রোদ্দুরকে বিদায় বলেছিলাম
এই যে শান্ত হাওয়ার মতো বেজে উঠছে তৃষ্ণা
মনেহয় রোজ রোজ তোমাকে ঘিরে ধরে পুরনো আর নতুন স্রোত, ঠুমরীর সংলাপে
তুমি বিচিত্র বেদনার মতো নেশায় বুঁদ হয়ে থাকো
নিজেকে আড়াল করো,
ছেঁড়া পাতাতে পাণ্ডুলিপি সাজাও
অযাচিত সুখে হারিয়ে যাও অসুখে!
হয়তো বুঝতে পারো ক্রমশ উপলব্ধির শেকল জড়াচ্ছে তোমার অসম পায়ে,
না চাইলেও ভালোবাসো বিচ্ছেদ
স্নায়ুতে অবসাদ,
শীতলতা আছড়ে পড়ে গল্পের শুরুতেই
শিশিরের ভোরে মুখে লেগে থাকে তেঁতো স্বাদ
এই মোহিত প্রেমের দিনেও
আমি বুঝতে পারি কী করে বিমূর্ত হয় তোমার খসড়া প্রকাশ
নির্লিপ্ত আশঙ্কায়!
অথচ তোমার মুখে আরেকটু আলোর আভা ছড়াবো বলে আমি রোদ্দুরকেও বিদায় বলেছিলাম
ইশারা
কোনো কোনো অলসদিনে
পতিতার মতো ভেসে থাকে মায়া,
অস্থির রাতের শিশিরভেজা শোক
দীর্ঘতম কাঁটা বেছানো পথ পেরিয়ে
পেঁচাদের কৌতূহল ডাকছে ইশারায়
মায়াময় ছায়া ছায়া
ডকইয়ার্ডে দাঁড়িয়ে থাকি মন ভিজে যায় মৃদু রোদ্দুরে
ভাষাহীন পেলবতার অভিমানে
ক্রমশ দূরে সরে যেতে দেখি চেনা স্রোত…
পুড়ে যাচ্ছে আমার জ্বরগ্রস্ত দুচোখ
ঘুম ভাঙার পরেই এই যে আলোর ঢেউ
জেগে ওঠা নাছোঁয়া দীর্ঘশ্বাস মেখে থাকে
আর বাসনাসিক্ত এইসব জলল রাতেও যখন
থেমে থাকি দীর্ঘরেখার ওপর
ভাবছি উথালপাতাল জোনাকির সুতীব্র সুখে নিঃশেষ হয়ে গেছি
কতদিন তোমার হাত ছুঁইনি বলে গান গাওয়া হয়না আমার
প্রেম, পাপ কিংবা আজন্ম মৃত্যুর মতো সেইসব
অসমাপ্ত সম্পর্কের গভীর আলিঙ্গনের ঘোর কাটে না কিছুতেই
তবু কেন বলো—এখনো পুড়ে যাচ্ছে আমার জ্বরগ্রস্ত দুচোখ!