চিত্রনায়িকা পারভীন সুলতানা দিতি আর নেই। রবিবার বিকেল চারটায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিউরোসার্জারি পরামর্শক সৈয়দ সায়ীদ আহমেদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মস্তিষ্কে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ায় ২০১৫ সালের ২৫ জুলাই থেকে ভারতের চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন দিতি। মাঝে কিছুটা সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে নভেম্বরে আবারও একই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপরই তাঁকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে।
দিতি জন্মগ্রহণ করেছেন ১৯৬৫ সালের ৩১ মার্চ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে। ১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রে আসেন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘ডাক দিয়ে যাই’। তবে, ছবিটি শেষপর্যন্ত মুক্তি পায়নি। মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি আজমল হুদা পরিচালিত ‘আমিই ওস্তাদ’।
দীর্ঘ ৩১ বছরের অভিনয়জীবনে দুই শতাধিক ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো ‘হীরামতি’, ‘দুই জীবন’, ‘ভাই বন্ধু’, ‘উছিলা’, ‘লেডি ইন্সপেক্টর’, ‘খুনের বদলা’, ‘দুর্জয়’, ‘আজকের হাঙ্গামা’, ‘স্নেহের প্রতিদান’, ‘শেষ উপহার’, ‘চরম আঘাত’, ‘স্বামী-স্ত্রী’, ‘অপরাধী’, ‘কালিয়া’, ‘কাল সকালে’, ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘মুক্তি’, ‘কঠিন প্রতিশোধ’, ‘জোনাকীর আলো’, ‘তবুও ভালোবাসি’, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’, ‘হৃদয় ভাঙা ঢেউ’, ‘মাটির ঠিকানা’, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’ ও ‘সুইটহার্ট। সিনেমার পাশাপাশি টিভি নাটকেও অভিনয় করেছেন দিতি। নাটক পরিচালনাও করেছেন। বেশকিছু বিজ্ঞাপনচিত্রেও মডেল হয়েছেন তিনি।
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন দিতি। সোহেল চৌধুরীর মৃত্যুর পর চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে বিয়ে করেন। শেষপর্যন্ত তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
মন্তব্য