মাংসের মানুষেরা
রক্তের মতো লাল রঙা গাড়ির মধ্যে বসে দেখি
আবছা দুনিয়া। জলের মধ্যে আকাশ— হলুদ
সবুজ গাছের পাতা, কালো রাস্তা, নীল, কমলা
সাদা-সাদা আর নির্জন রাস্তায়, মানুষের প্রণয়।
মানুষেরা প্রেম করে, দেখি তার দীর্ঘ প্রস্তুতিপর্ব,
প্রথমে গাছের পাতার সবুজ যায়, জলের হলুদ
যায়, কালো সাদা নীল সব কাছে কাছে আসে,
তারপর নৈকট্যে পাপ জেনে—প্রেমই পালায়।
রক্তে প্রেম নাই মানুষ—রক্তের মধ্যে বিষ, দীর্ঘ
বিষাদ। মানুষ—
এখনও ভোলে নাই তার, আপন মাংসের স্বাদ।
অগ্নিময়ী প্রেম
দুপুর ছিল মেঘলা সেদিন; তবু মনের মধ্যে আলো,
বাছতে বাছতে পুরনো বই নীলক্ষেতে ঠিক সন্ধ্যা নামলো
হাঁটতে হাঁটতে এদিক-ওদিক গাছের পাতায় আঁধার
স্মৃতির পাশে অচেনা স্বর নীরবে ডাকছিল বারবার।
হঠাৎ—
চলতে চলতে আকাশ-মাটি, অনুভবে হৃদয়ে প্রবলেম
কেন অমন সন্ধ্যায় তুমি এলে আনন্দ অগ্নিময়ী প্রেম!
আমার থেকে দূরে
প্রেমে পড়ার চেয়ে পাপ আর কিসে হয় বলো
বিষ খেয়ে মরে গেলে? আত্মহত্যা বলে যারে,
খুনে, ওই যে কেটে ছড়িয়ে দেওয়া, চতুর্ধারা?
নদীর পারে যাব বলে, দুপুরবেলার গল্পগুলো
প্রেমে প্রেমে কী এক ইমো, হাসিমুখে দাঁড়িয়ে
গ্যালো; বলে—মিথ্যে, মিথ্যেই,পরাণ পোড়া।
লক্ষ্মী—
মানুষ যখন সময় পাবে, দেখো—ভালোবাসা,
ঠিক ফুরোবো, কেঁদে-কেঁদেই, অন্ধ হবে তারা!