নতুন পথ সৃষ্টির দাবি তোলা হয়েছিল গত সংখ্যার আলোচনায়। তবে দাবির তো কোনো শেষ নেই। হবেও না। এবারের দাবি- আরও নতুন কিছু চাই। পুরনো থিম থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সে লক্ষ্যেই আজকের আলোচনা।
দৈনিক সংবাদের সাহিত্য সাময়িকীর এবারের সংখ্যায় ‘বাংলায় হেমন্ত কাব্যের প্রাচুর্যে’ শিরোনামে লিখেছেন আজাদ এহতেশাম। লেখক বলেছেন, ‘সাহিত্যে ষড়ঋতুর প্রভাব সংবেদনশীল কবিচিত্তের সন্নিধানে কাব্যিক সুষমামণ্ডিত চিত্রে উপস্থাপিত হয়েছে বহুকাল থেকেই। কবিচিত্রের রূপ-রসে ঋতুচক্রের ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতি বাঙ্ময় হয়ে উঠে এসেছে তাঁদের শিল্প সাহিত্যে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘বাংলা সাহিত্যে হেমন্ত স্বল্পস্থায়ী হলেও একেবারে তার প্রভাব দুর্লক্ষ্য নয়। বিভিন্ন কবি-সাহিত্যিক তাঁদের সুনিপুণ হাতের জাদু স্পর্শে শৈল্পিক সৌকর্যে হেমন্ত অনবদ্য বাণীমূর্তি রূপে উদ্ভাসিত হয়েছে।’ তিনি উল্লেখ করেছেন- ‘বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী প্রতিভা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হেমন্ত ঋতু নিয়ে অজস্র কবিতা ও গান রচনা করেছেন। কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, জসীমউদ্দীন, সুফিয়া কামাল, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, বিষ্ণু দে, শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, শক্তি চট্টাপাধ্যায় প্রমুখের কাব্যে হেমন্ত ঋতু অসাধারণ চিত্রকল্পে পাঠক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।’
ফাদার দ্যতিয়েনের প্রতি শোক ও শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে ‘ফাদার দ্যতিয়েন : তাঁর গদ্য’ শিরোনামে লিখেছেন মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়। লিখিছেন- ‘ফাদার দ্যতিয়েন প্রাথমিকভাবে ধর্মের সূত্রেই এদেশে আসেন। কলকাতায় আসেন ১৯৪৯-এ, লন্ডন থেকে বোম্বাই (ইদানীং মুম্বাই) ষোলো দিনের জাহাজপাড়ি ও সেখান থেকে ট্রেনে। কলকাতা, শ্রীরামপুর ও বিশ্বভারতীতে (শান্তিনিকেতন) বাংলা শেখেন তিনি। মধ্যপর্বে সুন্দরবন অঞ্চলে শিক্ষকতার কাজেও নিয়োজিত ছিলেন। বাংলায় অবাঙালিদের সেরা প্রতিনিধি ছিলেন ফাদার দ্যতিয়েন।’
একক বাক্যে অণুগল্প ‘সম্বোধন’ লিখেছেন নিয়োগী মোজাম্মেল হক। গল্পে মেয়েটির হাসি রাজাকারদ্বয়ের কাছে রহস্যময় মনে হয়। অপূর্ব মায়াবী সৌন্দর্যের মেয়েটিকে দেখে ভয়ঙ্কর ক্রুর হাসি হেসে তীব্র কামোত্তেজনায় শিহরিত হুক্কা খান রাজিয়ার হাত ধরে টানতে টানতে নিজের শয়নকক্ষের দরজা খুলে প্রবেশমাত্র রাজিয়াকে পুতুলের মতো শয্যায় ছুড়ে ফেললেও রাজিয়া খিলখিল করে হাসতে থাকাতে বিস্ময়ে আর আক্রোশে ফেটে পড়া মেজর হুক্কা খান। গল্পের শেষে পিস্তল তাক করে রাজিয়ার উন্মুক্ত বুকে গুলি ছুড়লে কিছুক্ষণ আগে দাঁতের দাগ বসানো কর্তিত রক্তাক্ত গোলাকার কাচের পেপার ওয়েটের মতো বাম পাশের স্তনটি বিদীর্ণ হয়ে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল ঠিক তখন রাজিয়া ধীরে ধীরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার আগে সুষ্পষ্ট অথচ তীক্ষ্ন উচ্চারণে চিৎকার করে বলল, ‘কুত্তার বাচ্চা’।
