শিল্প-সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম সাহিত্য। জীবন ও জগতের কথা, অন্তরের অন্তর্লীন কথা, প্রেম ও ঘৃণার কথা ধারণ করে থাকে সাহিত্য। বিশেষত, সমাজবাস্তবতা, দর্শন, ঐতিহ্যের পুনঃস্থাপন সাহিত্যকে কেবলি সমাজের দর্পণ করে রাখেনি, সঙ্গে সঙ্গে সাহিত্য সমৃদ্ধ করেছে মানুষের চিন্তার জগতও। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘‘সাহিত্যের প্রভাবে আমরা হৃদয়ের দ্বারা হৃদয়ের যোগ অনুভব করি, হৃদয়ের প্রবাহ রক্ষা হয়, হৃদয়ের সহিত হৃদয় খেলাইতে থাকে, হৃদয়ের জীবন ও স্বাস্থ্য-সঞ্চার হয়। যুক্তিশৃঙ্খলের দ্বারা মানবের বুদ্ধি ও জ্ঞানের ঐক্যবন্ধন হয়, কিন্তু হৃদয়ে হৃদয়ে বাঁধিবার তেমন কৃত্রিম উপায় নাই। সাহিত্য স্বতঃ উৎসারিত হইয়া সেই যোগসাধন করে। সাহিত্য অর্থই একত্র থাকিবার ভাবমানবের ‘সহিত’ থাকিবার ভাবমানবকে স্পর্শ করা, মানবকে অনুভব করা।’’ আর সাহিত্য চর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম হিসেবে জাতীয় দৈনিকের সাহিত্য সাময়িকীগুলো গত কয়েকদশক ধরে ভূমিকা পালন করে আসছে। সময়ের ধারাবাহিকতায় সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্র হিসেবে কোন পত্রিকার সাময়িকীটি কতটা ইতিবাচক বা কতটা নেতিবাচকভাবে ভূমিকা রেখেছে, তা অবশ্য বিবেচনার বিষয়। এখানে এটা বলে রাখা ভালো, বছর দশক আগেও সাহিত্য সাময়িকীগুলো যে সমৃদ্ধ ইতিহাসের ধারা অক্ষুণ্ন রেখে পথ চলছিল, সে ধারা এখন কিছুটা লাইনচ্যুত হয়েছে বলেই প্রতীয়মান। এ দায় অবশ্য অতি মুনাফালোভী দৃষ্টির বা সাহিত্য সম্পাদকের। আর যাঁরা এখনো ঐতিহ্যসূত্র আঁকড়ে আছেন, দায়বদ্ধতাকে স্মরণ রেখে কাজ করছেন, তাঁদের অভিবাদন জানাই। কেননা, প্রশংসা তাঁদেরই প্রাপ্য যাঁরা সুন্দরের পূজারী, শুদ্ধতার পথিক।
দুই.
দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেল ২০১৫ সালের ডিসেম্বরও। এই একমাসে কয়টি লেখা ছাপা হয়েছে, তার একটা পরিসংখ্যান দেওয়া যাক। দৈনিক ইত্তেফাক, সমকাল, কালের কণ্ঠ, যায়যায়দিন, যুগান্তর, প্রথম আলো, সংবাদ, ভোরের কাগজ ও জনকণ্ঠ পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকীগুলোয় ছাপা হয়েছে কমপক্ষে প্রবন্ধ ৭০টি, কবিতা ১৫০টি, গল্প ৩০টি, বই বা লিটলম্যাগ আলোচনা ও বিশ্বসাহিত্য ৪০টি। এ হিসেবে দৈনিকগুলোয় গত একমাসে কমপক্ষে তিনশ’টি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। আর লেখকদের হিসাব করলে আমরা এ সাময়িকীগুলো থেকে শতাধিক লেখককে তো পাবই। এ পরিসংখ্যান থেকে এটা স্পষ্ট, সাহিত্য সাময়িকীতে প্রচুর লেখককে আমরা স্থান দিতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু সংখ্যার প্রাচুর্য শেষ কথা নয়। কেননা, সব ক্ষেত্রে সব শিল্পেই মানই প্রথম ও সর্বশেষ কথা।
যুগান্তরের প্রবন্ধের কথা প্রথমেই বলছি। বিশেষত অনেকদিন পর আমরা সিরিজ আকারে প্রবন্ধ পাচ্ছি। সৈয়দ আবুল মকসুদের ‘নীল নোটবই’ সিরিজের প্রবন্ধগুলো তথ্য ও উপাত্তে, বিশ্লেষণে ও উপস্থাপনায় অসাধারণ। অভিজ্ঞতার প্রাচুর্যই আবুল মকসুদের প্রবন্ধকে এক ভিন্নমাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। তাঁর প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃত করার লোভ সামলানো কঠিন :
(ক) ‘কোনো জাতির শিল্প-সাহিত্যের জগতটিও প্রবাহমান নদীর মতো। শুধু অল্প কয়েকজন প্রধান তাকে প্রাণবন্ত রাখতে পারেন না, সজীব রাখতে গৌণদের ভূমিকাই বেশি।’
