০১.
হাওয়ার কলে আদম নড়ে
হাওয়া নড়ে কোন কলে
পুষলাম এক অচিন পাখি পিঞ্জরে॥
আমার পাখি আমার খাঁচা
আমি আমি আমার বাঁচা
যেদিন পাখির বন্ধ নাচা
কে কথা কয় অন্তরে
ইচ্ছা মনে জানবো স্বরূপ
শুনেছি সে রূপের ও রূপ
শব্দের ঘরে থাকে নিশ্চুপ
না আলো না অন্ধকারে
পুষলাম এক অচিন পাখি পিঞ্জরে॥
মনো ভাবে হলো জানা
লালন বলে আসল কানা
চেনা যায় এই প্রকারে
পুষলাম এক অচিন পাখি পিঞ্জরে॥
০২.
দেখি এ দুনিয়া, সামান্য ধূলিকণা
মজলো তাতেই মন শুনলো না মানা
আপনভোলা রইলো ভুলে
দেখলো না দিলকপাট খুলে
পাওয়ার যা তা ছিলো রাখা
তাতে মনে সুখ হলো না॥
জগৎসংসারে ফিরি তাই বারেবারে
জ্ঞানেতে কিছুই হলো না জানা
বসে ভাবি পাবো গুরু
হবে জীবন নতুন শুরু
লালন বলে পাগলা মনো
এসব হলো সব বাহানা॥
দেখি এ দুনিয়া, সামান্য ধূলিকণা
মজলো তাতেই মন শুনলো না মানা॥
০৩.
স্থির সে, তরঙ্গ ছিল
লীলাময়ে দিলো ঢেউ
ভবনদী বাইতে এসে
খুঁজি আমার তরণী কই
আলোতে তরঙ্গ তুলে
গতির গাড়ি যায় চলে
আমার গাড়ি চলে না রে
গলাজলে যায় ডুবে…
ক্ষণেক তারে দেখি চোখে
মনে পুষি চিরদিন
আধেক আমায় দেখালো
সাঁই, এ মনো দীনহীন॥