অনুতাপে গলে যায় নষ্টপ্রহর
প্রতিবার উত্তেজনায়
নিজেকে অপ্রয়োজনীয় করে তুলব ভেবে,
অসহ্য উচ্চারণে মিলন ঘটাই অপ্রাসঙ্গিক সত্যের
ইচ্ছে করেই উন্মুখ থাকি সঙ্গীহীনতায়…
শূন্য সময়ের ব্যাকুল পূর্ণতায়,
আকাঙ্ক্ষায় থাকি নিঃসঙ্গতা ছোঁয়ার…
অনর্থক অনুতাপে, অপচয়ে
ক্ষয়ে যায় সময়
আধুনিকতার সংজ্ঞা অনুবাদ করি নিজের মতো
অবহেলায় অবজ্ঞা করি অবাধ্য মন…
শুনতে চাইনি আত্মকথন, উপলব্ধ ধ্রুব
বহুবার অপ্রিয় শব্দে আঁকিবুকি করেছি
তোমার-আমার ছায়া…
তুমি কেবলই শোনাও, তবুও তুমি আমার কাছে আবশ্যক এক ‘তুমি’
আর আমি, অসম্ভবের আপসে তোমার বলা কথা বাণীর মতো আওড়াই,
আমাকে বহন করার উদারতা তোমার
বর্ধিত হোক আরও…
আই ডোন্ট হ্যাভ এনি স্যাডনেস
আমাদের তীব্র সংলাপে থাকবে না কোনো আগামী।
সমর্পনের দোহাই দিয়ে আর কখনো বলবো না পরস্পরকে,
তোমাকে ভালোবাসার সহস্র কোটি কারণ আছে…
আজ আর কোনো উপমায় শান্ত হয় না মন,
হৃদয়ের সমস্ত আবেগেও অশান্ত হয়ে ওঠে শরীর,
আজ আর সমর্পণ নয়…
বয়ে যাওয়া ঝড় থামাতে,
উচ্চারিত হবে শুধু প্রতিজ্ঞায়…I don’t have any sadness…
আমাদের নেই কোনো বেদনাবোধ,
অনুভবে নেই কোনো বিষাদ
আমরা চলেছি সময়ের হাত ধরে।
আজ আর কোনো হিসেবই পারে না আটকাতে অবশিষ্ট যা কিছু…
আমাদের একেকটি জানালা, দরজায় বড়োসড়ো সংকোচন
এর ভেতর-বাইরের জমাট গ্লানিকে করাত কলে কাটি,
জমিয়ে রাখি অপূর্ণতার প্রাপ্তিতে…
প্রতিদিন কান্নাজলে ভেজাতে হয় এ জলহীন প্রান্তর
এত জল কোথায়!
কপাটের ওপারে শব্দহীন অশ্রুপতন
তাই আজ কোনো হিসেবই পারে না আটকাতে
অবশিষ্ট যা কিছু…
সমপর্ণের দোহাই দিয়ে আর কখনো পরস্পরকে বলবো না,
তোমাকে ভালোবাসার আছে সহস্র কোটি কারণ…
আমাদের যুগল পথচলা ঠকিয়েছে কেবল
সে ক্ষণ, মুহূর্ত, সময়কে…
ইঙ্গিতে বলি, নিজেকেই বড় ভালোবাসি শুধু
তবু আমাদের যুগল হৃদয় শেষ মন্ত্রে উচ্চারিত সমর্পণে বলে
আমাদের মুখগুলোই মানুষের মতো,
আমরা আসলে মানুষ নই,
আর গুনগুনায়—I don’t have any sadness…
আরও পড়ুন: ওয়ার ফর পিস ॥ প্রদীপ আচার্য