পুড়ে যায় পালক নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে
শরীরে যেন সার নেই
চোখ দু’টো বন্ধ
ঘোমটা পরা চাঁদের মতো
মন মরার গন্ধ।
তুমি মহাবোধের পাঁজরায় মহাকালকে গোলালে
রাজকন্যা দেখে বড়শি নিয়ে বসলে
তবু মাঝরাত, ইথারে ইথারে তোমার কথা
কথার ভাঁজে ভাঁজে করুণা তৈরি
রোজ সকালের আয়নায় তোমার চেহারা
তোমার শার্টের কলার—কলারে রক্তের দাগ
তুমি হেসে হেসে বললে—এ আমার প্রেমিকার চিহ্ন
আমি নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে বললাম—
. মরাকে আর মেরো না
আর তাতেই তুমি রেগে গেলে
করুণার সাঁকো ভেঙে দিয়ে বললে—
. তুমি মনে মনেও জোরে কথা বলো!
পুড়ে যায় পালক নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে: ২
আমি স্নান করতে চেয়েছিলাম
তুমি ছিলে কুয়াশার কারিগর
তোমার ভেতরে ঠাণ্ডা হুল
ভাঙা চশমার ফ্রেম
আমার শাড়ির গিঁটে অসংখ্য বিস্ময়
হাঁটব কি না ভাবছি!
আমি হাঁটব কি না ভাবছি!
উত্তরের চেয়ে প্রশ্নই বেশি হলো শেষে
পুড়ে গেল পালক নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে
এই মেঘ আসে, এই সরে যায়
নীরব থেকেও অজস্র কথা বলা যায়
ছায়ায় ছায়ায় বেড়ে ওঠা গোলক ধাঁধায়
কে আপনি…কে আমি….
নীরবই বোঝে নীরবতার মানে
তুমি কখনো সোনালি ধানের রূপ দেখনি
তাই বোঝ না উর্বর খাতার মুগ্ধ বেদন কথা
অস্থির পথে লাঠি পেটানোর কথা
একবার শুধু সোনা ধানের চোখে চোখ মেলে ধরো
আমি বিরাট এক বিস্ফোরণ ঘটাই। দ্যাখো—
পানি ধরে ধরে মানচিত্র সাজাই…
পালক ঘিরেছে ঘন মেঘ
পালক ঘিরেছে ঘন মেঘ
রাত পোহালে অন্য চক্ষু হবে ফেরারী
বড্ড ভয় পায়। আমি বড্ড ভয় পাই।
শব্দের ধোঁয়ায় যখন—
গন্ধ লুকিয়ে পড়ে পকেটে
আমি বিষধর সাপ হই
শয়তানের বংশধর হয়ে
নিজেকেই নিজে দংশাই।
বিষণ্ন পেনসিল
নদী নয় রকমারি বৈঠকখানা
সৈকত যাপনের উচ্ছ্বাস
বেপরোয়া কণ্ঠের গোঙানি
ঢেউ গুলোর পায়চারি
জল চুষে চুষে বাড়িয়ে নেওয়া
. জীবনীরস।
নদী বলে- জল ছোঁও
ঢেউ দিয়ে জাগাও
নীলখাঁদ ডুবু ডুবু হয়
তোমাদের জমানো বিষণ্নতায়
আমি থাকি দেয়ালে দেয়ালে
লোভী নই, অসহায় হয়ে…