ভাড়াটিয়া মানেই উদ্বাস্তু নয়; গৃহহীন নয়। তাদেরও বাড়ির মালিক হওয়ার গল্প আছে। আছে ভিটে-বাড়ি হারানোর বেদনাতুর কাহিনী। বাড়ি তৈরির সুখের গল্পের সঙ্গে কষ্টের আখ্যান তো আছেই। তাই আজকে যে ভাড়াটিয়া; কালকে সে মালিক।
করোনাকালে একটি বড় সামাজিক সমস্যা হিসেবে ভাড়াটিয়া আর বাড়ির মালিকের মধ্যে অঘোষিত যুদ্ধ লেগে আছে। কারণ একটাই। মহমারীর ফলে চাকরি হারানো আর বেতন কমে যাওয়া কিংবা সময়মতো বেতন না পাওয়া বা আয় রোজগার কমে যাওয়া। এসময়টাই তো ছিল মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর। বাড়ির মালিকদের সুযোগ ছিল এতদিন ধরে যারা বাড়িভাড়া দিয়ে আসছে, তাদের এক বা দুই মাসের গ্যাস-বিদ্যুৎবিল ছাড়া বাড়ির ভাড়া অর্ধেক নেওয়া বা বাড়িঅলার অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হলে মওকুফ করে দেওয়া। এটাই কাম্য ও মানবিকতার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হতে পারতো। অথচ এর উল্টোটাই ঘটে চলেছে। বাড়ি ভাড়া না দিতে পারলে বাড়ি থেকে বোচকাসহ রাস্তায় বের করে দেওয়ার মতো নিন্দনীয় কাজ করেছেন বাড়ির মালিক। এ জন্য জেল জরিমানা; এমনকী ভাড়াটিয়া ও মালিকের মধ্যে মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। এটা তো হওয়ার কথা নয়। যা হওয়ার দরকার ছিল, তার জন্য দেখতে পারেন কলকাতার নতুন ছবি, ‘৬১ নং গরপাড় লেন’।
৬১ নং গড়পাড় লেন চলচ্চিত্রটি ওপার বাংলার নতুন চলচ্চিত্র। ইপ্সিতা রায় সরকারের গল্পকে সেলুলয়েড পর্দায় গতিশীল করেছেন পরিচালক রাজেশ দত্ত ও ইপ্সিতা রায় সরকার। সামাজিক ও নিরীক্ষাধর্মী এই ছবিটির প্রযোজনা করেছে কৃষ্ণ সিনেমা অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট, নচিকেতা চক্রবর্তীর সংগীতায়জনে একটি আলাদা আবহ পেয়েছে। প্রধান চরিত্রে আছেন, সৌমিত্র চট্টপাধ্যায়, প্রিয়াংশু চট্টপাধ্যায়, খরাজ মুখার্জী, সুমিত সমাদ্দর, সুজন মুখোপাধ্যায়, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, পুষ্পিতা মুখার্জী, রাজশ্রী রাজবংশী, চিতা সেন মনোজ মিত্র, সান্দয়ী ঘোষ, রতন সর্কেল, অনিবার্ণ গুহ, নচিকেতা চক্রবর্তী প্রমুখ। বাড়িঅলা ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে একটি অমীমাংসিত সম্পর্কের টানাপড়েন থাকে। ভাড়াটের মন্তব্য, বাড়িঅলা খারাপ মনের মানুষ, কিপটে, হিসেবি, টাকার কুমির ইত্যকার যত বদনাম আরও আছে, বসে বসে খায় আর টাকা গুনে। ভাড়াটিয়ার ভালো-মন্দ দেখে না কখনো। মাস গেলে টাকা পায় আর নির্দয় কসাই। অন্যপক্ষ কোনদিকে কম যায় না, বাড়িঅলা প্রথমে শুরুই করে একটি বড় চেক লিস্ট দিয়ে, প্রথমে ভাড়াটিয়া ব্যাচেলর না পরিবার, না চাকরিজীবী। চাকরিজীবী হলে সরকারি না বেসরকারি? বেসরকারি হলে এক ধরনের স্বভাব, আর সরকারি হলে আরেক ধরনের আচরণ ও স্বাগতম।
বাড়ির ছোট মেয়ের সঙ্গে জামাইয়ের দেখা হলে মেয়েটি আর এই লোকের কাছে আসে না। বলে তুমি ভালো না, ডেভিল মানুষের ক্ষতি করো, তোমার কাছে যাব না।
