মোহাম্মদ নূরুল হকের ‘নবাবের একদিন’ গল্পটি পড়লাম। গল্পের নায়ক ‘নবাব’ একজন চাকরিজীবী। কিন্তু কোনো নিম্নবেতনভুক কর্মচারী নন, একটি কোম্পানির অতিরিক্ত পরিচালক (Additional Director)। অবশ্য পদোন্নতি পেয়ে তিনি এই পদে উঠেছেন। তার আগে নিম্নতর পদে চাকরি করতেন। বেতনভাতা সেই স্তরের। কিন্তু তারপরও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গড়ে তোলা সংসারের চাহিদা মেটাতে সেটা যথেষ্ট নয়। তদুপরি মা-বোন-ভাইদের বিপদের সময় টাকা দেওয়ার জন্য চাপ। নবাবের সাধ্যের বাইরে। তিনি সৎ অফিসার , বেতনভাতার বাইরে কিভাবে টাকা উপার্জন করা হয়, তা তার জানার ও আগ্রহের বাইরে।
বাইসাইকেলে চড়ে অফিস করা। আর স্ট্যাটাস মেইনটেইন করে অফিসে যেতে না পারায় সহকর্মীদের বিশেষত কোম্পানির কর্মকর্তাদের মন খারাপ: ইজ্জ্ত আলীর প্রেস্টিজ পাংচার! গার্ডও তাকে চিনতে পারেনি বলে বেইজ্জত হতে হয়েছিল। এমন ত্রিশঙ্কু অবস্থায় বাইসাইকেল আরোহী নবাবের সড়ক দুর্ঘটনা; অতঃপর অকাল মৃত্যুর কাছকাছি।
উৎকৃষ্ট মানের যেকোনো গল্প বা উপন্যাসে কয়েকটি বিষয়ের যৌক্তিক সম্মিলন ঘটে: সময়, ভূগোল, ঘটনা এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। আমাদের দেশ মূলত কৃষিপ্রধান দেশ এবং আমরা প্রায় সবাই যৌথ পরিবারের সন্তান। একটি পরিবারের একজন ছেলে অথবা মেয়ে যখন একটি চাকরি পায়, কখন তার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে বাপ-মা, ভাইবোন, স্ত্রী-সন্তান তথা পরিবারের সবাই। সেজন্য তাদেরও দোষ দেওয়া যায় না। বাপ-মার অতিকষ্টে উপার্জিত টাকায় পড়াশোনা করে চাকরি পাওয়া। বৃদ্ধ বয়সে তারাও অসহায় হয়ে পড়েন। স্বামী-স্ত্রীর একজন চাকরি করেন, আরেকজন সংসার সামলান, বাচ্চাকাচ্চা মানুষ করেন। তাদের সবাইকে চাকরিজীবী মানুষটির ওপরই নির্ভর করতে হয়। আবার তাকে অফিসের ‘স্ট্যাটাস ‘ কম বেশি মেইনটেইন করে চলতে হয়। তার বেতন ভাতায় এসব কোনোভাবেই কুলায় না । চাকরিজীবী বেচারা একসময় ট্রাজেডির নায়ক হয়ে ওঠেন। মোহাম্মদ নূরুল হকের ‘নবাবের একদিন’ গল্পের নবাবও তেমনি একজন ট্র্যাজেডির নায়ক।
আমাদের দেশ একসময় শুধু কৃষির ওপর নির্ভর করেই চলতে পারতো। বর্তমানে লোকসংখ্যা যা তাতে কেবল কৃষি দিয়ে একবেলার খাবারও হয় না। আর কোনো পরিবারেরই এখন তেমন জমি নেই। ভাগ হতে হতে শেষ। অথচ আমরা বলে যাচ্ছি যে, জনসংখ্যা আমাদের জন্য কোনো সমস্যা নয়! তো সমস্য কী? আছে নদীভাঙন। খরা। উৎপাদিত ফসলের উপযুক্ত মূল্য না পাওয়া। সময়ের বিবর্তনে বর্তমানে বাংলাদেশ চরম পুঁজিবাদের অনুসারী রাষ্ট্র ও সমাজ। আগেও পুঁজিবাদী অর্থনীতিই ছিল এখানে। কিন্তু বর্তমানে তা চরম পুঁজিবাদে পরিণত হয়েছে।
আবার তিনি নিজেও চাকরি-বাকরি করেন না, ফলে স্বামীর ওপরই নির্ভর করতে হয় তাকেও। তিনিও সংসার নিয়ে হিমসিম খেতে খেতে অবিশ্বাস, সন্দেহপরায়ণতা ইত্যাদির শিকার হয়েছেন।