কণিকা রশীদের ‘আঁধারকন্যা’র পরবর্তী পর্ব প্রকাশ করা হয়েছে এ সংখ্যায়। আকিমুন রহমানের সাম্প্রতিক উপন্যাস ‘সাক্ষী কেবল চৈত্রমাসের দিন (আদি পর্ব) ’ নিয়ে আলোচনা করেছেন খালেদ হামিদী। প্রথমত এটি প্রেমের উপন্যাস যা একটি লোকালয়ের আনুভূমিক বাস্তবতার দ্বারা সচকিত। সেই বাস্তবতাটি কেমন? জানতে হলে আকিমুন বিবৃত পরিবেশ-প্রতিবেশের সঙ্গে পরিচিত হতেই হয়। তীব্র নারীবাদী লেখক-চিন্তক আকিমুন রহমানের এই উপন্যাসে জুলেখা নীরব এবং শেষে হৃত। কিন্তু ইউসুফের বা পুরুষের প্রেমানুভূতি আশ্চর্য সংবেদনশীলতায় বিশদরূপে প্রতিষ্ঠিত। গুটি বসন্তে নিজের চেহারা কেবল নয়, নিজেকেও হারিয়ে ফেলা ইউসুফের অপরিসীম বেদনার যে অনুবাদ ঔপন্যাসিক উপহার দেন, তাতে সচেতন পাঠকেরও চোখ ভিজে আসে, ভেসে যায়।
‘আয়না’ শিরোনামে গল্প লিখেছেন রানা ভিক্ষু। এভাবেই শুরু হয় গল্প- ‘‘শুরুটা হয়েছিল আচমকা। হঠাৎ ‘আয়না’র আচরণে গরমিল লক্ষ্য করা যাচ্ছিল।’’ আর শেষটা হয়েছে এভাবে- ‘আয়নার পায়ের ওপর ভনভন করছে মাছি। একটু পরপর একটা ময়লা ন্যাকড়া নেড়ে মাছিও তাড়ানোর চেষ্ঠা করছে ভুল্লি!’
কবিতা লিখেছেন বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর। কবি বলেন, ‘তোমার দুই স্তনের সীমান্তে এত অসহ্য কেন/আমি দেখি আর ভাবি’। সবশেষে কবি বলেছেন, ‘এই হচ্ছে প্রথম শব্দ আর শেষ শব্দ/দুই স্তনের সীমান্ত অসহ্য ভরা।’ গোলাম কিবরিয়া পিনুর ‘মুক্তকেশ’ কবিতাটি ভালো লাগবে সবার। কবি বলেছেন, ‘বারবার বন্ধন মোচন করে/অবারিত হতে পারিনি’ অথবা ‘মুক্তকেশ নিয়ে যুক্ত থাকা যাচ্ছে না-’। কবিতায় সাম্প্রতিক সময়টা দারুণভাবে উঠে এসেছে। এছাড়া আরও কবিতা লিখেছেন সাইফুল্লাহ আল মামুন, ওমর ফারুক জীবন, মোহাম্মদ জসিম, শেখর দেব, নাগর হান্নান, আজিজ কাজল এবং সায়মন স্বপন।
শিল্পকর্ম নিয়ে ‘পরম্পরা: যুগল চিত্রকর্ম প্রদর্শনী’ শিরোনামে আলোচনা করেছেন হালিম আজাদ। পাওলো কোয়েলহো’র ধারাবাহিক ‘আক্রায় পাওয়া পাণ্ডুলিপি’ অনুবাদ করেছেন জাকির জাফরান। এর ৯ম পর্ব প্রকাশিত হয়েছে এবার।
সমকালের ‘কালের খেয়া’য় এবারের আয়োজন ‘ভুলে থাকা নাম’। জীবনের ভুলে থাকা নামগুলোর ঘ্রাণ ও স্মৃতির শব্দাবলি নিয়ে এবারের কালের খেয়া- ‘ভুলে থাকা নাম’। প্রচ্ছদ গদ্য লিখেছেন আকিমুন রহমান, ইরাজ আহমেদ এবং জফির সেতু। শ্রদ্ধাঞ্জলিতে আলবেয়ার কামুকে নিয়ে বিশেষ আয়োজন ছিল কালের খেয়ায়। ছিল মঈনুস সুলতানের ভ্রমণ। প্রকাশিত হয়েছে নন্দিতা নাজমা এবং শারমিন শামস্’-এর গল্প। রয়েছে পদাবলি। এছাড়া বইয়ের ভুবন এবং মাহবুব আজীজের ফিকশন ‘সঙ্গ ও নিঃসঙ্গতার গল্প’ তো রয়েছেই।