(খ) ‘যারা পথ নির্মাণ করেন তাদের দোষ ও দুর্বলতা মার অযোগ্য নয়। যে উদ্যানে গোলাপ, গন্ধরাজ, রজনীগন্ধা প্রভৃতি নেই, সেখানে ভাঁটফুল বুনোফুল যা-ই ফুটুক তাকে কদর না করে উপায় নেই।’
২৫ ডিসেম্বর প্রথম আলোর সাহিত্য সাময়িকী ‘শিল্প সাহিত্য’-এ প্রকাশিত মহীবুল আজিজের ‘প্রমিত জীবন’ প্রবন্ধটিও সুখপাঠ্য হয়েছে।
৮০তম জন্মবার্ষিকীতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৈয়দ শামসুল হক সাম্প্রতিক সাহিত্য চর্চা সম্পর্কে বলেছেন, ‘মানুষের অন্তর্গত যে মানচিত্র আছে, সেটির খুব অভাব দেখি এখনকার কথাসাহিত্যে।’ কবিতা সম্পর্কে বলেছেন, ‘অধিকাংশ কবিতা মনে হয়, অসমাপ্ত ও অতিকথিত।’ এই সময়ে বসবাস করে অস্বীকার করার উপায় নেই যে, সৈয়দ হক আমাদের সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ মুখ ও বিদগ্ধজন। তাঁর উল্লিখিত মূল্যায়নকে আমরা আর সবার কথার মতো উড়িয়ে দিতে পারি না। আগেই উল্লেখ করেছি, গত ১ মাসে শতাধিক কবিতা প্রকাশিত হয়েছে সাময়িকীগুলোয়। কিন্তু বারবার পাঠ করবে, কবিতা পড়ে মুগ্ধ হবে, দীর্ঘদিন পাঠক মনে মনে আওড়াবে—এমন কবিতা কি একটিও পেয়েছি? আমাদের প্রকাশিত লেখাগুলোর মধ্যে অধিকাংশই মধ্যম মানের বা এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রকাশিত হয়ে চলছে।
কালের খেয়া সমকালের সাহিত্য সাময়িকী। এখানে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত মাহবুব আজীজের ‘ঘাসে ঘাসে পা ফেলেছি’ শিরোনামের গদ্যটি ইতোমধ্যেই পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। কালের খেয়ার অন্য একটি দিক নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন বোধ করছি। বানান প্রমাদ (শতভাগ নির্ভুল হবে এমন প্রত্যশাও করছি না) আমরা প্রথম শ্রেণীর কোনো দৈনিকের কাছ থেকে প্রত্যাশা করি না। সাহিত্য পাতাগুলোয় তো নয়ই। ১৮ ডিসেম্বর কালের খেয়ার তৃতীয় পৃষ্ঠায় প্রচ্ছদের অনুকথা (অনু সম্পাদকীয়) ছাপা হয়েছে এভাবে : ‘মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তে জীবনে ধারকর্জ অনিবার্য এক অনুষঙ্গ। চাকুরীজীবি ও শ্রমজীবিদের মাসশেষে টানাটানি কি আচমকা বিপদগ্রস্থ হয়ে ধারের জন্য বন্ধু-স্বজনদের পিছু ছোটা;…’। আমাদের কাছে কালের খেয়ার দু লাইনে চারটি ভুল প্রত্যাশিত নয়। এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরি বলেই মনে করছি।
কালের কণ্ঠ’র সাহিত্য সাময়িকী ‘দশদিক’ বিশ্বসাহিত্যকে গুরুত্বসহ পাঠকদের কাছে প্রতি সপ্তাহে বিশেষভাবে উপস্থাপন করছে। কিন্তু এ সাময়িকীটি কেন যেন প্রতিসংখ্যায় কবিতা বা গল্প ছাপার দিকে নিবিষ্ট নয়। দশদিকের অধিকাংশ সংখ্যায় আমরা এই অভাব বোধ করি।
ইত্তেফাক অনেক প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী পত্রিকা। সাহিত্য সাময়িকীটিতেও সেই ঐতিহ্যের রেশ অম্লান। অনেক লেখক এ সাময়িকীটিকে ‘সেরা সাহিত্য সাময়িকী’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন। মানসম্মত প্রবন্ধ, কবিতা ও গল্প প্রকাশে সাময়িকীটির সম্পাদক নিরলস কাজ করে থাকেন। সংবাদও ঐতিহ্যবাহী পত্রিকা। সংবাদে আমরা ধারাবাহিক লেখার প্রাচুর্য দেখতে পাই। কবিতাকে এ সাময়িকীটি বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। প্রবন্ধকে বেশ গুরুত্বসহ প্রকাশ করে জনকণ্ঠ। তবে কবিতা প্রকাশে আরও বৈচিত্র্য পাঠক প্রত্যাশা করতেই পারেন।
তিন.
