আদখানা আধুলি
বাসার ছাদে তুলসির পাতা বেয়ে চাঁদে যাবো
বিলুপ্ত পাখিদের ভাঙা সাদা পালক
তুলার লাল ডানায় পেখম মেলেছে—আগন্তুক
পূর্ণিমার ফুল—সাঁতার কাঁটছে
নাইয়া পাল তুলে—ফুল ছিঁড়ে
বধূয়ার নাকে ঝুলিয়েছে—জোনাক
বাতাসে ঘ্রাণ—উঠোনে ধান, শালিক
জাত গাছের ফাঁকে ফাঁকে আলো—নীল
ফিসফাস
মগজে মরিচা। জলে মাছের ছলাকলা। কাদামাখা কৃষক। ন্যায্য অধিকারবঞ্চিত শ্রমিক। বিলুপ্ত সবুজ পথ। ঢেউ চরের পাঁজরে আদিমতা খোঁজে। সুন্দরবনে—তেল ও আগুন, কয়লার ধোঁয়া, পুঁজিবাদী ফিসফাস!
বীর ও বীরাঙ্গনা কৃষ্ণচূড়ার ডালে—অপেক্ষায়। রাজপথে আলপথে রক্তের দাগ! আকাশে ক্ষোভের মেঘ।
তবে কি চাঁদ! হাসবে না উচ্ছ্বাসে? ঝিঁঝিরা গাইবে কি ঘুমন্ত মানুষের গান!
মানুষ ঘুমাতে পারে না। পাহারায় মাতাল কুকুর। ওঁৎ পেতে শেয়াল!
শান্তিগড়
১.
উদ্বাস্তুদের আশ্রম প্রয়োজন
চোখের নির্জন নীল ধ্যানে বিলুপ্ত হতে দাও
২.
আহবান জানাও।
অতপর, তুমি পাবে—
সবুজাভ হাওয়া এবং মেঘ।
৩.
ঠোঁটের উঠোনে জলসা হবে—
চলে—
এসো—
গান গাই—
পান করি সুধা।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত নবীনের কবিতা