এ যুগের কোনো বাংলাদেশি সাহিত্যিক তার নাম মুখে আনেন না। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসবিদরাও তাকে উপস্থাপন করতে ভুলে গেছেন। তবু তিনি ছিলেন, তিনি আছেন নীরবে-নিভৃতে ইতিহাসের করিডোরে। তার নাম হরিশচন্দ্র মিত্র। পূর্ববঙ্গে বাংলা সাহিত্যে, নাটকে ও সাংবাদিকতায় তার অবদানের কথা কেউ যদি অস্বীকার করে, তবে তা হবে তার প্রতি অবিচার। অবশ্য তিনি সব সময়ই অবিচারের শিকার হয়েছেন। তার প্রতি অবিচার শুধু যে এখন করা হচ্ছে তা নয়, করা হয়েছিল তার জীবদ্দশায়ও।
দেড়শ বছর আগের কথা, যখন সবেমাত্র বাংলা সাহিত্য আধুনিক যুগে প্রবেশ করছে। সে সময় তিনি সবার চোখে রুঢ় হয়েছিলেন মূলত দুটি কারণে। প্রথমত, তিনি ব্রাহ্ম সমাজের বাইরে সনাতন হিন্দু ধর্মের অনুসারী ছিলেন। দ্বিতীয়ত, সনাতন ধর্মে থেকেও পণপ্রথা, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ সম্পর্কে সংস্কারবাদী বা ব্রাহ্মবাদী ছিলেন। এ দুটি কারণে তিনি একদিকে ব্রাহ্মসমাজের কাছে অবহেলিত ছিলেন, অন্যদিকে সনাতন হিন্দু সমাজের কাছে ছিলেন অবজ্ঞার পাত্র। তবে অতিদরিদ্র এই সাহিত্যসাধক কখনো কারও অনুগ্রহের পাত্র ছিলেন না। তার ব্যক্তিত্বের কাছে ওসব তুচ্ছ অনুগ্রহের স্থানও ছিল না। তাই নিজের আদর্শের কথা বলেছেন কয়েকছত্রে:
হরিশের এই পণ, যদি যায় এ জীবন
তবু কভু তোষামুদী করিব না কায় রে।
প্রাণ চিরস্থায়ী নহে, যায় যায় রহে রহে
প্রাণ গেলে ছার প্রাণ রাখিতে কে চায় রে।
আনুমানিক ১৮৩৭ সালে ঢাকায় জন্ম নেওয়া এবং ১৮৭২ সালে মৃত্যুবরণকারী এই মহান সাহিত্যসাধক পূর্ববঙ্গের সাহিত্যের জন্য যা করে গেছেন, তা অস্বীকার করা এক ধরনের হীনমন্যতা। অথচ অসাবধানতাবশত হলেও তাই করা হয়েছে যুগ যুগ ধরে। একারণে তিনি সাহিত্য সমাজে কাছে এক অপরিচিত মুখ হিসেবে রয়ে গেছেন।
এই সময়ের বাংলাদেশে সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে ছোটকাগজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু কে প্রথম বাংলাদেশে সাহিত্যপত্র প্রকাশ করেছিলেন, এর খোঁজ কী কেউ রেখেছেন? বাংলাদেশ তথা পূর্ববঙ্গে ১৮৬০ সালে প্রথম সাহিত্যপত্র বা লিটলম্যাগ প্রকাশ করেন হরিশচন্দ্র মিত্র। তার প্রকাশিত সেই মাসিক সাহিত্যপত্রটির নাম ছিল ‘কবিতাকুসুমাবলী’ (সৈয়দ আবুল মকসুদ, হরিশ্চন্দ্র মিত্র, ঢাকার সাহিত্য ও সাময়িকপত্রের পথিকৃৎ, পৃষ্ঠা নং-৩৩, প্রকাশক: নওরোজ কিতাবিস্তান, প্রকাশকাল: ১৯৯০)। ‘কবিতাকুসুমাবলী’ শুধু বাংলাদেশের প্রথম সাহিত্যপত্র তা নয়, এটি ছিল বাংলা সাহিত্যের প্রথম কবিতাপত্র বা কবিতাময় লিটলম্যাগ। হরিশচন্দ্রের আগে কেউ কল্পনাও করেননি শুধু কবিতা দিয়ে একটি সাহিত্যপত্র করা যেতে পারে। তিনি মূলত বাংলা কাব্যময় সাহিত্যপত্রের স্রষ্টা।