প্রমথ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘সাহিত্যের উদ্দেশ্য সকলকে আনন্দ দেওয়া, কারও মনোরঞ্জন করা নয়।…এ দুয়ের ভিতর যে আকাশ-পাতাল প্রভেদ আছে, সেইটি ভুলে গেলেই লেখকেরা নিজে খেলা না করে পরের জন্যে খেলনা তৈরি করতে বসেন।’ সাম্প্রতিক সাহিত্যের পরিপ্রেক্ষিতে কথাটি সত্য বটেই। আমাদের সাহিত্য সাময়িকীগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা—বিষয়মাফিক চিন্তা-ভাবনা। খুব কম সাহিত্য সাময়িকীই আছে, যেগুলো বিষয়-ভাবনার বাইরে অবস্থান করে। এটাও বলা প্রয়োজন, প্রায় সব পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদকই লেখকদের লেখার জন্যে নির্দিষ্ট করে বিষয় দিয়ে দেন। সে মোতাবেক লেখকরা লেখা পাঠান। এখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে পুনরায় আনতে হয়। তিনি আমাদের মনে করিয়ে দেন, ‘বিষয়ী লোকে বিষয় খুঁজিয়া মরে। লেখা দেখিলেই বলে, বিষয়টা কী? কিন্তু লিখিতে হইলে যে বিষয় চাই-ই এমন কোনো কথা নাই। বিষয় থাকে তো থাক্, না থাকে তো নাই থাক্, সাহিত্যের তাহাতে কিছু আসে যায় না। বিষয় বিশুদ্ধ সাহিত্যের প্রাণ নহে।’ বিষয় নির্ভরতার পাশাপাশি আছে শব্দের সীমাবদ্ধতাও। সাহিত্য সম্পাদকই ঠিক করে দেন লেখকের লেখাটি কত শব্দের হবে। ফলে লেখককে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও শব্দের সীমাবদ্ধতা মেনে লিখতে হয়। না মানলেও সমস্যা। কেননা, তাঁর কষ্ট করা শ্রমসাধ্য লেখাটি হয়তো ছাপা হবে না। পাঠকের কাছে পৌঁছবে না। এখানে যে লেখকের দায় যে নেই, তাও নয়। দায় তো আছেই। প্রকাশ উন্মুখতার একটা ঘোর আছে বৈকি।
চার.
