মেস
লাইট জ্বালা থাকলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে না তো জনাব? আমার একটু ঘন ঘন চা খাওয়ার অভ্যেস…একটু লিখি টিখি কি না। ওপরেও চাঁদ জ্বেলে ঈশ্বর নামে কেউ কবিতা লিখছেন! আর মেঘের পানি চায়ের জন্য ফোটাচ্ছেন! আপনি কিন্তু একজন কবির সঙ্গেই থাকেন…ও আচ্ছা আমার লেখা মনে হয় চোখেও পড়েনি…ছদ্মনাম।নিজের মুখে না বললে এই নামে যে আমিই অখণ্ড-মানব এক; তাই অনাবিষ্কৃত থেকে যাবে…ও আপনার তো আবার ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হয়…
নাসিকা গর্জনে সব বিরক্তি আর ক্ষোভ ঝেড়ে যাচ্ছেন জনাব। তাও সাধু! সাধু!! শহরের এই কম পয়সার মেসকে এখন মনে হচ্ছে বহুমূল্যবান বর্ষাকাল! ব্যাঙের সঙ্গে নাকের এত সদ্ভাব, নাকি ঘুমের মাঝে মানুষ আসলে ব্যাঙ-ই?
ধ্যাৎ, আকাশে চাঁদ জ্বেলে লিখতে পারব না কখনো। আপনি ঘুমিয়ে থাকবেন নিশ্চিন্তে কথা দিচ্ছি।আমার শুধু একটু আলো দরকার। ঘুমিয়ে থাকুন।থৈ থৈ বর্ষাকাল আর ব্যঙ জনম মানুষের কাছে এসে কী চায় আমি তাই টাইপ করতে থাকব খটখট খটাখট খটাখট…
একই হাসির মঞ্চ
একই মুখ চুল ঝাঁকড়া হয়ে
এসেছিল দু’মাস আগে।
গোঁফ রেখে এসেছিলো
এই তো মাসখানেক হলো।
গোঁফ ও দাড়িতে
এরপর জড়াজড়ি হয়ে এলো,
দিনটি ছিলো গতকাল
গোঁফ-দাড়ি-লম্বা চুলে
রবীন্দ্রমার্কা চেহারা নিয়ে এলো
আজই!
চোখটা ধকধক করে জ্বলছে
কিন্তু একই হাসির মঞ্চ;
শুধু চেঞ্জ ব্যাকগ্রাউন্ডটাই!
লাল, নীল হাতের থাপ্পড়
মেয়েটি বলল, মরে যাবে ফের যদি এ কথা মুখে এনেছ কখনো, একটা থাপ্পড়ই বরাদ্দ তোমার জন্য..আমি বললাম, দাও; তবে হাতভরা যেন লাল, নীল চুড়ি থাকে। থাপ্পড়ও আর্ট! এটাও কি কবিতা? মেয়ে বলল।কিন্তু শিল্পজন; ঘরে এত মাকড়সা, ঘর তো নয় যেন ভূতের বাড়ি!
বললাম,মাকড়সাগুলো পুনর্বাসন করো তবে কিছুটা চোখের প্রশ্রয়ে আর কিছুটা হৃদয়ের প্রকোষ্ঠে…তখন মানুষের বাড়িতে চাঁদে উঠার মইও থাকবে, মাকড়সাগুলো চাঁদ ধরার জালই না বানিয়ে গেলো এতদিন!
প্রশিক্ষিত কুকুর
ডিবির প্রশিক্ষিত কুকুর আমাকে শুঁকে নিশ্চিত হতে চায় আমি ক্রিমিনাল কি না। কিন্তু আমি যেটা জানি ওর তা জানা নেই।আমি স্থির দৃষ্টিতে কুকুরটার দিকে তাকাতেই সে কেমন বশীভূত হয়ে গেলো! এখন সে ডিবির লোকটাকে শুঁকে দেখছে সে কবে থেকে স্ত্রী পরিত্যক্ত…তার হাতে কোনো বৃশ্চিক আছে কি না!
সাত দিন
বাজার থেকে দশদিনের সবজি নিয়ে এলাম; কিন্তু তা সাত দিনেই শেষ; বুয়ার হিসাব আঙুলের কড় গোনে সাত দিন পর্যন্তই!
চার দিনের মিঠাই নিয়ে এলাম আরেক দিন; কিন্তু সাত দিনই গেলো। সাতচক্র থেকে বেরুতে পারেনি বুয়া। আমার তিন দিন; ফাও মিঠাই দিন ছিল বকশিশ ও অন্যান্য প্রলোভন ছাড়াই!