জীবনের জলছবি
বিমূর্ত সময় ক্ষয়ে যায়…বিদীর্ণ বাতাসে ওড়ে
কষ্ট-ধোয়ার কুণ্ডলী। জীবনের জলছবি আঁকা
এ পথ-ওপথ ঘুরে ভাবনার ইন্দ্রজালে বাঁধা
নিদ্রাহীন মূর্তরাত্রি। ঘুম নেই, অলস মস্তিষ্ক;
বিদ্যমান শূন্যতায় সার্বভৌম ব্যাক্তিগত সুখ।
অহোরাত্রী জীবন্মৃত; মর্মাহত কবিতার খাতা—
জীবনের হৃৎপিণ্ডে বাজে কবিতার তত্ত্বগাথা।
সুবন্ধু সমীপে
দুপুরের কাঠফাটা রোদের তীব্রতা বেড়ে গেলে
আমার ভিতরে একনদী জল ঢেউ খেলে যায়।
ক্রন্দনরত আগন্তুক
. পাখিসমাজের আনাগুনা দেখে
তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে তৃষিত বিবেক।
বৃষ্টিদেবতা দূরে থাকে, ঔৎসুক্য মেটাতে
অলক্ষে বুকের ‘পরে চাষাবাদ করি নিজস্ব শস্যক্ষেত
লতা পাতা গুল্মসহ জলজ বৃক্ষ—
জল ছাড়া ধৈর্যশীল তারা
কেবল অনিবার্য কারণেই ভাঙ্গে যাদের শিরদাঁড়া।
আত্মদর্শন
শেষকৃত্যে কখন-যে লীলানৃত্য বন্ধ হয়ে যায়
. শঙ্কিত নই;
মানুষ মাত্রই পরশ্রীকাতর
পুরুষ মাত্রই পরস্ত্রীকাতর।
আমি মানুষ, আমি পুরুষ
অতএব উভয়েই আছি!