আজ ১০ মার্চ, আজ কবি, কথাশিল্পী ও সাংবাদিক আলমগীর রেজা চৌধুরীর জন্মদিন। ১৯৫৪সালের আজকের এই দিনে তিনি টাঙ্গাইলের ধলাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
আলমগীর রেজা চৌধুরী কবিতা, গল্প, উপন্যাসসহ সাহিত্যের নানা শাখায় কাজ করছেন।
চিন্তাসূত্রকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার কবি হয়ে ওঠার গল্পে বলেছেন, ”টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া নামক গ্রামের পাশঘেঁষে বয়ে গেছে পাহাড়ি নদী বংশাই। স্রোতস্বিনী। বর্ষায় জল শোঁ শোঁ করে নদীতে পড়ে। উত্তর থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে নদীর দু’কূল উপচে জল পড়ে। জলে আসে পলি। বনভূমির নিম্নাঞ্চলে বিস্তৃত বিল। বিলে আসে মাছ। তারপর জল চলে যায়। চারপাশে ধান গাছের ফলবান চারা সাম্বা নৃত্যের মতো দোল খায়। পূর্বে প্রাচীন গোবিন্দপুর শহর হয়ে রাস্তা চলে গেছে গুপ্ত বৃন্দাবনের দিকে। উত্তরে মধুপুর গড়ের মহা বেষ্টনী। আদিবাসী পল্লীর খোল-করতালের দ্রিমিকি দ্রিমিকি শব্দ। বংশাইর ওপর আদ্যিকালের এক লোহার সাঁকো আছে। ব্রিটিশদের তৈরি। সরু। ওই রাস্তা ডিস্ট্রিক বোর্ডের। পশ্চিমে রাস্তার বনভূমির চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ঘাটাইল থানার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মূল রাস্তার সঙ্গে মিশেছে। দক্ষিণে দেওপাড়ার বনভূমির নিবিড়তম স্নিগ্ধতা। তারপরও বংশাইর জলের প্রতি ছিলো যত মুগ্ধতা। জলকেলিরত দুরন্ত বালকের আবেগ। কল্লোলিত জল ভেঙে দাঁড় টেনে নৌকোর মাঝি গায়, ‘কে যাইরে ভাটি গাঙ বাইয়া’। না মাঝির সঙ্গে দেখা হয় না। নতুন এক মাঝি পালতোলা নৌকায় বৈঠার ছলাৎ শব্দ করে নদীর বাঁকে হারিয়ে যায়। পাশের মৌডাল গাছের ডালে ঝাঁক ঝাঁক টিয়ে এসে বসে। ওড়াওড়ি করে। একদিন অনুভব করি আমি এক কবিতা কুমারীর প্রেমে পড়ে গেছি। এ বড় কঠিন পিরিত।”
মন্তব্য