বাংলা হরফের প্রথম ছাপাখানা ‘বাঙ্গালাযন্ত্র’ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর হরিশচন্দ্র সেখানে কম্পোজিটর হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। এর কিছুদিন পরই ‘কবিতাকুসুমাবলী’ প্রকাশিত হয়। যার কার্যত প্রকাশক ও সম্পাদক ছিলেন হরিশচদ্র নিজেই। প্রথমদিকে পত্রিকাটি ৮ পৃষ্ঠার হলেও পরে তা বর্ধিত করে ১৬ পৃষ্ঠা করা হয়। তবে হরিশচন্দ্র খুব দ্রুত অনুধাবন করতে পারলেন, একটি সাহিত্যপত্রে শুধু কবিতা থাকলে চলবে না। তাই পাঠকদের কথা চিন্তা করে তিনি সাহিত্যপত্রে যুক্ত করলেন গদ্য, নাটক ও প্রহসন। এ বিষয়ে কবিতাকুসুমাবলীর প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সংখ্যার বিজ্ঞাপনে তিনি লেখেন:
কবিতাকুসুমাবলীর প্রথম সংখ্যা প্রচারিত হইলে অনেক সুহৃদয় ব্যক্তি এরূপ অভিপ্রায় প্রকাশ করিয়াছেন যে কেবল কবিতার কলাপে পরিপূর্ণ হইলে কবিতাকুসুমাবলী সাধারণের সহ্যক হৃদয় গ্রাহিণী হইতে পারিবে না। ইহাতে সময় সময় গদ্যেও কোন কোন প্রবন্ধ প্রকটিত হইলে ভালো হয়; আমরাও বিবেচনা করে দেখিলাম, তাহাদিগের অভিপ্রায় নিতান্ত সুসঙ্গত। কেননা জগতে সমুদয় লোকের গতি সমান নহে। কেহ বা কবিতাকলাপের মকবন্ধ পানে সমুৎসুক। কেহ বা সুললিত গদ্য পাঠে অনুরক্ত, কেহ বা গদ্যপদ্য উভয়েরই রসাস্বাদনে প্রীতি প্রকাশ করিয়া থাকেন। সুতরাং কোন পত্রিকা নিরবছিন্ন পদ্যে অথবা গদ্যে পরিপূরিত হইলে সমুদয় পাঠকের মানসিক সুখোৎপত্তির সম্ভাবনা নাই।
হরিশচন্দ্রের ‘কবিতাকুসুমাবলী’ সেইসময় এতটাই প্রসিদ্ধ ছিল যে, এর পাঠক সংখ্যা ছিল প্রায় চারশত। হরিশচন্দ্র যে শুধু কবিতাকুসুমাবলীই প্রকাশ করেছিলেন তা নয়, আর্থিক কারণে একটি সাহিত্যপত্র বন্ধ হলে আরেকটি নতুন সাহিত্যপত্রের কাজ শুরু করেতেন তিনি। মূলত, বাংলাদেশ তথা পূর্ববঙ্গে সাহিত্যপত্র বা লিটলম্যাগের জনক হচ্ছেন হরিশচন্দ্র মিত্র।
তিনবছর চলার পর ‘কবিতাকুসুমাবলী’ বন্ধ হলে ১৮৬২ সালে তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হতে থাকে কাব্যময়ী একটি মাসিক সাহিত্যপত্র। যার নাম ‘চিত্তরঞ্জিকা’। এখানে উল্লেখ্য যে তার সম্পাদিত সাহিত্যপত্র জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও তিনি কখনো পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতিমান লেখকদের লেখা দিয়ে পত্রিকা সজ্জিত করতেন না। বরং পূর্ববঙ্গের নতুন প্রতিভাবান লেখকদের লেখা ছাপাতেন তিনি। এমনকি তিনি সনাতন হিন্দু হলেও তার পত্রিকায় স্থান মিলত মুসলমান কবিদের লেখাও। চিত্তরঞ্জিকাতে ‘আহমদ’ ও ‘এইচ’ নামের দুজন মুসলমান কবি নিয়মিত লিখতেন। কয়েকমাস পর ভাগ্যের পরিহাসে চিত্তরঞ্জিকাও কবিতাকুসুমাবলীর পথ ধরে। তবু তরুণ সম্পাদক হরিশচন্দ্র হার মানার পাত্র নন। ১৮৬২ সালে আরেকটি মাসিক সাহিত্যপত্র বের করা শুরু করেন হরিশচন্দ্র, যার নাম ‘অবকাশরঞ্জিকা’।