জনকণ্ঠে মাসুদ মুস্তাফিজের ‘সাহিত্যে দশক বিভাজন ও দশকের রাজনীতি’ লেখাটা পড়ে বারবারই পুরনো লেখা বলে মনে হচ্ছিল। পরে মিলিয়ে দেখি, এটি মোহাম্মদ নূরুল হকের ‘সাহিত্য দশক বিভাজন’, ‘সাহিত্যের রাজনীতি’, ‘কবিতার দশকের রাজনীতি’ শীর্ষক তিনটি রচনা থেকে একটু এদিক-সেদিক করে নেওয়া। উল্লিখিত তিনটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে যথাক্রমে মোহাম্মদ নূরুল হকের ‘সাহিত্যে দশক বিভান ও অন্যান্য’(২০১০) এবং ‘সাহিত্যের রাজনীতি (২০১৩) বইয়ে । এছাড়া মাসুদ মোস্তাফিজ চিন্তাসূত্রে প্রকাশিত আমিনুল ইসলামের প্রবন্ধ ‘আমাদের কবিতার ভবিষ্যৎ’ থেকেও কোনো রকম ঋণ স্বীকার না করেই নিয়েছেন। একই বিষয়ে লেখা দোষণীয় নয়। তবে পূর্ববর্তী কারও রচনা থেকে গ্রহণ করলে, সে ঋণ স্বীকার করতে হয়। না হলে চৌর্যবৃত্তির দায় এসে পড়ে লেখকের ওপর। বিষয়টির জন্য কেবল মাসুদ মোস্তাফিজকে দোষী করলেই হয় না, এর জন্য দায়ী জনকণ্ঠের সাহিত্যসম্পাদকও। তিনি কেন বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই ছাপবেন? তাহলে সাহিত্য সম্পাদকের সততা কোথায়? সম্পাদনার যোগ্যতাই বা কী?
‘কাব্যনিষ্ঠায় উদ্বোধিত কবি’ শিরোনামে লিখেছেন বিনয় বর্মণ। কবি মতিন বৈরাগীকে নিয়ে তাঁর এ আয়োজন। প্রবন্ধে বিনয় বর্মণ বলেছেন, ‘সত্তরের কাব্যাঙ্গনের এক অগ্নিপুরুষ তিনি। সত্তর দশকের কবি হলেও তিনি এর আগে থেকেই লিখছেন এবং এখন পর্যন্ত তাঁর কলমকে সচল রেখেছেন।’ মতিন বৈরাগীর কবিতা সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘মতিন বৈরাগীর কবিতা থেকে নিঃসৃত হয় মৌমৌ সৌরভ। মুগ্ধ পাঠক তা আস্বাদন করে ধন্য হন। তাঁর কবিতা নান্দনিক পরাস্পর্শে স্বর্গের অপ্সরীকে ডেকে আনে মত্যে। মৃদঙ্গ-বাঁশি বেজে ওঠে ধরাতলে, খরাপীড়িত মৃত্তিকা ভরে ওঠে সবুজ পত্রপল্লবে। কবি ধ্যানমৌন থাকেন মহর্ষি বাল্মীকির মতো।’
কবি মোহাম্মদ রফিকের ‘আমার জীবনানন্দ’ বইটি প্রকাশিত হয় এবার অক্টোবরে তাঁর ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে। বইটি নিয়ে আলোচনা করেছেন নাজনীন বেগম। আলোচক বলতে চেয়েছেন, ‘কবিতার অঙ্গনে অনুক্ষণ বিচরণ করা কবি মোহাম্মদ রফিকের প্রবন্ধ-সাহিত্যও এক অসাধারণ নির্মাণশৈলে পাঠক সমাজকে মুগ্ধ করে। শব্দচয়নের নান্দনিকতা, গভীরতা এবং ব্যাপ্তি কবির নিজস্ব শৈল্পিক শৌর্য। বিষয়বস্তুতে আছে এক অনাবিল অনুভব, অনুভূতি যা কবিকে সব সময়ই আরেক কবির প্রতি নিমগ্ন হওয়ার প্রেরণা তৈরি করে। গোটা গ্রন্থটিতে একবার চোখ বোলালে বুঝতে কষ্ট হয় না, জীবনানন্দের প্রতি গ্রন্থকারের ভালোবাসা, নিবেদন এবং জানা-বোঝার এক অকৃত্রিম আগ্রহ এবং উদ্দীপনা।’ কবি জীবনানন্দ দাশকে পাঠক সমাজের কাছে তুলে ধরার যে বোধ তাড়িত করে তা তাঁরই কথায় উদ্ধৃত হয়েছে লেখায়।
