চলে গেলেন বাংলা সংগীতাঙ্গনের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লাকী আখন্দ। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ছটার দিকে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১।
লাকী আখন্দ দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগছিলেন। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হলে ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে তার।
এরপর ঢাকা থেকে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার জন্য তখন পাঁচ লাখ টাকা অর্থ সাহায্য করেছিলেন। থাইল্যান্ড থেকে ফিরে তিনি ইউনাইটেড হাসপাতাল ও বারডেমে চিকিৎসা নেন। পরে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। ২ মাসেরও বেশি সময় সেখানে থাকার পর ৭ এপ্রিল পুরান ঢাকার আরমানিটোলার নিজ বাসায় ফেরেন তিনি। শুক্রবার সেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
লাকী আখন্দের জন্ম ১৯৫৬ সালের ১৮ জুন। তিনি একাধারে সংগীত পরিচালক, সুরকার ও গীতিকারও। ১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে বের হয় তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘লাকী আখন্দ’। ওই অ্যালবামের বেশ কয়েকটি গান ব্যাপক সাড়া ফেললেও ১৯৮৭ সালে ছোট ভাই হ্যাপী আখন্দের মৃত্যুর পরপর সংগীতাঙ্গন থেকে অনেকটা স্বেচ্ছানির্বাসনে যান নেন এই গুণী শিল্পী।
‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’, ‘কে বাঁশি বাজায় রে’, ‘স্বাধীনতা তোমাকে নিয়ে’, ‘নীল নীল শাড়ি পড়ে’, ‘পাহাড়ি ঝরনা’, ‘হঠাৎ করে বাংলাদেশ’সহ অসংখ্য গানের সুরারোপ ও সংগীতায়োজন করেছেন বাংলা সংগীতের এই কিংবদন্তি শিল্পী।
মন্তব্য