একাধারে কবি, নাট্যকার, সম্পাদক ও প্রকাশক হরিশচন্দ্র ১৮৬৩ সালে ইমামগঞ্জে (মোগল্টুলী) ‘সুলভযন্ত্র’ নামে একটি ছাপাখানা দেন। সেখান থেকে তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হতে থাকে সাপ্তাহিক ‘ঢাকা দর্পণ’, যেটি ছিল পূর্ববঙ্গের তৃতীয় সাপ্তাহিক পত্রিকা। সাহিত্য-সাংবাদিকতায় যুগপৎ আগ্রহ থাকায় ঢাকা দর্পণের পাশাপাশি তিনি ‘কাব্যপ্রকাশ’-নামে কাব্যময় আরেকটি মাসিক সাহিত্যপত্র বের করা শুরু করেন।
বলা যেতে পারে মাত্র ৩৪ বছর জীবনকালে হরিশচন্দ্র মিত্র কখনো বিরাম নেননি। ১৮৫৮ সালে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সংবাদ-প্রভাকরে তার প্রথম কবিতা ‘মনের প্রতি দেশ’ প্রকাশিত হয়। এরপর ১৮৬০ সালে ঢাকাতে ‘বাঙ্গালাযন্ত্র’ ছাপাখানা করা হলে তিনি সেখানে কম্পোজিটর হিসেবে যোগদান করেন। তার কিছুকাল পর থেকেই একজন সম্পাদক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার শিক্ষাজীবনও সমৃদ্ধ নয়। ভালো ইংরেজি জানতেন না বলে পাশ্চত্য শিক্ষা দ্বারাও তেমন প্রভাবিত হননি প্রথমদিকে, তবে পরবর্তী সময়ে তার পাশ্চাত্যের সাহিত্য অধ্যয়ন সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। তিনি কিছুটা প্রভাবিত হয়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র ও মধুসূদন দ্বারা। তবে তারা যে তাকে গ্রাস না করে আরও যোগ্য করে তুলেছিলেন, তা বোঝা যায় কবির ‘কীচক-বধ’ কাব্যে। তিনি বাংলা সাহিত্যের মিত্রাক্ষর ও অমিত্রাক্ষরকে একই সমতলে রেখে রচনা করেন ‘কীচক-বধ’কাব্য।
তার মানে সেসময় হরিশচন্দ্র কিছুটা হলেও পাশ্চাত্য সাহিত্যের সংস্পর্শে এসেছিলেন। তার ‘কীচক-বধ’ কাব্যে বলেছেন:
হায় রে! চন্দন লিপ্ত আছিল যে কায়
পাঞ্চালীর রজো রাশি তাহা আবিরল
মেঘমালা আবরয় যেমন ঊষায়
কীচক বিরাট অগ্রে যবে আক্রমিল।
এই শক্তিশালী প্রাজ্ঞ সাহিত্যসাধক ও সম্পাদক ১৮৬৫ সালের এপ্রিল থেকে সাপ্তাহিক ‘হিন্দু হিতৈষিণী’ সুলভযন্ত্র ছাপাখানা থেকে তার সম্পাদনায় প্রকাশ করতে থাকেন। ১৮৬৯ সালের দিকে তিনি ‘হিন্দু হিতৈষিণী’ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ‘গিরিশযন্ত্র’ নামে একটা ছাপাখানা দেন। সেখান থেকেই তিনি করলেন যুগান্তকারী কাজটি। অসুস্থ অবস্থায় ১৮৭০ সালে তাঁর সম্পাদনায় বের করলেন ৮ ফর্মার, অর্থাৎ ৮*৮=৬৪ পাতার সাহিত্যপত্র ‘মিত্র প্রকাশ’। মিত্র প্রকাশে হরিশচন্দ্র যোগ করলেন সাহিত্য ও গ্রন্থসমালোচনা; যা ওই সময় হাতেগোনা দু’একটি সাহিত্যপত্রে প্রকাশ করা হতো। বিশেষ করে ১৮৭০ সালের দিকে পূর্ববঙ্গে এরকম প্রচেষ্টা খুবই বিরল ছিল।
‘মিত্র প্রকাশ’-এ সাধারণত হরিশচন্দ্র নিজেই বিভিন্ন ছদ্মনামে সমালোচনা করতেন। সাহিত্য সমালোচক হিসেবে তিনি ছিলেন সাহসী ও স্পষ্ট। বাংলাদেশ তথা পূর্ববঙ্গের প্রথম বলিষ্ঠ সাহিত্য সমালোচকও বলা চলে তাকে। তিনি মদনমোহন সম্পর্কে সমালোচনা করতে গিয়ে বলেছিলেন, “একমাত্র শিশুশিক্ষার ‘পাখিসব করে রব’ এই কবিতা দ্বারা তিনি প্রধান কবি হইতে পারেন না।” উল্লেখ্য, মদনমোহন ওই যুগে তেমন প্রতিভাবান কবি না হলেও তোষামোদির জোরে সাহিত্যে বেশ ভালো জায়গা দখল করেছিলেন। যে জন্য হরিশচন্দ্র তাকে এভাবেই মূল্যায়ন করেছিলেন।
