ইঁদুরের গর্তে বাবা
ইঁদুর আমাদের কাপড় কেটে ফেললে
বাবা ইঁদুর মারার বিষ আনতেন,
মা সাদা ভাতের সাথে সেই বিষ মাখিয়ে রাখতেন ঘরের আনাচে-কানাচে।
বিষমাখা ভাত খেয়ে আধমরা ইঁদুরগুলো হাঁপাতো,
আর তাদের বুক এত জোড়ে ধুঁকধুঁক করতো
যেন হৃদপিণ্ড বেরিয়ে আসবে এখনই।
আমি পানি নিয়ে দৌড়াতাম ইঁদুরের পেছনে,
ওদের পানি খাওয়াতে।
বাবা শেষবারের মতো অসুস্থ হয়ে পড়লে আর
তার বুক জোরে জোরে ধুঁকধুঁক করলে,
মনে হচ্ছিল যেন হৃদপিণ্ড বেরিয়ে আসবে এখনই।
মা পানি নিয়ে দৌড়াতে থাকে বাবার পেছনে
তাকে শেষবারের মতো পানি খাওয়াতে।
কেউ কি বিষ দিয়েছিল বাবাকে?
বাবা, তুমি কার কাপড় কেটেছিলে?
মা-সংক্রান্ত প্রশ্ন
এক.
আমার মা খারাপ স্বপ্ন দেখলেই
আমার নামে সদকা দেন।
ভাবি—
তনু,
রাজন,
নুসরাত,
এদের মায়েরাও কি কখনো সদকা দিতেন?
দুই.
লোকেরা বলে—
নাক ঘামলে স্বামী বেশি আদর করে।
এই যে রগরগে সূর্যের তাপে
আমার মায়ের নাক ঘামে,
আমার বাবা কোথায় আছে?
কোনোদিন বৃষ্টির নাম করে যদি রোদ ওঠে
আমাদের এই পলেস্তারা ওঠা বাড়িটা মন খারাপ নিয়ে, একা একা যে হেঁটে যাবে কোথাও, তারও উপায় নেই। এমন নিরুপায় সকালে, আকাশের বালিশ ফেটে বৃষ্টি পড়লে দেখি—মাটির কানের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে জল। এদিকে রোদ ওঠার নাম নেই বলে, একটা নাম উঠে বসে আছে মনের ভেতর।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত নবীনের কবিতা