অর্থনীতি-রাষ্ট্রনীতি সবই চরম পুঁজিবাদের নিয়ন্ত্রণে। পুঁজিবাদের প্রধান লক্ষ্য হলো শ্রম শোষণ করে Maximization of Profit. আর বাংলাদেশি পুঁজিবাদ আরও ভয়ঙ্কর। উন্নত রাষ্ট্রে অন্তত ‘মালিকদের’; একধরনের ‘জবাবদিহিতা’ করতে হয়। অনুন্নত দেশে তারও বালাই নেই। অধিকন্তু অনুন্নত দেশে সব গণমাধ্যম ধনিক ও ব্যবসায়ী শ্রেণির নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাদের স্বার্থে কাজ করে। তারাই সেসবের মালিক হন। মিডিয়ার স্বাধীনতা কেবল সরকারের পলিসির ব্যাপার নয়, মিডিয়া মালিকদের স্বার্থও নিয়ামক ফ্যাক্টর। মিডিয়ার মালিকগণ মাসের পর মাস কোনো কর্মচারী অথবা গণমাধ্যমকর্মীর বেতনভাতা আটকে রাখলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা তা নিয়ে নিউজ করতে পারেন না। নিউজ করলে চাকরিটা আর থাকবে না।
‘নবাবের একদিন’ গল্পের নবাব যে-বেতনভাতা পান, তা দিয়ে নদীভাঙনে নিঃস্ব গ্রামের বাড়িতে রেখে আসা স্ত্রী-পুত্র-কন্যার চারজনের সংসার চলে কোনোমতে। কিন্তু ছেলে রাশেদ বড় হয়েছে। ব্যাপক বেকারত্বের দেশে কাজ নেই। সে ইটালি যাবে। লাগবে ১৫ লাখ টাকা। কেন এত টাকা লাগবে? বিমান ভাড়া ছাড়া তো আর কোনো টাকা লাগার কথা ছিল না। লাগবে। কারণ পুঁজিবাদী সমাজে লোক পাঠানো রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মালিক ধনী ও ক্ষমতাবান ব্যবসায়ীরা যাদের মূল লক্ষ্য ‘ন্যায়-অন্যায়’ না-জেনে না-মেনে কেবল মুনাফা, মুনাফা এবং আরও মুনাফা। নবাব তা দিতে অসমর্থ। তার বেতন-ভাতায় তার একটা অংশও মেটানো সম্ভব নয়। তার ঘুষের চাকরিও নয়। তিনি মন-মানসিকতাতেও সৎ। আবার ইতোমধ্যে তার ভাই অসুস্থ, মা ফোন করে বলেছেন চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা দিতে। নবাব পারছেন না। ফলে তিনি স্ত্রী-পুত্র-ভাইবোন-মা-সন্তান সবার কাছে ‘মিথ্যাবাদী’, ‘অপদার্থ’, ‘চরিত্রহীন’ এবং এক কথায় একজন ব্যর্থ মানুষ।
গল্পের নবাব বাইসাইকেলে চড়ে অফিসে যান, এতে করে অফিস, কোম্পানি ও অন্যান্য সহকর্মীদের প্রেস্টিজ পাংচার হয়। সবকিছু সহ্যের বাইরে চলে যেতে থাকলে নবাবের জীবনে প্রথমে রোড অ্যাকসিডেন্ট হয়। অতঃপর অকাল মৃত্যুর হাতছানি। মোহাম্মদ নূরুল হক একজন‘বেসরকারি চাকরিজীবী’-এর করুণ অবস্থা উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে এই অবস্থা একইরকম ভয়াবহ। ২৯টি ক্যাডারের কর্মকর্তা এবং নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে তাদের সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ; শূন্য আছে প্রায় ৩ লাখ। মোট ১৮ লাখ। তাদের মধ্যে ‘বাড়তি আয়’করার সুযোগ আছে শতকরা কতজনের? একজন পিয়নকেও ঢাকা শহরে থাকতে হয়; একজন গাড়িচালক থাকতে হয়; একজন নৈশপ্রহরীকে থাকতে হয়; একজন কম্পিউটার অপারেটরকে থাকতে হয়। একজন সিপাহীকেও ঢাকা শহরে অথবা অন্য শহরে রাতদিন পরিশ্রম করতে হয়। আসলে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা এরকমই ।
