হাড়ে ও মজ্জায় আঘাতের মানচিত্র
মিসাইল, রকেট, নিষেধাজ্ঞা, ক্রোধ অথবা ঘৃণা যা কিছু
বন্য এখানে অবমুক্ত করো। এক্সপেরিমেন্ট করার জন্যে
নতুন কোন এটমও ফেলতে পারো এই ব্যথার ভূমিতে।
গাজা উপত্যকায় খুনের দায় চাপানো হবে না কোন
হিউম্যান রাইট’স অর্গানাইজেশনের কাছে !এখানে নারী
এবং শিশুর আর্তনাদ প্লাস্টিকের খেলনার মতো
মেলোডিয়াস সুরে বাজে।
অথবা যাও, অবমুক্ত করো বিরল প্রজাতির যে কোন
বিষধর ঐ শ্বেতশুভ্র ঘরে। এ গ্রহ তার ভারসাম্য রক্ষা
করুক। প্রাণহীন এ বুকের ভেতর অসংখ্য ইঁদুর হাড়ের
মজ্জাগুলো খুলে খাক !
অবিশ্বাস্য এবং বিস্ময়কর
বন্ধুর পথচলা থেকে জানিনা কিভাবে হাসন রাজার
মন মুনিয়ার মতো ঢুকে পড়েছি তোমার পিঞ্জিরায়।
এখানে নিয়ম করে সূর্য উঠে না সকালে। কোন ভোরে
হয়তো গোলাপ কালো হয়ে ফোটে, অন্য ভোরে লাল।
এখানে আইফেল টাওয়ার থেকে যুগলেরা হেঁটে যায়
গুলিস্তানের ফুটপাতে। চোখের জলে জোসনা ওঠে—
আবার হাসতে হাসতে খুন হয়। আইরন ডোম ফাঁকি দিয়ে
অনন্ত বিস্ময়-প্যারেড করে দৌড়ে যায় বুকের ওপর।
আর জিম্মিদের বিনিময় প্রথা হয় আলিঙ্গন ও চুম্বনে—
এবং অগোছালো শাড়ির মতো ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে
আসে প্রথম মৃত্যুর আদ্যোপান্ত।
আমি নরকেরও ভয়
খালি পেটে জল ভেবে গিলেছি কিছু গরল। দূরে ধ্বংস
হচ্ছে পৃথিবী এবং বিদ্ধ হচ্ছে চাঁদ। জীবনের অংক যা
ছিল একদিন খুব সরল এখন চেতনার জলছোঁয়ায়
সবকিছু তরল। জাহান্নামকে রক্ষা করতে ঈশ্বর
প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং বদ্ধপরিকর। আবার তিনিই আমাকে
ঘাড় ধরে জান্নাতে পাঠাচ্ছেন, শোন হে প্রভাকর ! আর
আমি—আমাকে নরকে পোড়াও, নরকে পোড়াও—বলে
চিৎকার করে দিয়ে যাচ্ছি আত্মপ্রণতি। যেন আহত
সিংহের গর্জনে শুনে কাঁপছে দখলকৃত ইসরায়েলি ভূমি।
এখন দোজখেরা সব, আমাকে দেখে ভয় পেয়ে লুকিয়ে
যেতে চায় পায়ের পাতা চুমি।
এখানে ইউরেনিয়াম রডগুলো চুল্লির জল ফোটায় আর
সৃষ্টি করে আলো। যন্ত্রনার দহনে পুড়ে পুড়ে তবে কেন
প্যালেস্টাইনি শিশুর বাঁচার স্বপ্ন হয়ে যাচ্ছে এমন
নিকষতম কালো!