আহার ও আদিমতা
চৈত্রের খরা সবসময় প্রাণের বেদনাপাতা হয়ে ঝরে
পড়ে না। কিন্তু অনাহারী মায়ের মুখ দেখলেই সন্তান
বুঝতে পারে; আজ আকাশ নুয়েছে কোথাও! আজ—
সন্তর্পণে কোনো নক্ষত্র ঝরে পড়েছে বঙ্গপোসাগরে।
দুর্ভিক্ষ মানুষের হাতেই নির্মিত হয়!
আমি কী ভুল বললাম!আমি কি মিথ্যে বললাম কিছু!
ফ্লোরিডার খামার থেকে কোটি টন সবজি যখন
আটলান্টিক মহাসাগরে নিক্ষেপিত হয়—
কিংবা টেক্সাসের ধানক্ষেত থেকে লক্ষ লক্ষ ওয়াগন
ভর্তি ধান যখন ফেলা হয় পুড়িয়ে—
খিদের কথা তখন আমার আর মনে থাকে না!
সন্তানকে ভোলাতে মাটির হাড়িতে পানি সেদ্ধ করেন
যে মা;
. ক’টা উচ্ছিষ্ট ভাতের আশায় পাশে দাঁড়িয়ে যে কাক—
তা দেখে আমার এখন আর তেতাল্লিশের মন্বন্তরের কথা
মনে পড়ে না। মানবসৃষ্ট আকাল আমাকে সেই আদিমতার
কথাই মনে করিয়ে দেয়। কালের শিয়রে বসে যে চিত্রকর
স্কেচ এঁকে রাখেন-তা আমার পাঁজর বিদ্ধ করে।
. হাতের তালুর দিকে তাকাই।
. দেখি, একটি অর্ধমৃত মাছি অপেক্ষায় আছে
. আমার চোখের নোনাজল পান করবে বলে।
আরও পড়ুন: ছবি থেকে কবিতা