আমাকে ভাবতে পারো পরদেশি নাবিক
০১
আমাকে ভাবতে পারো পরদেশি নাবিক
যাকে দেখোনি কোনোদিন
যাকে আর দেখবে না কোনোদিন।
এখানে আমার কোনো কাজ নেই;
তবু কেন এলাম—সে কথা তোমার ঈশ্বর জানেন।
এখন দুপুর ভিজিয়ে রোদ পড়ছে—
কবুতরের পালকে আঁকা আছে তার ফলক।
গাছের মনকে বিদীর্ণ করে জন্মাতে পারে যে—
এমন অভয় আমি ভালোবাসায়।
তাতে যদি বসন্তের মতো আনন্দ পাও
তবে তোমার জন্যেই এই জগতে পায়ের ধুলো পড়েছে।
তোমার অলিন্দে যে সব ফুলের বাসর হয়
তারা শুধু আমার জন্যেই আসে এখানে।
তবু ভৈরবী বাতাস উড়িয়ে দিয়েছে পরিচয়
এবার আমাকে খুঁজে নাও আমপারা শুরুর আগে।
০২
মাটির জগত কিছুই শেখাবে না তোমাকে—
তবু আমন্ত্রণ জানাবে ধুলোর ঘর।
আমপারা ঘরে বসে তোমার স্কার্ফের আলো লুফেছি কতবার।
আমি পড়া পারি না—
তোমারে দেখি ‘আলিফ’-এর ঘরে
‘বা’-এর ঘরে নেলপলিশের গন্ধ।
সে কথা বলে কী আর হবে? এখন গ্রীষ্মকাল।
গাছে গাছে আমের বোল। হঠাৎ আকাশ ভেঙে মেঘ আসে।
বৃষ্টির জল তোমার ভালো লাগে।
অথচ মাটির শরীর নিয়ে দাঁড়াতে পারি না,
গলে যাই; গলে যেতে থাকি।
০৩
তুমি একা—
জানি বিষণ্ণ লাগে খুব।
তবু মন খারাপ করো না—
ঈশ্বর ও তো একাই থাকেন তোমার মতো!
বরং এই তো সুন্দর—
যার কোনো ভাষা নেই।
কিছু সুন্দর থাকে কথার বাহিরে—
তারে খুঁজে নিতে হয়।