লেখক-সম্মানীর বিষয়ে একটু আলোকপাত করা যাক। নির্মলেন্দু গুণের কাছে যাওয়া যেতে পারে। সম্মানী লেখকের প্রাপ্য, ভিক্ষা বা দয়া নয়। খানিক আগে যে পরিসংখ্যানে আমরা চোখ রাখলাম, সেখানে কমপক্ষে তিনশ’টি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে কয়জন লেখক তাঁর শ্রমসাধ্য লেখাটির জন্যে সম্মানী পাবেন? লেখক সম্মানীর জন্যে লিখেন না সত্য, লিখেন সম্মানের জন্যে, লিখেন নিজের জন্যে—এ কথা অস্বীকার করছি না। কিন্তু একথাও স্বীকার্য, সম্মানী লেখককে ভালো লেখার দিকে উৎসাহিত করতে পারে। অনেককেই আমরা সচারচর বলতে শুনি, ‘কবিদেরও বাজারে যেতে হয় ব্যাগ নিয়ে, আলু পটল কিনতে হয়। ঘুম থেকে উঠে দৌড়ে যেতে হয় অফিসে।’ আর্থিক সচ্ছলতা লেখালেখির জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বলে মনে করি। আর্থিক সচ্ছলতা বা খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার জন্যেই লেখককে কোনো না কোনো কাজ করতে হয়। অফিসে দৌড়াতে হয়। জীবনের দৌড়ে অনেকসময় অনেকে হারিয়েও যায়। বন্ধ হয় লেখালেখি। আল মাহমুদ বলেছিলেন, পার্টটাইম লেখক হওয়া যায় না। লেখক হতে হবে ফুলটাইম। কিন্তু লেখালেখিটা এখনো বাংলাদেশে পেশা হিসেবে দাঁড়াতে পারেনি। লেখালেখি করে জীবনকে এগিয়ে নেবে এই পরিবেশ এখনো গড়ে ওঠেনি। লেখালেখিটা যদি পেশা ও নেশা হয়, তবে অবশ্যই আমরা শ্রমসাধ্য ভালো কিছু সাহিত্যকর্ম পেতে পারি। মহাকবি ফেরদৌসি ও তাঁর স্বর্ণময় শ্লোকের কথাও এখানে দৃষ্টান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে লেখক সম্মানীই পারবে লেখকের ভাবনাকে সাংসারিক চিন্তামুক্ত রাখতে। এতে করে আমাদের লেখকরা তাঁদের বেশিরভাগ সময়ই সাহিত্য চর্চায় ব্যয় করতে পারবেন।
যেসব পত্রিকা লেখকদের সম্মানী দিতে আন্তরিক, তাদের মধ্যে প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তরের নাম উল্লেখযোগ্য। এর বাইরেও বেশ কিছু পত্রিকা সম্মানী দিয়ে থাকে, সেটা সময়সাপেক্ষ। লেখা প্রকাশ হওয়ার কখনো মাস সাতেক বা বছর খানেক পর সেই লেখার সম্মানী এসব পত্রিকা দিয়ে থাকে। ফলে লেখক যখন সম্মানী পান, তখন তারা ভুলে যান যে, তারা কী লেখার জন্যে সম্মানী পেয়েছেন। যখন কোনো সাহিত্য সাময়িকী তাঁর প্রতিটি লেখার জন্যে সম্মানী দেবে, তখন অবশ্যই মানের অনেক পরিবর্তন আমরা দেখতে পাব। আমরা এও প্রত্যাশা করি, ঠিকমতো সম্মানী দেওয়ার ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সামগ্রিক সাহিত্য জগতের ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব।
পাঁচ.
লেখাটি শেষ করব আহসান হাবীব সম্পর্কে দু কথা বলে। সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে তাঁর আদর্শ বর্তমানে যাঁরা সাহিত্য সাময়িকী সম্পাদনা করছেন বা করবেন তাদের জন্যে অনুসরণীয়। তাঁর নির্মোহ দৃষ্টি, আন্তরিকতা নতুন লেখক সৃষ্টিতে ও তরুণদের পথনির্দেশনা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমানে দৈনিক পত্রিকাগুলোর দৃষ্টি বাণিজ্যিক বিষয়-আশয়ের দিকে থাকবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু পাঠকদের হাতে প্রতি সপ্তাহ শেষে যাতে সমৃদ্ধমানের একটি সাহিত্য সাময়িকী পৌঁছে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা দরকার। সমৃদ্ধ পাতা প্রকাশিত হলে সাহিত্য সাময়িকীর যেমন কদর বাড়বে, তেমনি সম্মান বাড়বে সাহিত্য সম্পাদকেরও। সম্পাদকরা অবশ্যই তরুণদের লেখা প্রকাশে প্রাধান্য দেবেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তরুণদের মানহীন লেখা তারা ছাপবেন বা এ দায়িত্ব তাদের।
বাংলা সাহিত্যকে এগিয়ে নিতে আধুনিককালে সাহিত্যপত্র, লিটলম্যাগের অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা আমরা ইতিপূর্বে দেখেছি। আমাদের প্রত্যাশা, সাহিত্য সাময়িকীগুলোও এ ব্যাপারে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে আরও জোরালো ও যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে।