও মুখ নেই।
সময়
সময় বেচব বলে এবার স্থির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পথে যেতে যেতে অনেক কথা হলো
কথা হলো সময়ের সময় বিক্রি নিয়ে।
সময় সব সময় কি অসময়?
একবার স¦প্নে সময় বেচতে গিয়ে
বাধা হয়ে দাঁড়ালেন ঈশ্বর
সময় বিক্রি করার তুমি কে হে?
তারপর থেকে আর
সময় দেখি না, স¦প্ন দেখি না
শুধু তোমাকেই দেখি।
পরাজিত
একে একে হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে সব!
জীবনকে সাজাব বলে কত স¦প্ন আর প্রতিশ্রুতি ?
ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে সব
হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে…
যে সকালটা আমার ছিল
সেটা রোদেলা হয়ে গেল।
প্রথম যৌবনে করা প্রেমটা স্থানান্তর হয়ে চলে গেল নারুলী।
কার কাছে যাব বলো!
একবার পরাজিত হয়ে তোমার হয়েছিলাম।
তারপর…