এবার কবি-সম্পাদক আনওয়ার আহমদ স্মৃতিপদক পেলেন ছোটকাগজ ‘অপর’ সম্পাদক কবি মাসুদার রহমান। বৃহস্পতিবার আনওয়ার আহমদের ১২ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বগুড়া লেখক চক্র এ পদকে ভূষিত করে তাকে। মাসুদার রহমানের হাতে পদ তুলে দেন কবি মাকিদ হায়দার।
এ উপলক্ষে বগুড়ায় এফপিএবি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন বগুড়া লেখক চক্রের উপদেষ্টা কবি মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমির খসরু সেলিম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি মাকিদ হায়দার।
স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন কবি রেজাউল করিম চৌধুরী, কবি শোয়েব শাহরিয়ার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বগুড়ার সহ-সভাপতি ও সংগঠনের উপদেষ্টা আতিকুর রহমান মিঠু, উপদেষ্টা কবি শিবলী মোকতাদির, সংগঠনের সভাপতি কবি ইসলাম রফিক, সহ-সভাপতি হাবীবুল্লাহ জুয়েল, নাজিম আনওয়ার রূপম, নান্দনিক নাট্যদলে প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান চৌধুরী, কবি মনসুর রহমান, কবি সম্পাদক নাহিদ হাসান রবিন, কবি সিকতা কাজল ও কবি আফসানা জাকিয়া।
স্মরণসভায় কবির জীবনী পাঠ করেন রাহমান মিজান। আন্ওয়ার আহমদকে নিবেদিত কবিতা পাঠ করেন সৈয়দ বুলান্দ আখতার, তরু তালুকদার, রাব্বী হাসান, হারুন অর রশিদ, লতিফ আদনান, হাদিউল হৃদয়, জান্নাতুল ফেরদৌস বানী ও শাহান-ই-জেসমিন ডরোথী।
বক্তারা বলেন, আনওয়ার আহমদ সারাজীবন নিঃস্বার্থভাবে সাহিত্যের জন্য কাজ করে গেছেন। লেখক তৈরিতে তার অবদান ছিল অসামান্য। তিনি সম্পাদক হিসেবে ছিলেন যথার্থ। তিনি সবসময় লেখকদের লেখা তৈরিতে তাড়া দিয়েছেন। আজকের অনেক বিখ্যাত লেখকের জন্ম তার হাত দিয়ে। তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থে একজন লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদক। তিনি অনেক লেখকের বই প্রকাশ করেছেন নিজের প্রকাশনী থেকে। বিশেষ করে সমসাময়িক কবিদের বই তার দিয়েই প্রকাশনা শুরু হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় জীবিত থাকতে যারা বিভিন্নভাবে আনওয়ার আহমদের মুখাপেক্ষী ছিলেন, তারা তাকে স্মরণ করছেন না। এ ক্ষেত্রে বগুড়া লেখক চক্র তাকে স্মরণ করে একটি মহৎ কাজ করছে। ভালো কাজে বাধা থাকবেই। তবু সাহিত্যের কাজ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তরণদের পাঠের মাধ্যমেই আনওয়ার আহমদ বেঁচে থাকবেন। কারণ, তিনি ছিলেন চিরতরুণ।
উল্লেখ্য, কবি, কথাশিল্পী ও সম্পাদক আনওয়ার আহমদের জন্ম ১৯৪১ সালের ১৩ মার্চ বগুড়ায়। তিনি ২০০৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।