বাড়িঅলার প্রথম যে কথা, তা হলো মাসের ১-৫ তারিখে অবশ্যই ভাড়া দিতে হবে। এর পরে গেটের চাবি একটা দেওয়া হবে; একজনের কাছে থাকবে; রাত ১১-১২ টার মধ্যে ফিরতে হবে; মেহমান বেশি আসা যাবে না; মেহমান আসবে কী আসবে না সেজন্য অনুমতি নিতে হবে। দেয়াল ফুটো করা যাবে না। মেহমান এলেও তিন দিনের বেশি থাকতে পারবে না। এ যেন নিজ খরচায় জেল খানার অতিথি হওয়া। এমন সব লিখিত-অলিখিত করণীয়-বর্জনীয় শর্তের মধ্যে দিয়ে ভাড়াটিয়া ও মালিকের মধ্যে প্রকাশিত অপ্রকাশিত টানাপড়েন চলে, চলতে থাকে। কোথাও কোথাও বাড়িঅলা প্রভুসুলভ আচরণ করে থাকে। এমন, যেন কস্মিনকালেও ভাড়াটিয়াদের কোরো মাথা গোঁজার ঠাই ছিল না। কিন্তু আদৌ তা নয়। কমবেশি সবারই ছোট বড় স্থায়ী আবাস আছে।
৬১ নং গরপাড় লেন ছবিতে, যে বাড়িতে ভাড়াটিয়ারা থাকেন তাদের কারও মাথা গোঁজার কোনো জায়গা নেই। দীর্ঘ বত্রিশ বছর যাবৎ একই বাড়িতে তারা একই সম্পর্কের জালে পরম আত্মীয় হয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে মাকড়সার জালের মতো। এ বাড়ির মালিক বাড়ির মালিক নয়; ভাড়াটেদের কাছে পরম শ্রদ্ধার মুরব্বি; তাদের পরিবারেরই একজন সদস্য।
করোনার নিদানকালে বাড়ি ভাড়া নিয়ে ভাড়াটে ও বাড়ির মালিকের মধ্যে এমন শ্রীহীন ঘটনার জন্ম কেন নিলো? যেখানে দুই পক্ষই মানুষ। একজনের বাড়ি আছে আরেকজনের নেই সে টাকার বিনিময়ে থাকলেও মানবিক দৃষ্টিতে ভাড়াটেরাও মালিকের পরিবারের অংশ। মাসিক ভাড়া ও মধ্যকার তিক্ততা গৌণ হয়ে কখনো বাড়ির মালিকের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক বড় হয়ে ওঠে। ‘৬১ নং গড়পাড় লেন’ তেমন একটি মানবিক চলচ্চিত্রকে পরিচালক ইপ্সিতা রায় ও রাজেশ দত্ত সেলুলয়েড পর্দায় সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। এটি একটি সামাজিক নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্র। এখানে পরিচালক সুনিপুণভাবে ভাড়াটে ও বাড়িঅলার মধ্যকার একটি সম্পর্কের রসায়নকে পর্দায় গতিশীল করে তুলেছেন। একজন বয়স্ক বাড়িওয়ালা চরিত্রে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তার প্রত্যেকটি ভাড়াটের পরিবারের একজন অভিভাবক হিসেবে একটি অনাত্মীয় অথচ চমৎকার একটি আবেগের বন্ধনে জড়িয়ে থাকেন। তার একমাত্র কন্যাকে এই ভাড়াটেরা স্নেহ যত্ম দিয়ে বড় করে তুলেছে। সেই মেয়েটি বিয়ে করে একদিন স্বামীর সংসারে চলে যায়। বৃদ্ধ একা হয়ে যায়। আপাতদৃষ্টিতে তাই মনে হলেও কিন্তু তিনি একা নন; তার আছে সব ভাড়াটে যাদের সঙ্গে দীর্ঘ ৩২ বছরের সম্পর্ক। বৃদ্ধ শেষ জীবনটা এই ভাড়াটেদের মাঝে হেসে খেলে কাটিয়ে দিতে চান। তাদের সুখে-দুখে পাশে থাকতে চান।
কলকাতা শহরে এত বড় পুরনো বাড়ি। সেখানে বর্তমান ভাড়াটেদের কারও আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নয়। সবার দিন শেষের মায়াময় একটি শান্তির নীড় এই বাড়িটিই। বাড়ির মালিক বৃদ্ধ সৌমিত্র প্রত্যেক ভাড়াটিয়ার হাড়ির খবর জানে কার কী সমস্যা। সমস্যা থাকলে ভাড়া নেন না। উপরন্তু ভাড়াটিয়ার মেয়ের ডাক্তার দেখানোর টাকা দিয়ে আসেন। এমন মানবিক বিষয়গুলো বৃদ্ধ শেষ জীবনে উপভোগ করে আসছেন। সারাজীবন তাদের পরিবারের মানুষ ভেবেই আসছেন। শুধু ভাড়ার টাকা তোলার জন্য তিনি সবার ঘরে যান না। তিনি যান সবার ঘরে বসে সবার ভালো মন্দের খোঁজ নিতে। এটাই তার কাছে জীবন।
