[শিহাব শাহরিয়ার একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক, ছোটকাগজ সম্পাদক ও উপস্থাপক। গল্প দিয়ে তাঁর লেখালেখি শুরু। এরপর কবিতা, প্রবন্ধ। উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ—‘হাওয়ায় রাত ভাসে ভাসে নিদ্রা’, ‘ফড়িঙের পাখা পোড়ে’, ‘নদীর তলপেট ফোঁড়ে উড়ে যায় রোদ’, ‘আমি দেখি অন্য আকাশ : নির্বাচিত কবিতা’, ‘যখন ভাঙে নক্ষত্র’, ‘মাতাল মেঘের ওড়াউড়ি’। গল্পগ্রন্থ- ‘ঘাটে নদী নেই’। প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থ ‘নরম রোদের আলোয়’। এছাড়া, রয়েছে চারটি গবেষণাগ্রন্থ। এগুলো হলো—‘বাংলাদেশের পুতুলনাচ’, ‘বাংলাদেশের হাজং জনগোষ্ঠী’। আমরা মূলত তার কবিতার প্রবণতাগুলোর একটি বিশেষ দিক—অভিমান-আশ্রিত আত্মভ্রমণকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে একটিমাত্র বইকে বেছে নিয়েছে। বইটি ‘যখন ভাঙে নক্ষত্র’। এটি নিয়ে নাতিদীর্ঘ, বিশ্লেষণী ও পাঠোদ্ধারমূলক আলোচনা লিখেছেন পাপড়ি রহমান।]
শিহাব শাহরিয়ার আপাদমস্তক একজন কবি। এবং কবিই। যদিও স্পর্শকাতর কবিতাবাগিচার পাশাপাশি তাঁকে অন্যান্য কাননেও ঢুঁ মারতে দেখা যায়। এটা অবশ্যই নোটিশ করার মতো বিষয় যে, তিনি কবিতার পাশাপাশি গদ্যসাহিত্যকেও করায়ত্ত করেছেন এবং সেসবের সংখ্যাও একেবারে নগন্য নয়!
‘কবিতা কখনো সতীনের সংসার যাপন করে না’র মতো প্রবাদ বাক্যটির সম্মুখ বা পেছনের ইতিহাস যা-ই হোক না কেন, কবি মাত্রই বাক্যটি নিয়ে ভাবনাতে নিমজ্জিত হোন। শুধু নাজুক ও কোমলতর স্বভাবের কবিরা কেন, বাক্যটি নিয়ে অন্যেরাও তেমন উচ্চকণ্ঠে কিছু বলেন না। মোদ্দাকথা বাক্যটি এস্টাবলিশড! হতে পারে এমন উপমা যারা খাড়া করেছেন তারা ভেবেচিন্তেই করেছেন- যেন নিজেদের সেফসাইডে রাখা যায়। ধরে নেওয়া যেতে পারে, এটা আমাদের কোমল-কমল-কুসুমিত-কবিককূলেরই কম্ম! কবিতার মতো অপ্সরীর বাইরে তাঁরা দৃষ্টি দিতে নারাজ বলে! তা কবিমাত্রই আপনভুবনের ডুবুরি—কাব্যলক্ষ্মীর কৃপা সে পাক বা না-পাক। কিন্তু ওই আপনভোলা কবিকূলের কাতারে শিহাবকে অবশ্যই ফেলা যাবে না। কারণ, তাঁর রয়েছে গদ্য নিয়ে বেশ ঈর্ষান্বিত কর্ম, তন্মধ্যে ‘বাংলাদেশের পুতুলনাচ’ নিয়ে এক সিরিয়াস গবেষণা গ্রন্থ। অন্যটি ‘বাংলাদেশের হাজং জনগোষ্ঠী’।
রোদ্দুরের পানে বরাবর তাকানোর বাসনা
দেখা যাচ্ছে যে, এই ধরনের ‘কবিতা সতীনদের’ শিহাব বেশ ভালোভাবেই ট্যাকেল করেছেন। যাবতীয় ‘সতীনের ভার’ মেরুদণ্ডের ওপর দিব্যি ফেলে তিনি কাব্যকাননে নিজের ইস্পিত কুসুমটি ফুটিয়েছেন। তাও নিছক বনজ বা জংলি-জাংলা পুষ্প নয়, একেবারে সূর্য-বন্দনারত সূর্যমুখীটিকে কবিতা-বাগিচায় প্রস্ফুটিত করে যেনবা নিজেই রোদ্দুরের পানে বরাবর তাকানোর বাসনা প্রকাশ করেছেন!
‘যখন ভাঙে নক্ষত্র’ শিহাবের ৬ষ্ঠ কবিতার বই। তিন পার হওয়ার পরে চার বা পাঁচে যে শংকা ও উত্তেজনা বা যে দুনোমনো কবিতার রেখা-আলাপ— সেসব বেশ স্থির হাতে সরিয়ে ৬ষ্ঠ কাব্যযাত্রাতে যেকোনো কবিরই দৃঢ়প্রত্যয়ী হয়ে ওঠার কথা! শিহাবও তাই হয়েছেন। ফলে পুষ্প-পরাগ-পারিজাত, পক্ষী-পক্ষ-পাখসাট, পবন-প্লাবন-পলা, পঙ্ক-পঙ্কিল-পাশব, পলল-পঙ্কজ-পাললিকতাকে কবিদৃষ্টিতে বিদ্ধ করে শিহাব তাকিয়েছেন নক্ষত্রের পানে। কিংবা বলা কি যায় তাকিয়েছেন বেদনার পানে?
