আরশোলা বিছে
নদীর পেখম ডানা থাকলে উড়তো
পরির মতোন পাখি হলে
নদীর সঙ্গে ঘুরতো।
গনগনে রোদ ঘুরে বেড়ায় যখন
আকাশ দেখতে পরি হলো
সবুজ পাতা তখন।
ওড়ার ভীষণ ইচ্ছে হামাগুড়ি দিচ্ছে
ছুটছে বয়স মিছে আরশোলা বিছে।
টুপটাপ ব্লিডিং হচ্ছে
আগলে রাখলে ওম টের পাই, বিটুমিন গলে গলে পড়া উষ্ণ ঝড়োহাওয়া;
পালাচ্ছে রাস্তার ধুলোবালি,
টুপটাপ ব্লিডিং হচ্ছে গোপন বৃষ্টির জলে,
নদীর কিনার ভেঙে পড়ছে নৌকার পাটাতন জুড়ে
শুয়ে আছে সিলভার রঙের অসুস্থ চাঁদ
হাত থেকে পড়ে ভেঙে যাচ্ছে ব্যস্ত ঘড়ি ও সময়।
তবু…একটা পাহাড় আবেগের চেয়ে উঁচু হয়ে উঠছে অকাশ;
লাউযের ডগার মতোন লকলকে এক পশলা কফির ধোঁয়া
উড়ে যাচ্ছে…
আলিঙ্গনে জড়ানো মুগ ডালের মতো নিরিবিলি ক্ষেত।
মনে হচ্ছে, মাদকেই ভাসছে স্বদেশ
যখন অদ্ভুত মনে হলো, অনেক চূড়োয় উঠে গেছ;
হাত-পা ছুড়তে থাকা শিশুর মতো—
ছচটফট ইচ্ছেগুলো, মনের বিচ্ছেদে উড়ে যাচ্ছ।
জ্যামিতির ক্লাশে ব্লাকবোর্ড লেখা মুছতেই টের পেলে
পেটের অসুখে বুকজ্বালা করছে লবণ জলে—
স্বচ্ছ গ্লাস ভর্তি পিঁপড়ে যখন বাঁচার সাঁতার কাটছে,
দাঁতে দাঁত চেপে জলেরও ভীষণ থৈ থৈ কান্না পাচ্ছে;
গুলির সিসায় ফুটছে আওয়াজ,
ফায়ার…ফায়ার হচ্ছে—
কার্তুজের খালি খোসা তড়পায়…আর্তনাদ ;
মনে হয়, মানুষের আয়ূ বাড়ছে মৃত্যুর চেয়ে দ্রুত,
পিতার লাশের পাশে সৈনিক মাছির ভনভন
গুলির শব্দের মতো—
বাবাভক্ত মেয়ের কান্নায় বাংলাদেশ ভিজে যাচ্ছে—শোকে!
মনে হচ্ছে, মাদকেই ভাসছে স্বদেশ, রাষ্ট্রবৃষ্টি বিউগল ফোঁকে।