বৃদ্ধ বাড়ির মালিককে একদিন তার মেয়ে জামাই প্রস্তাব দেয়, ডেভেলপারকে দিয়ে বাড়ি ভেঙে বহুতল ভবন করে মার্কেট করতে। তারা নতুন বাড়ি পাবে; মাসে মাসে অনেক ঠাকা পাবে। কিন্তু বৃদ্ধ এক কথার মানুষ। জামাইকে মুখের ওপর ‘না’ করে দেন। সে যেন এই কথা বলার জন্য এ বাড়িতে না আসে। জামাই আর মাড়োয়ারি ব্যবসায়ীর কাছে বৃদ্ধের মানবিক অনুভুতি আর অসহায় ভাড়াটিয়াদের প্রতি টানের কোনো মূল্য নেই। তাদের কাছে মুনাফাটাই আসল। কিন্তু বৃদ্ধ মালিক এখানে চমৎকার কথা বলেছেন—ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে একই ছাদের নিচে দীর্ঘদিনে বসবাস করার মূল্য অনেকে। তার চেয়ে বড় কথা—এতগুলো অসহায় মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? এই বৃদ্ধ বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়াদের ছেলে-মেয়ের সঙ্গে দাদু-নানুর সম্পর্কের মধ্যমণি হয়ে আছেন। এই সম্পর্কগুলোকে আঁকড়ে ধরে বৃদ্ধ এতদিন বেঁচে আছেন।
জামাইয়ের প্রস্তাবে বড়ই ব্যথিত হন বাড়িঅলা। মেয়েকে বলেন, তুই যখন জন্ম নিয়েছিস, তোর মা তখন হাসপাতালে। এই ভাড়াটিয়ারা প্রত্যেকে নিয়ম করে তোর মায়ের জন্য খাবার নিয়ে গেছে। তোকে কোলে পিঠে মানুষ করছে। তাদের তুই কী বলবি? কন্যা হেরে যান বাবার যুক্তির কাছে। কিন্তু তার স্বামী তো এই বাড়ির লোভে পড়েছে। তাকে কিভাবে বোঝাবে বাবা আর মেয়ের অন্তরের কান্না? আর এই বাড়ির ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে সম্পর্কের বুনন। এত দিন একসঙ্গে থাকার ফলে প্রত্যেকের সঙ্গে একটি নির্ভরশীলতার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তরা। সঙ্গে মায়ের মতো বাড়িটাও। জামাইয়ের দেওয়া প্রস্তাবে আঘাত পেয়ে বৃদ্ধ সেই রাত্রেই মারা যান।
বৃদ্ধ মারা গেলে ভাড়াটিয়া অসহায় পরিবারগুলোতে উদ্বাস্তু হওয়ার শোক আর ভরসার বটবৃক্ষকে হারিয়ে ফেলার শোক নেমে আসে। ভাড়াটিয়াদের মধ্যে অতি অসহায় দুজন প্রতিবাদ করে ওঠে। তারা মামলা করার প্রস্তুতি নেয়। বলে—দীর্ঘ বত্রিশ বছর যাবৎ এই এক বাড়িতে আছি। আমরা কি এই বাড়িটার কেউই নই? মামলার কথা জামাই ও মাড়োয়ারির কানে গেলে তারা প্রত্যেক ভাড়াটিয়াকে এক লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। এই সব আনাগোনা আর জমির মালিকানা দলিলাদি তৈরি নিয়ে বেশ সময় গড়িয়ে যায়। এই সময়ের মধ্যে বৃদ্ধের জামাই প্রত্যেকদিন এই বাড়িতে এসে কয়েক ঘণ্টা করে থেকে যায়। প্রত্যেকটি পরিবারের মানুষদের আচরণ তাদের সম্পর্কগুলোকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। এভাবে কয়েকমাস গড়িয়ে যায়। ভাড়াটিয়াদের মধ্যে সারাদিন একই উৎকণ্ঠা। এমন মায়ের মতো বাড়ি কেউ ছেড়ে যেতে চায় না। মনে সবার একই কষ্টের করুণ সুর বাজে কিন্তু সবাই অন্তরে অনুভব করে কেই কাউকে বুঝতে দেয় না। বাড়ি ছেড়ে কে কোথায় থাকবে? কার কে আছে? কে দেখবে? এর মধ্যে এক বৃদ্ধ দম্পতির এক মাত্র উপার্জন ক্ষম মেয়ে ছাড়া আর কেউ নেই। এক ছেলে সে বউ নিয়ে দেশের বাইরে থাকে। বাবার খোঁজ রাখে না। আর বৃদ্ধ মহিলার তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। তিন মেয়ে জানিয়ে দিয়েছে, কেউ মাকে নিতে চায় না। এ অবস্থায় দুই বৃদ্ধ একসাথে থাকবে বলে খরাজ মুখার্জীকে বাসা খোঁজার দায়িত্ব দেয়্। এমন শলাপরামর্শ আর পরস্পরের প্রতি দায়িত্বপালনগুলো জামাই নিঃশব্দে দেখে ও উপভোগ করে। বাড়ির ছোট মেয়ের সঙ্গে জামাইয়ের দেখা হলে মেয়েটি আর এই লোকের কাছে আসে না। বলে তুমি ভালো না, ডেভিল মানুষের ক্ষতি করো, তোমার কাছে যাব না।
