অন্য এক চোখ
আমাকে ডেকেছে প্রেম অলিভ খামে
গোলাপি নদীর মন চলেছে দূর;
পুবের আকাশে ওড়ে পুরুষ বাতাস
নয়নে নয়ন রেখে মাঘের রোদ্দুর।
যে প্রাচীন রাতগুলো আকাশ হয়েছে
তোমাকে দেখেছে ঝুঁকে ভীষণ নেশায়;
নিশাচর বাতাসেরা বাদলে-শ্রাবণে
আমাকেও নিয়ে যায় পথ ও রাস্তায়।
তোমার ঠোঁটে গোপন মেঘের হাঁক
তরুণী রাত নামায় কী যে জলোচ্ছ্বাস!
তোমার আনাগোনায় মন জানে তাই
রুমালে দিয়েছে ঢেকে চুমোর আকাশ।
একটি গোলাপি নদী প্রেমের মতন
অলিভ খামের ভাঁজে ডেকেছিল কাকে?
তোমার দুচোখে যেন আরেক চোখের
নেশার মতো রঙিন কেউ বেঁচে থাকে।
পাঁজরের নিবে প্রেমের গজল
তোমাকে লিখে চলে যে কলম আমার
পাঁজরের হাড় কেটে তা করেছি নিব;
বুকের আগুনে তাকে দিয়ে যাই ধার
সেই আগুনে তোমাকে পাওয়ার চিৎকার।
তুমিহীন রাত এলে আকাশ আসে না
সেখানে ঘুম হারানো চোখে নীরবতা;
প্রণয় নামাবলীতে লিখে যায় প্রেম
জানে তুমি আছ বুকে তবু কী যে নেই!
কোথায় আছ আমার অনন্তের শোক!
কোথায় আছ আমার অসুখের সুখ?
কোথায় আছ আমার আনন্দ ইন্দ্রিয়!
কেন রেখেছ জ্বেলে অকাল অবজ্ঞা!
তোমার চোখের ভীরু কাঁপন দেখেই
গোপনে করেছি আমি নিজেকে প্রকাশ;
অপ্রকাশিত রেখেছি হৃদয়ের রঙ
প্রেমের গজল লেখে কলমের নিব।
প্রেম
কুয়াশার মতো এক নিকোটিন রাতে
যতদূর মনে পড়ে এক বেদুঈন
আমার রাখাল চোখ রেখে তার হাতে
সেই খরস্রোতা রাতে করেছে উড্ডীন।
মাতাল হতে আমার লাগেনি সময়
বুঝিয়েছে আমাকে সে জীবন অমৃত
জানতাম যদি এভাবেও প্রেম হয়
ভীষণ অসুখে মন হতো না পীড়িত।
রনোড্রেনডন রাতে আমার শহর
অবরোধ ভেঙে দিতে গেছে রাজপথে
চুমুর মিছিলে গড়া তোমার সে ঘর
ডেকে নিলো আমাকেই ভীষণ কাঁপাতে,
সেই ভাসানের রাত নেশার শরীর
সঙ্গমে ফোটালো ফুল সুনীল গভীর।