ভীতি
ব্ল্যাং-কলে উড়ে আসা ভীতির মতো জাপটে রেখেছ
একদা ভালোবেসেছিলে—
যতটা বাসলে নিঃশ্বাসও বিষাক্ত হয়
…আর আমি আছি এখানে
চারকৌণা টেবিলে বেড়ে রালহা জড়ানো ভাত
যার শরীর থেকে উড়ে যাচ্ছে উত্তাপ
বড় বিষাদ নিয়ে আমাকে গিলছে সময়।
কুকুর
আমিও কুকুর। তুমি ডাকলে আজও দরোজায় এসে দাঁড়াই
তুমি ডাকলে এতসব দুর্যোগের ভেতর যেন আজও আমার উৎসব আছে
যেন আমিও রূঢ়তা ভুলে জিভ বের করে দাঁড়িয়ে থাকা সহজ কলমীলতা
তুমি ডাকলে আমি আমার ভেতরে আমি ভেজা বিস্কুটের মতো গলে গলে পড়া
অথচ কতবার ফিরিয়ে দিয়েছ
ডেকে বলেছ, দুঃখটা সেরে গেছে দরোজাটা ওদিকে
কতবার তোমার নিষ্পাপ চোখ জানিয়েছে, ‘ভালোবাসতে জানো, তাই বলে কি দুঃখ দেবো না!’
তুমি, আমার বিগত যাপনের আনন্দে পাওয়া শোকচিহ্ন।
অন্ধকারের জার্নাল
এক.
ক্ষুধার পরিসরে ক্রমান্বয়ে ফুটপাত বদল করে মানুষের ভেতর মৃতবৎসা জীবন। কবর এক লৌকিক সমাপ্তি, যারও আগে নিভে যায় প্রাণ।
দুই.
প্রত্যেক ভ্রমণ শেষে দাঁড়িয়ে থাকা একই দিকে। ঘুঙুরের শরীর জানে কতো আঘাতে তার ঝংকার। বাঈজির নিভৃতে মানুষের ব্যথার কী আশ্চর্য নিনাদ।
তিন.
মেঘলা তরুণীর দিন ঝরে গেলো বৃষ্টির শরীরে। করোটির কালো শ্যাওলায় ছোট্ট বাড়ি। সূর্য ডুবে যায়।
চার.
চিনতে এতটুকু ভুল হয় না। বরফক্ষেতে শুয়ে থাকা নিজস্ব দেহলিপি। আয়না আলাপে নিশ্চুপ, তোমারই তো মুখের কঙ্কাল।