অর্বাচীন আঁধার
বিবরণহীন দিনের ভেতর দিয়ে—
হাঁটছি আমরা; চারপাশে কেবলি উড়ান
ডানাগুলো ঝরে যাচ্ছে অসংখ্য বিভ্রান্তিতে;
আমাদের ফ্রেমে আঁকা নিদ্রাহীন চোখ
নিশ্চিত পেরিয়ে যাচ্ছে সময়ের ঝুমঝুমি
সম্ভ্রান্ত আঙিনা জুড়ে প্রতিশ্রুতিপুষ্প
কালপুরুষের মতো অচেনা গন্তব্যে ধাবমান;
আমাদের সর্বনামে অসতর্ক মালকোষ
হিরন্ময় হাঁটুতে তুমুল খরা, আর—
অর্বাচীন আঁধারে ফুঁসে উঠছে দীর্ঘ ফণা…
নিঃসঙ্গতা
সময় খুব নিঃসঙ্গ ও অস্পৃশ্য,
মানুষের মতো একা আর বর্জ্যের মতো পরিত্যাজ্য;
আপনিও; ফলে হারিয়ে যাওয়ার আগে একবার
নিজেকে খুঁজে দেখতে পারেন আপনজনের মাঝে;
এই পৃথিবীতে অন্ধকার জড়ো হলে অনেকেই
টাকার খামারে আদর্শ টানিয়ে রেখে ভেসে যায় দূরে
পরস্পর ক্লান্ত হতে হতে খেয়ে ফেলে পাহাড় ও নদী
তারপর আবারও একা, সূর্যের মতো একা—
প্রকৃতপক্ষে মানুষই অস্পৃশ্য ও একা!
ভিন্নতা
কার্ড পাঞ্চ করে আসো। পার হও কঙ্কাল ও
অস্থিমজ্জার ঘ্রাণ। দুধের পাথরবাটি।
ক্ষুধার্ত আত্মীয় হও। সারিবদ্ধ ফলদ বৃক্ষ হয়ে
দাঁড়াও সামনে। তারপর প্রবেশাধিকার…
আমার ঘরভর্তি হস্তমৈথুনের প্রহর
বুদ্ধিজীবীর শীৎকার-
চেতনায় আন্তঃআণবিক উৎসব, তুমুল সার্কাস