শিহাব নিজেই যখন বলেন— ’প্রান্তর শূন্য হলে মানুষেরা শব্দহীন হয়’— এমন অমোঘ সত্যকে সঙ্গী করে তিনি নিজেই নিঃশব্দ হয়েছেন, নির্জন হয়েছেন! অতঃপর নক্ষত্রলোকে বিচরণ করেছেন। খুব একাকী, সঙ্গোপন, নিঃসঙ্গ, নির্জন আর বেদনার্ত ভ্রমণ! এবং এই ভ্রমণে ৬২ পৃষ্ঠাব্যাপী অন্তত ৫৩ বার তিনি নক্ষত্রের ভাঙন দেখেছেন!
কেউ যদি ভেবে বসেন যে, এই ভাঙন ‘লেজেগোবরে’ বা ‘জগাখিঁচুড়ি’ টাইপ তাহলে তিনি নিজেই বিভ্রমে পতিত হবেন। আমি নিজে কবি নই, মামুলি পাঠক মাত্র— কোনো কবি সম্পর্কে আমার এই উক্তি স্পর্ধার মতো শোনালেও, আমি আমার বক্তব্যে থাকতে চাই ‘স্থির ও অবিচল’। কারণ নাগরিক কবি শিহাব শাহরিয়ার নাগরিক হলাহল ও জৌলুস পাশ কাটিয়ে দার্ঢ্য কণ্ঠে বলেন—এভিন্যুর নিয়ন আলো আমাকে দেখিও না
আমার নিমগ্ন চোখ নক্ষত্রের অন্ধকারে ডুবে আছে
(যখন ভাঙে নক্ষত্র : ১)
তারকারাজির বিচ্ছুরিত আলোকমালা!
শিহাবের এই বইটির এক-একটি কবিতাকে যদি আমি সিঁড়ির ধাপের সাথে তুলনা করি— তাহলে প্রথম সোপানে পা রেখেই পাঠক পেয়ে যাবেন নক্ষত্র মুখরিত এক অদেখা আলোর জগত! অতপর অলৌকিক জ্যোতির্ময়তাকে সঙ্গে করে আপনি পেরুতে থাকবেন মেঘ-নিবিড় আসমান, বেনারসিতে সলমা জরির অনবদ্য কারুকাজের মতো তারকারাজির বিচ্ছুরিত আলোকমালা!
হলি খেলার তালে পূর্ণিমার আলো নাচে সারারাত
এ কোন প্রেম— নৃ-যুবক-যুবতীরা গাঁও মানে না
ছোট ছোট নুড়িরা আমাদের দুঃখ বুঝে নেয়
জল থেকে শূন্য হাত তুলে নিই আমরা
একটি নক্ষত্রই শুধু তাকিয়ে থাকে
(যখন ভাঙে নক্ষত্র : ২৩)
পৃথিবীর পথ ছেড়ে আকাশের নক্ষত্রের পথে এক চন্দ্রাহত কবিকে আমরা নানাভাবেই ভ্রমণ করতে দেখি। এ তো ভ্রমণ নয়, যেন চাঁদে পাওয়া কোনো ঘোরগ্রস্ত মানুষের চন্দ্রবিলাপ! তমসা তাড়ানোর জন্য, কালোকে মুছে ফেলার জন্য, যাবতীয় বিপন্ন বিস্ময় ও বেদনার গুঞ্জনকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য শিহাব শাহরিয়ারের এ এক একাকী অথচ অনন্ত আলোকযাত্রা!
মাছেরা যখন আকাশে ওড়ে
নক্ষত্রেরা নামে দলে দলে
আমরা তখন জল জল খেলি
ম্রিয়মান রোদের কোলে
আমি বেড়াবো নক্ষত্রের মাঠে
মাঘী পূর্ণিমার রাতে একা
অভিশপ্ত আগুনে পুড়বে তুমি
আমার পাবে না দেখা
(যখন ভাঙে নক্ষত্র : ৩৫)
কবির তীব্র অভিমান কিন্তু আর আড়াল করা গেল না! নক্ষত্রদের পতনের সঙ্গে সঙ্গে কি কবি নিজেই মীন হয়ে ওঠেন? তারপর জলখেলা আর জলবিহার। ক্রমাগত এসবই তো! মিইয়ে আসা রোদ্দুরের শরীর ছেনেছুনে, নক্ষত্রের মাঠ চষে বেড়াতে বেড়াতে কি কবি ভেঙে পড়েন? নিজের অন্তর্গত কোনো প্রকট বেদনায়, বিষণ্নতায় অথবা কোনো ঘোরতর আকালের কারণে?