বিষয় নির্বাচন; বর্তমান মহামারীর প্রেক্ষাপট; বাড়ির মালিক আর ভাড়াটিয়াদেরর সম্পর্কের একটি মানবিক দিকসহ ছবিটি সার্থক ও পরিচালক প্রশংসা পাওয়ার দাবি রাখেন।
জামাই প্রতিদিন এসে তাদের মধ্যকার নিঃস্বার্থ সম্পর্ক আর প্রতিদিনের সুখ দুঃখের ভাগাভাগিগুলোকে দেখে নিজেই অভিভূত হয়ে পড়ে। তার ভুল ভেঙে যায়। গোপনে নিজের ফ্ল্যাট বাড়ি বিক্রি করে দিয়ে পুরনো এই বাড়িতে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে থাকবে। তাদের মধ্যকার নিখাদ ভালোবাসার আলিঙ্গন নিয়ে বেঁচে থাকবে। অন্যদিকে ভাড়াটিয়ারা কে কবে কোথায় যাবে, তার বন্দোবস্ত নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটায়। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের মনের অব্যক্ত দুঃখগুলোকে নীরবে বোঝার চেষ্টা করে। নির্ধারিত দিনে সব ভাড়াটিয়া পুরুষ জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়া ও ক্ষতিপূরণের টাকা নেওয়ার জন্য প্রোমোটারের অফিসে যায়। সবাই অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে কিন্তু জামাই আর মেয়ে আসে না। শেষমেষ সবাই বাড়িতে ফিরে এসে একসঙ্গে বৈঠক করে। কোনো কিছুই বুঝতে পারে না। কিছুক্ষণ পর জামাই আর মেয়ে সবার মাঝে এসে হাজির হয়। জামাই সবার হাতে পুরনো এই বাড়ির দলিল বুঝিয়ে দিয়ে বলে, আজ থেকে আমরাও আপনাদের সঙ্গে থাকবো। আজ থেকে আমরাও আপনাদের সাথে থাকবো।’
পরিচালক এখানে বাড়িঅলা ও ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে সম্পর্কের একটি জটিল সমীকরণকে সহজভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি দেখেয়িছেন পরস্পরের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি, ভালোবাসা ও নির্ভরশীলতা। করোনাকালে অনেক মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে ফিরে গেছে। তার প্রধান কারণ উচ্চবাড়ি ভাড়া আর বাড়ির মালিকদের ছাড় না দেওয়ার কারণে। বাড়ির মালিকরা চাইলে দুটো তিনটে মাস ভাড়াটিয়াদের ভাড়া কমিয়ে নিতে পারতো। অথচ যে মানুষগুলো দুই, পাঁচ কিংবা দশ বছর ধরে তার বাড়িতেই আছে অথচ কারও মধ্যেই একটা আস্থার বা ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়নি। ছবিতে পরিচালক মানুষের প্রতি মানুষের যে একটা নৈতিক দায়বোধ আছে, সে বিষয় গুরুত্ব দিয়েই তুলে ধরেছেন। করোনাকালে হোক আর অন্যকোনো বিপদে হোক, বাড়িঅলার বা ভাড়াটিয়ার কি একটি দায় থাকে না যেকোনোভাবে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করার? ছবির পরিচালক এই জায়গাটিকে একটু উসকে দিয়েছে। বিষয় নির্বাচন; বর্তমান মহামারীর প্রেক্ষাপট; বাড়ির মালিক আর ভাড়াটিয়াদেরর সম্পর্কের একটি মানবিক দিকসহ ছবিটি সার্থক ও পরিচালক প্রশংসা পাওয়ার দাবি রাখেন।