‘নবাবের একদিন’ গল্পে পুঁজিবাদ প্রযোজিত বেসরকারি খাতের পদোন্নতিপ্রাপ্ত একজন Additional Director-আর্থিক অসচ্ছলতাজনিত করুণ অবস্থার ছবি আঁকা হয়েছে। সরকারি খাতে অবস্থাও ভয়াবহ । দুর্নীতির একমাত্র কারণ না হলেও প্রধানতম কারণও আর্থিক অসচ্ছলতা। অথচ রাতদিন পত্র-পত্রিকায় দেখি– সরকারি চাকরিজীবীরা সবাই ধনী, রাজার হালে আছেন! রাজা তো নয়ই, তাদের অন্তত ৮০%-এর অবস্থা ‘নবাবের একদিন’গল্পের নবাবের মতো। চাকরিজীবীদের বড় অংশটাই চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর নিজ গ্রামের/ শহরতলীর বাড়িতে যাওয়ার অবস্থায় থাকেন না। ততদিনে মা-বাবা তো মারাই যান। টাকা দিতে না পারলে ভাইবোন-আত্মীয়স্বজন কেউই একজন চাকরিজীবীকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করতে চায় না। সবার কাছে তিনি একটা Black sheep কিংবা ফালতু লোক অথবা অপদার্থ জাতীয় কিছু একটা বলে গণ্য হন। তিনি মসজিদে দান করতে পারেন না, তিনি কবরস্থানের জন্য টাকা দিতে পারেন না, তিনি সামাজিক অনুষ্ঠানে বড়ধরনের চাঁদা দিতে পারেন না, তিনি কোনো স্কুল-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করতে পারেন না। ফলে তাকে কেউ নিতে চায় না।
আরেকটি কথা: বেসরকারিকরণ- এর পক্ষে যতই চিৎকার করা হোক, বাংলাদেশের মতো সমাজে বেসরকারি চাকরির অবস্থা মোটেও ইউরোপ-আমেরিকার মতো নয়। এখানে বেসরকারি শিল্পকারখানা-কোম্পানির মালিকগণ তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘মালিকের ইচ্ছাধীন কর্মচারী’ ছাড়া কিছুই মনে করেন না। ইউরোপ আমেরিকার উন্নত মানসিকতা ও মানবাধিকারের প্রতি দায়বোধ বাংলাদেশে গড়ে ওঠেনি। সরকারি খাতে একজনের চাকরি কেড়ে নেওয়া মোটেই সহজ নয় কিন্তু ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান যখন তখন কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই তা করতে পারে। ‘নবাবের একদিন’ গল্পে বিনা দোষে এবং কোনো কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান ছাড়াই নবারের ১০% বেতন কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কেন? কারণ নবাব বাইসাইকেলে চড়ে অফেোস যাতায়াত করেন এবং ‘…পার্কিং জোনের এই হই-হট্টোগোলের কথা এমডি-র কান পর্যন্ত পৌঁছে যায়। অফিসে ঢুকতেই এমডির রুমে ডাক পড়ে। নবাবকে দেখেই এমডি বলে, কী ব্যাপার? রাস্তায় বাইসাইকেল চালান, ডানে-বাঁয়ে তাকানোর প্রয়োজন মনে করেন না?’এটা সরকারি চাকরিতে কখনোই কোনো ‘বস’ করতে পারবেন না।
গল্পটির ভূগোল , সময়, পরিবশে, ঘটনাসমূহ কোনোকিছুই অভিনব নয়, কিন্তু গল্পটি নির্মাণের কৌশল মোহাম্মদ নূরুল হকের নিজস্বতায় সমৃদ্ধ ও উজ্জ্বল। গল্পে নবাবের স্ত্রী রাশেদাকে সন্দেহপরায়ণ এবং বদ মেজাজের মানুষ হিসেবে দেখা যায়। মনে হবে মোহাম্মদ নূরুল হক নারীবিদ্বেষী একজন মানুষ। কিন্তু তা নয়। রাশেদা যখন একজন চাকরিজীবীর বউ হয়ে এসেছিলেন, তখন তারও মনে আশা ছিল যে চাকরি করেই তারা একদিন বড়লোক কিংবা অন্তত সচ্ছল জীবনের অধিকারী হবেন। কারণ আমাদের দেশে পত্র-পত্রিকায় সেভাবেই চাকরিজীবীদের উপস্থাপন করা হয়ে থাকে। আবার তিনি নিজেও চাকরি-বাকরি করেন না, ফলে স্বামীর ওপরই নির্ভর করতে হয় তাকেও। তিনিও সংসার নিয়ে হিমসিম খেতে খেতে অবিশ্বাস, সন্দেহপরায়ণতা ইত্যাদির শিকার হয়েছেন।
গল্পটির ঘটনার ক্রমবিকাশ, বিন্যস্তকরণ এবং আলো-আঁধারিমাখা করুণ উপসংহার রচনায় গল্পকার দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
নবাবের ছেলে রাশেদ এবং মেয়ে নাহিদা সমাজের স্বাভাবিক চরিত্র। তারা প্রথমে না পিতার প্রকৃত অবস্থা ও অবস্থান না বুঝলেও পরে পিতার করুণ দশা দেখে কষ্ট পায়, বাবার জন্য অশ্রু ঝরে তাদের চোখে, হৃদয়েও। অফিসের গার্ড, বস ইত্যাদি চরিত্রগুলো বাস্তব থেকে নেওয়া। ফলে গল্প পাঠ করতে করতে কখনো তাদের গল্পকারের কষ্টকল্পনার সৃষ্টি বলে মনে হয় না।
পুঁজিবাদ থেকে চরম পুঁজিবাদের আগ্রাসী জয়জয়কার, পণ্যসংস্কৃতি , কৃষি-শিল্প-লোকশিল্প সবকিছু ব্যবসায়ীর দখলে চলে যাওয়া, তৃণমূল প্রসার, বাড়তি জনসংখ্যার অনুপাতে কর্মসংস্থানের প্রকট অভাব, নদীভাঙন, ভোগবাদী জীবনের প্রতি সব স্তরের মানুষের ক্রমবর্ধমান মাত্রায় ঝুঁকে পড়া এবং সেসবের বিষময় ফল উপস্থাপিত হয়েছে মোহাম্মদ নূরুল হকের ‘নবাবের একদিন’গল্পটিতে। গল্পটি বাস্তবে দেখা অথবা কল্পিত একজন নবাবকে নিয়ে কিন্তু সমাজে এমন ত্রিশংকু অবস্থায় অ-যাপনযোগ্য জীবন যাপন করছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী লাখো নবাব । গল্পটির ঘটনার ক্রমবিকাশ, বিন্যস্তকরণ এবং আলো-আঁধারিমাখা করুণ উপসংহার রচনায় গল্পকার দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
পড়ি আরেকবার, ‘আব্বার কথাগুলো নবাবের কানে দ্বৈববাণীর মতো লাগে। এতদিন আব্বা কোথায় ছিলেন। আব্বা এসব দুর্বোধ্য কথা কেন বলছেন? নবাব আবার ভাবনার অতল গহ্বরে ডুব দেয়। হঠাৎ তার কানে আসে রাশেদার কণ্ঠ—ওই শাহেদা, দ্যাখ তো তোর বাপ মইরে টইরে গেছে কি না? সাড়াশব্দ তো নাই। শাহেদার কণ্ঠ শোনা যায় না। সে কী করে তাও বোঝা যায় না। কেবল নাহিদা ঝুঁকে পড়ে নবাবের মুখের কাছে। আর হঠাৎ ফুঁপিয়ে ওঠে।
নবাব মেয়ের দিকে তাকাতে চায়। পারে না। একবার চোখ যায় স্ত্রী-সন্তানের দিকে, একবার দয়াহীন-মায়াহীন ছাদের পানে। দেখে সেখানে ছাদ নয়, শূন্য আকাশের তলে কোমল ঠোঁটের মতো মসৃণ মেঘের পাপড়ি উড়ে বেড়াচ্ছে। সেই মেঘের ফাঁকে দুই হাত বাড়িয়ে স্বর্গীয় দূত জিবরাইল দাঁড়িয়ে আছে। না, জিবরাইল নয়, আব্বা দাঁড়িয়ে আছে। আব্বা ডাকছে। নবাবের চোখ বেয়ে দুই ফোঁটা তপ্ত জল গড়িয়ে পড়ে।’
যারা ছোটগল্পের প্লট খুঁজে না পেয়ে দক্ষিণ আমেরিকা হয়ে মঙ্গলগ্রহ পর্যন্ত ছোটাছুটি করেন, তারা ‘নবাবের একদিন’ পড়লে বুঝতে পারবেন, কেন রবীন্দ্রনাথ সেই `একটি শিশির বিন্দু’ কবিতায় বলেছিলেন, `…দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া/ ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া/ একটি ধানের শিসের উপরে/ একটি শিশির বিন্দু।’
মূল গল্প :নবাবের একদিন ॥ মোহাম্মদ নূরুল হক