এছাড়া সেসময় বাহুল্যদোষে দুষ্ট অনেক কবি-সাহিত্যিক ছিলেন, যাদের তিনি তিরস্কার করতেন এবং সাহিত্যের শত্রু মনে করতেন। তাই তার কবিতায় তিনি লিখেছেন,
দোষগ্রাহী সম্প্রদায় শিকারী কুকুর প্রায়
দক্ষিণে ডাকিছে।– তুমি এত শত্রু মাঝারে
বিভু তোমা এই বার নির্ব্বিঘ্নে করুণ পায়
ভঙ্গ অঙ্গ কেহ যেন নাহি করে তোমারে।
শুধু অকবিদের সমালোচনা করে ক্ষান্ত হননি তিনি, বাল্যবিবাহ, পণপ্রথা, বহুবিবাহের বিরুদ্ধে সংস্কারবাদী বক্তব্যও রেখেছেন কবিতা ও নাটকে। তার ঠাণ্ডা এই লাইনগুলো কতটা সমাজ সচেতনতায় ভরপুর তা বোঝা যায়।
ওহে দীন দয়াময় কি হইল হায় হায়
ভেবে সমাজের দশা দেখে প্রাণ যায় যায়।
কী কব দুঃখের কথা, কোথাও কৌলিন্য প্রথা
দিতেছে অন্তরে ব্যথা কত কামিনীরে-
কোথাও বা কন্যাপণ করে কত জ্বালাতন
কোথাও অকাল মরণ বাল্যবিবাহ ঘটায়।
তার নাটকেও উঠে এসেছে সমাজের অসঙ্গতির কথা। প্রথম প্রহসন ‘শুভস্য শ্রীঘং’ তার প্রথম গ্রন্থও বটে। তার এই নাটকটি ব্রাহ্মণদের প্রতি ছিল একটা আঘাত। এছাড়া ‘মেও ধরবে কে’ নাটকে শিক্ষিত এক নারীচরিত্র কুমুদিনীকে দাঁড় করিয়েছিলেন প্রতিবাদী রূপে। তার ‘ঘর থাকতে বাবুই ভেজে’ নাটকটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম মদ্যবিরোধী নাটক। এছাড়া তার রচিত আরও কয়েকটি নাটকের খোঁজ পাওয়া যায়। তার লিখিত বইয়ের ভিতর ১৮টি কাব্যগ্রন্থ, নাটক ও প্রহসন ১২টি, গীতিনাট্য ৫ টি, গদ্যগ্রন্থ ৩ টি এবং শিশুপাঠ্য ১২ টি বইয়ের খোঁজ পাওয়া যায়। (সৈয়দ আবুল মকসুদ, হরিশ্চন্দ্র মিত্র, ঢাকার সাহিত্য ও সাময়িকপত্রের পথিকৃৎ)। এ কথা আমাদের স্বীকার করতেই হবে পূর্ববঙ্গের আধুনিক সাহিত্যের একজন খ্যাতনামা পূর্বপুরুষ হলেন হরিশচন্দ্র মিত্র। তিনি যে বিষয়টা নিজে অনুধাবন করেছিলেন তা হলো সাহিত্যপত্র ছাড়া সাহিত্যচর্চা কোনো সমাজে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই অসুস্থ অবস্থায়ও ‘মিত্র প্রকাশ’ প্রকাশ করে পৃথিবীকে তিনি জানিয়ে দিলেন- সম্পাদক যদি হতে হয় আমার মতো হও।
যে সাহিত্যপত্রকে এখন বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করে লিটলম্যাগ নামে পরিচিত করানো হয়, তা আসলে হরিশচন্দ্রের কবিতাকুসুমাবলী, চিত্তরঞ্জিকা, অবকাশরঞ্জিকা, কাব্য প্রকাশ অথবা মিত্র প্রকাশেরই অপর রূপ। হরিশচন্দ্রের পর পূর্ববঙ্গের সাহিত্যপত্রের অবস্থা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ওঠা-নামা করেছে। তবে একটা ব্যাপার রয়ে গেছে একই রকম। সেটি হচ্ছে, হরিশচন্দ্রের সময় যেমন ধনপতিরা তাকে সহযোগিতা করেননি, তেমনি এখনো বাংলাদেশে ধনপতিরা একাজে সহযোগিতা করেন না। তাই বলে সাহিত্য সম্পাদকদের হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। হরিশচন্দ্র থেকে শিক্ষা নিয়ে সম্পাদকদের হয়ে উঠতে হবে পরিশ্রমী এবং আপসহীন।