এক.
আঁধার কপাট খুলে একা ফুটে থাকি
প্রশস্ত কপালে দেই জ্বলজ্বলে টিপ
লক্ষ্মী রাত চুপ করে নীরবে ঘুমায়
চুলের ভূগোলে জাগে রত্নময় দ্বীপ
স্মৃতির মদির ঢেউ একা নেচে যায়
নিশুতি বিজন বনে ঝাপটায় পাখি
তোমার গভীর মুখ বুকে এঁকে রাখি।
দুই.
তোমাকে দেখতে পায় তিনটি সাগর
তোমার হাতের কাছে জাগে হিমালয়
তোমাকে পাহারা দেয় উত্তরের বন
ত্রিবেণীর শুষ্ক ধারা এঁকেবেঁকে বয়
দূরের জমিনে একা কাঁদে মহাজন
অকৃত পসরা নিয়ে ফেরে সদাগর
আমাকে দেখায় ভয় অচেনা নাগর।
তিন.
কী খেলা দেখাও রোজ নীরব ধমকে
কার জন্য কালো মুখে মাখো চুনকালি
কে তোমাকে শোধ করে মুহূর্তের দেনা
দুহাতে কেবলি খোঁজা গূঢ় চোরাবালি
নিমিষে মিলিয়ে যায় সমুদ্রের ফেণা
মরণের ভালবাসা করে কেউ শখে!
রসের ফোয়ারা দেখি ফুটছে গমকে!
মন্তব্য