১.
আমি আর কৃষ্ণা ছাদে বেড়াতে এসেছি, কৃষ্ণার গা ছুঁয়ে নেমে যাচ্ছে রাত্রি।কৃষ্ণাকে বললাম তোর গায়ের রঙ আমার খুব পছন্দ। কোনো দাগ দেখা যায় না। আমি পেইন্ট মাস্টার হলে মানুষকে শুধু কালো রঙ দিয়ে আঁকতাম। মানুষকে যদি একটিমাত্র রঙে আঁকা হয়, তাহলে কি জগতের সকল আনন্দ লুপ্ত হবে? কৃষ্ণা বললো, হবে। কারণ বহু বর্ণে মানুষেরা দৃঢ়সংলগ্ন ।
২.
প্রতিটি নদীর উৎসমূলে একটি গুপ্তনদী থাকে। আমি যে নদীটির ওপর বাস করি, ভাবলাম তার উৎসমূলে যাবো। এর গুপ্তমন্ত্রটি আমার দরকার। আজ আর কৃষ্ণাকে নেবো না। আমি মালতীর হাত ছুঁয়ে আছি। মালতী এস্কিমোদের বরফবাড়ির মতো। আমি ইগলোর ভেতর নিজেকে গুপ্ত করে বললাম, মালতী এবার আমাকে নিয়ে চলো।
৩.
আগত সন্ধ্যার সঙ্গে কিছু দৃশ্য খুব পরিচিত। কিছু ফুল তুলে রাখি অনন্ত মন্দিরে। কিছু ফলে গাঁথা আছে আমার সকাল। বীণাকে বলেছি, আহা এ কেবলই অনুরাগ। পূজার অর্ঘ্যতে আজ ফুটে থাক কৃষ্ণার আকাশ।
৪.
অনুরাধা প্রকৃত অর্থেই নদী ছিল। আমি তার গায়ে জলের গন্ধ পাই। কয়েকটি ফুলের ভেতর অনুরাধাকে ছুড়ে দিলে সে একদিন পাখি হয়ে যায়। আমি জলের সিঁড়ি ধরে অনুরাধাকে ছুঁতে চেয়েছিলাম। জল ছেড়ে উঠে এসে দেখি—উড়ে যাচ্ছে মেঘচিল।