স্বদেশ রায়য়ে দু’টি কবিতা স্থান পেয়েছে এবারের সংখ্যায়।
ইত্তেফাকে ১১ তরুণের কবিতা নিয়ে ‘তরুণ প্রাণ’ শিরোনামে একটি আয়োজন খুব ভালো লেগেছে। তাদের মধ্যে গিরীশ গৈরিক, পলিয়ার ওয়াহিদ ও মিহির হাছনাইনের কবিতার আলাদা একটা আবেদন লক্ষ করা যায়।
শহীদ কাদরীর কবিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন সুমন হায়াত।
খায়রুল বাবুই এবং সোহেল নওরোজের গল্প রয়েছে এ সংখ্যায়। তবে গল্প দুটি আকারে ছোট। না ছোট গল্প না অনুগল্প। গল্প বলাই উত্তম। ‘অন্যমুখ’ শিরোনামে খায়রুল বাবুইর গল্পের শুরুটাই আতঙ্কের। শুরুতেই একটি চমৎকারিত্ব লক্ষ করা যায়। তাই সামনে এগিয়ে যেতে ভালোই লাগবে এবং একটানা পড়ে ফেলার মতোই। একটি অপহরণের ঘটনাই উঠে এসেছে গল্পে। সমসাময়িক আতঙ্কের বিষয়টিই এখানে উপজীব্য। সোহেল নওরোজের ‘রোদচশমা’ গল্পটিও ভালো লাগবে। গল্পে রাশেদ ও রাফিয়ার চোখের অশ্রু নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। তরুণ-তরুণীর হতাশা বা হারানোর বেদনা মূর্ত হয়ে ওঠে গল্পে।
কালের কণ্ঠে ‘তলস্তয় ও তাঁর মহাপ্রয়াণ’ শিরোনামে একটি স্মরণগদ্য রয়েছে। তরুণ কথাসাহিত্যিক হিসেবে বিশ্বসাহিত্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে লেখকের। বরাবরই তিনি বিশ্বসাহিত্যের বিভিন্ন উদ্ধৃতি দিয়ে থাকেন। এখানে তলস্তয়ের মহাপ্রয়াণের ঘটনাটি বিবৃত হয়েছে। যা পাঠকের কাছে হয়তো নতুন কিছু নয়। এমন আলোচনা হয়তো তেমন গুরুত্ব বহন করে না।
লেভ তলস্তয়ের ‘ইভান ইলিচের মৃত্যু’ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৮৮৬ সালে। এ বছর বইটির ১৩০ বছর পূর্তি। এত দিন পরও ইভানের মৃত্যুর ভয়াবহতা এতটুকু কমেনি। একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে এসে এ বই পাঠের এটাই সবচেয়ে বড় আবেদন। বইটি পাঠের প্রতিক্রিয়া লিখেছেন হানযালা হান।
এ সংখ্যায় কবিতা লিখেছেন সানাউল হক খান, আশরাফ আহমদ এবং ফরিদা ইয়াসমিন সুমি। গল্প লিখেছেন ফারজানা মিতু। এ লেখকের গল্প আগে পড়ার সৌভাগ্য হয়নি। ‘একজন বাবা এবং কিছু দীর্ঘশ্বাস’ শিরোনামে লেখক বলতে চেয়েছেন, ‘আজকে যদি সোবহান সাহেব নিজের কষ্ট ছেলেকে দেখান, তাহলে একদিন মাহফুজের কষ্টও তার ছেলে দেখবে। সব কষ্ট যে দেখাতে নেই। আহ, অনেক কষ্টে আবারও শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করেন সোবহান সাহেব, পারেন না। শেষ হয়ে আসছে সব শক্তি। একবার শুধু সামনে বসে থাকা ছেলেকে বলতে ইচ্ছা হয়—বাবা রে, বাপ হওয়া অনেক কষ্ট।’ গল্পটা ভালো লেগেছে তবে থিমটা খুব পুরোনো। আমরা নতুন কিছু চাই।
এবারের আলোচনায় প্রথম আলো এবং যুগান্তর বাদ পড়েছে। কারণ দুটি পত্রিকায় আলোচনা করার মতো কোনো নতুনত্ব নেই। কতিপয় নির্ধারিত কবি-লেখকের লেখাই তাদের আরাধ্য। আমরা চাই, দৈনিকের সাহিত্যপাতা কোনো লেখকের নাম নয়, লেখা প্রকাশ করুক।
মন্তব্য