অনন্ত আনন্দ, অনন্ত বেদনা
তুমি আমার অনন্ত আনন্দ
তোমার স্তনপান করে
কাঁদি।
শিক্ষকের কড়া স্নেহে
আমাকে শুদ্ধ করে দাও
ঘুমুবো!
পৃথিবীর অনন্ত বেদনা
আমি কাঁদি। ক্লান্ত।
চলে যাবো।
ডেডবডি
ডালিম ফেটে রক্ত পড়ছে টুপটাপ।
চুপচাপ; কেউ কাঁদে না এখন, পাথর সময়
কী যে সংশয়; জল লুকিয়ে রাখে চোখে
লোকে লাশ লুকিয়ে রাখে ঘরে!
লাশ নামিয়ে নেয় নয় তলা থেকে, রাত হলে!
ফলে শেষ গোছল না করিয়ে-
সরিয়ে দেয়। মানুষ গোপন করে মৃত্যু।
গভীর রাতে গোপনে পুলিশের গাড়ি আসে
বাড়ি পাশে। অথবা আঞ্জুমান মফিদুল
ফুল ছাড়াই নীরবে নিয়ে যায়
হায়—আমাদের ডেড বডি!
কাবাঘরও একা
আমাদের পূর্ণতা আর শূন্যতার সঙ্গমে
সৃষ্টি হচ্ছে
ভাইরাস এবং ভ্যাকসিন।
নব জাতকের জন্য অপেক্ষা এবং
পর্যবেক্ষণ করছি-
নার্স এলিজাবেথ মুয়েআ যাতে অদলবদল
না করতে পারে তাসের ভালকিতে।
হাজার হাজার দোয়া পড়েছি,
কাজে লাগেনি মোনাজাত।
কাবাঘরও একা।
এখন অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সঙ্গীত ছাড়া
মায়ের লাশ ফেলে দেবে না জঙ্গলে;
আর কেউ বাবাকে রেখে আসবে না
হসপিটালে!