কবিতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ লেখালেখি সাহিত্য পুরস্কার পেলেন কবি আসাদ চৌধুরী ও আল মুজাহিদী। আসাদ চৌধুরীকে লেখালেখি পুরকার-২০১৪ এবং আল মুজাহিদীকে ২০১৫সালের পুরস্কার তুলে দিয়ে দিয়েছেন অ্যামিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে দুই কবির হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ড. আনিসুজ্জামান বলেন, আমার জন্য আজকের দিনটি আনন্দ বয়ে এনেছে। আজকের পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই কবিই কপালদোষে আমার ছাত্র ছিলেন! এজন্যই এ আয়োজনে সানন্দে চলে এসেছি। দুজনই বাংলা সাহিত্যকে সাধনা, শ্রম, মেধা ও লেখা দিয়ে সমৃদ্ধ করে চলেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সাহিত্য পুরস্কার রয়েছে। তার কোনটি গুরুত্বপূর্ণ, তার বিবেচনা অর্থ দিয়ে হয় না। পুরস্কারের গুণমান নির্ধারণ হয় এ পুরস্কার কারা পেয়েছেন বা পাচ্ছেন তার ওপরে।
কাবি আসাদ চৌধুরী বলেন, আমি আমার লেখায় সময়ের কথা বলতে চেয়েছি। আমার মনে হয়, লেখার পেছনে আরেকটু সময় দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু নানা সামাজিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। মানুষের সঙ্গে মিশতে আমার ভালো লাগে। কিন্তু এখন বড় দুঃসময় পার হচ্ছে, মানুষ মানুষকে বিশ্বাস করছে না।
আল মুজাহিদী বলেন, বিবেক ও বোধের বারুদ জ্বালিয়ে পৃথিবীকে নতুন করে জাগিয়ে তুলতে হবে। আমাদের আরও মানবিক হতে হবে। কবিকে স্বাধীন হতে হবে। কবিদের কোনো কাঠামোর মধ্যে আবদ্ধ হলে চলবে না। তবে যে কবি যত ভালো কাঠামো নির্মাণ করতে পারবে, সে তত ভালো কবি।
প্রাবন্ধিক-সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মাহমুদ শাহ কোরেশী, গীতিকার কে জি মোস্তফা ও ছড়াকার ফারুক হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন, ‘লেখালেখি’ প্রকাশনার কর্ণধার আবুল কাসেম হায়দার।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন লেখালেখি সাহিত্য পুরস্কার জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব জাকির আবু জাফর।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সাহিত্য পুরস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এটি প্রচলিত। কখনো পুরস্কার পেয়ে কেউ সম্মানিত হয়, কেউ পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত হয়। আজকে যারা পুরস্কার পেয়েছেন, তাদের পুরস্কার পাওয়া না পাওয়ায় আসে যায় না। বরং তাদের পুরস্কার প্রকাশনা সংস্থা ‘লেখালেখি’ সম্মানিত হয়েছে।
মন্তব্য