পিলের মমতায় বাড়ছে প্রেম
তুমি কি পিল খাও? না…
‘না’ বলে পাখিটি উড়ে গেলো
পেছনে পুকুরের জলে একটি দীর্ঘ ছায়া
শোনো, শিশুটি কাঁদছে পিলের উষ্ণতায়!
টেডহিউজ আর সিলভিয়া প্লাথ টেমসের দুঃখ
গাছের ডালে-ডালে কথা কয় কবিতাপুত্র,
শ্রী শ্রী লোকনাথ বাবা তাকিয়ে আছে বোবা
সিগ্রেট জ্বলছে, তোমার মুখে ধূমকেতু;
আপনি থেকে তুমি, আর সেই থেকে (a+b)2
(a-b)2 ভাবতে-ভাবতে প্রপাগান্ডিস্ট কাদায় লুকায়,
শতশত জীর্ণ মুখ দাঁড়ায় (a2-b2)-এর ক্ষুধার্ত সারিতে;
মন্দিরের ঘণ্টার মতো চেয়ে আছে শীতল দু’টি চোখ।
রক্তাক্ত সিংহাসন
টেবিলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে খাবার
আবার শূন্য হবে কিংবা ভরে যাবে
ফুলে-ফুলে পরাগায়ণ, মস্তিষ্কে ফাঁপা বাঁশির
কান্না, চায়ের পেয়ালা উড়ে যাচ্ছে আকাশজমিনে;
তোমরা যারা অনাগত মাটির সহোদর
তারাও একদিন সিংহাসন জয় করবে,
জাদুর বাক্সে লতিয়ে উঠবে জলের ঘূর্ণন
প্রিয় বর্ণমালার মুখে গেঁথে আছে প্রেমের শোকগাথা;
রঙিন আয়োজনে থোকা-থোকা কোমল মুখ
বিরহীর দেহে কামড়ের কাঁচা-কাঁচা দাগ,
পেয়ালামুখ উবু হয়ে আছে জ্বলন্ত উনুনে;
সিংহাসন ঢেকে আছে রক্তাক্ত কাফনে।
আয়না ও ছায়ার মুখ
শাদা পৃষ্ঠায় চোখ দিয়ে আঁকি তোমার ছায়া;
বুকের আয়নায় খেলা করে ছায়ার মুখ।
ধুলোমাখা পথে ওড়ে কথার পায়রা
নূপুরের ছন্দে বাজে সাগরের ঢেউ,
চাঁদ ডুবে গেলে এখানে থাকে না কেউ;
বাতাসের আয়নায় দেখছি নারকেলের সংসার
বুকের জমিনে তোমার কামার্ত নিঃশ্বাস পড়লে
কবিতার জন্ম হয় জল্লাদের আস্তানায়,
তাঁতিবাজারের কসাইয়ের চোখে ওড়ে ফুলের পাপড়ি;
পাতা থেকে ঝরে পড়া জলের শেষ চুম্বন
ডাকছে তোমার-আমার হারানো মধুর শৈশব,
মাটিতে আঁকছি তোমার তৃষ্ণার্ত কোমরের বাঁক
তোমার উত্থিত নীলাভ স্তনের বোঁটায় মুখ রেখে নির্বাক;
শাদা পৃষ্ঠায় অবিরাম এঁকে যাচ্ছি আয়না ও ছায়ার মুখ।