গিরীশ গৈরিকের ২৯তম জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল তাঁর একক কবিতাসন্ধ্যা। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় কবি এক-এক করে তাঁর মা সিরিজ থেকে পাঠ করলেন ৩০টি কবিতা। একইসঙ্গে কথা বললেন কবিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের হৃথিবীরথ। আয়োজন সহযোগী হিসেবে ছিল শিল্পসাহিত্যের ওয়েবম্যাগ চিন্তাসূত্র ও বেহুলাবাংলা প্রকাশনী।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই কবিকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। তারপর কবির জন্মদিনের কেক কেটে উদ্যাপন করা হয় জন্মদিনের আবহ। কবিতাসন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন কবি মাহবুব আলম জন, আয়েস উদ্দিন, আলমগীর কবির, শরীফ শামীল, পা-ব মনদেহী, সুজান সাম্পানসহ আরো অনেক তরুণ কবি ও শিল্পানুরাগী। হৃথিবীররথের পক্ষ থেকে কবিকে দেওয়া হয় হৃবন্ধনউত্তরীয় এবং স্থানীয় মৃৎশিল্প।
গৈরিক-এর একক কবিতাসন্ধ্যা প্রসঙ্গে কবি-কথাকার আনিফ রুবেদ বলেন, ‘মা সিরিজের কবিতাগুলো শুনে মনে হলো, মা যেমন আমাদের কাছে একেবারে সহজ প্রকাশ, সহজ ভালোবাসা, তেমনি কবিতাগুলোও খুব সহজভাবে, সহজ আনন্দের ভেতর দিয়ে মর্মে প্রবেশ করলো। কবিতার ভেতর অহেতুক কোনো জটিলতা নেই। মা সিরিজ মায়ের মতোই সহজ।’
মা সিরিজ প্রসঙ্গে গিরীশ বলেন, ‘আমার কবিতা নিতান্তই সাদামাটা। আকাশের মতো বর্ণিল, তবে দৃশ্যমান সেই রঙের লুকোচুরি। তিনি আরও বলেন, এমন কোনো কবিতা মা সিরিজে লিখতে চাইনি, যা পাঠ করে বাংলার মা-বোনেরা বুঝতে ব্যর্থ হবেন।’
কবি গিরীশ গৈরিকের জন্ম ১৫ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া উপজেলায়। তিনি সাধারণ এক কৃষক পরিবারের সন্তান। তার ছেলেবেলা কেটেছে মধুমতির তীরে ঘুরে ফিরে। তিনি এসএসসি পরীক্ষা শেষ করেই তার নিজ গ্রামে গড়ে তোলেন ‘গীতাঞ্জলি সাহিত্য পরিষদ’। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর করেন। বর্তমানে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন সাংবাদিকতা। গত ফেব্রুয়ারি গ্রন্থমেলায় বেহুলাবাংলা থেকে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ক্ষুধার্ত ধানের নামতা’।
কবিতা পাঠ শেষে শুরু হয় সঙ্গীত অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয় সদ্যপ্রয়াত কবি ওয়ালী কিরণকে। এর আগে কবি ওয়ালী কিরণকে স্মরণ করে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।