শীতার্ত
পাথরের মতো ঠাণ্ডা জমাট ভোর
চেয়ে আছে খোলা চোখে—
যেন কিছু আগে জলে ডুব দিয়ে উঠেছে
শিশিরে ভিজে একসা ঘাস
গাছেদের এলোমেলো মাথাভর্তি কুয়াশা—জটাধারী সন্ন্যাসী
বলে ভ্রম হয়
জলের শরীর থেকে অবিকল ভাপাপিঠার মতো
ধোঁয়া ওঠে—শব্দহীন বলকে বলকে
মনে হয়, উত্তাপও বুঝি পাওয়া যাবে অনুরূপ;
চারদিকে তবু সূর্যের আলোর স্পর্শের আগের পৃথিবীর
মতো অনূঢ়া হিম!
শবাধারসম উষ্ণতাহীন হৃদয় নিয়ে হেঁটে যাই আমি
হাওয়া আসে অরবে, বিষাদপ্রতিম
অরব অনুভূতিমালা
১.
মেঘমলাটে বাঁধাই করা শ্রাবণ দিনের আকাশ
তবু ছড়ায় আলোর আবির
তুই যখন তাকাশ
২.
আলোর মাঝে বন্ধ মুঠোয় যেমন অন্ধকার
আমার জীবনে তেমনি তুই—
লোকচক্ষুর ’পার
৩.
জলের শরীর স্রোতে স্থির, পাহাড় হয়ে যাই ভেসে
—ও মেয়ে, তোকে ভালোবেসে
মন্তব্য