তীক্ষ্ম অস্ত্রতে গেঁথে আনা শব্দরূপ মৎসরাজি
অবশ্য কবির না-ভেঙে তো উপায়ও নেই! কারণ সবকিছুই যে ভেঙে পড়ে। কিইবা অভঙ্গুর থেকে যেতে পারে? জোছনা ভাঙে চাঁদ, স্রোতে ভাঙে ঢেউ, নদী ভাঙে ঘাট, পাখি ভাঙে ঠোঁট, আঁধার ভাঙে রাত, দুপুর ভাঙে রোদ, স্বপ্ন ভাঙে ঘুম, কুমারী ভাঙে শরীর, আর নারীরা ভেঙে চলে মন! পুরুষেরাও কি কম ভাঙে নারীর মন অথবা শরীর? ভাঙচুর তো চলছেই ক্রমাগত চারিদিকে, পৃথিবীর পথেও, নক্ষত্রের পথেও। ফলে কবি নিজেও ভেঙে পড়েন। না ভেঙে কি করে যে অটল থাকা যায় তা অন্য কেউ জানলেও কবিরা তো জানেন না!
তখন আর হাঁটব না একা নক্ষত্রের দিকে
যে বেদনার বাঁশি বাজিয়েছে ঘুমের ভেতর
টের পাই সে ঘুমে ছিল শত শত ঘুনপোকা
আমি ল্যাপটপে সারারাত বিক্রি করি কবিতা
কারা যেন চুষে নেয় তোমার নাভির তলদেশ
কেবল এখানে এসে দাঁড়ায় অবশিষ্ট মেঘেরা
(যখন ভাঙে নক্ষত্র : ১১)
শিহাবের কবিতা বেশ সরল। একরৈখিক। কোনোরকম ঘোরপ্যাঁচ বা রূপকের মারপ্যাঁচে তিনি পাঠককে সহজে বিভ্রান্ত করতে চান না। বরং তাঁর কবিতায় রয়েছে সহজ-স্বস্তি। রয়েছে আপনার বা আমার দেখা চারিপাশ। যেসব বেশ সুরম্য ভঙ্গিতে ফ্রিজশট হয়ে আছে। ফলে আপনি অনায়াসেই পেয়ে যাবেন ই-নেট, ফেসবুক, চ্যাটিং, ফ্রে-লিস্ট, নিয়ন, চুম্বন, সাইরেন, শার্ট, নারী শরীরসহ যাবতীয়। শিহাব যেন খেলাচ্ছলেই প্রাত্যহিকতাকে জড়ো করেন। করতে ভালোবাসেন। যেন বা কোনো নিপুণ শিকারি তার হারপুনে শিকার করে চলেন শব্দমীনদের। তবে তাঁর শিকার সর্বত্রই যে নির্ভুল তা কিন্তু হলফ করে বলা যাচ্ছে না। শিকারে মীনদের পাশাপাশি কিছু কচ্ছপ-কুঁইচাও তো হারপুনে উঠে আসে। এতে অবশ্য শিকারির দোষকে অঙ্গুলি নির্দেশে স্থিরভাবে সিদ্ধান্ত দেওয়া যায় না। বা দেওয়া উচিতও নয়, কারণ কবিতা হলো— মনের কোনো ঘোরঘুট্টি অন্ধকার নদী থেকে তীক্ষ্ম অস্ত্রতে গেঁথে আনা শব্দরূপ মৎসরাজি!
শিহাবের কবিতার নন্দনের প্রধান দিক হলো— যেভাবেই তা লেখা থাক না কেন, হয়তো কিছু বাহুল্য শব্দরাজি কানকে পীড়িত করছে, কিন্তু শেষাব্ধি তা সুখপাঠ্যই হয়ে ওঠে! বা সুখপাঠ্য হতে বাধ্য হয়। কারণ শিহাব যা বলেন তা একেবারেই ভাণ-ভণিতাহীনভাবে বলেন। বলেন নিজের অন্তর্গত বিষাদের সাথে একাত্ম হয়েই। ফলে তাঁর উচ্চারণে কোনো জড়তা একেবারে নেই।
মেঘের আড়ালে পড়ে ছিল পাখিদের ডানা
তুমি তখন ঘুম ঘুম ঘুম খেলছো গভীর রাতে
হারিয়েছ তোমার হাতের চুড়ি পায়রা নদীর জলে
তোমার হাত থেকে সরে গেছে ফর্সা শাদা রঙ, চোখ থেকে স্বপ্ন
মন থেকে জানালা, শরীর থেকে বৃষ্টির ফোঁটা, ঠোঁট থেকে ঘামের বিন্দু
(যখন ভাঙে নক্ষত্র: ৯)
শিহাবের কবিতায় নন্দনের আরও নানান দিক রয়েছে, যা এত স্বল্প পরিসরে বলে শেষ করা যাবে না। তবে তাঁর কবিতায় এত বেশি ‘তুমির’ আধিক্য– তীব্রভাবে ষাট দশকীয় পঙক্তিমালার কথা মনে করিয়ে দেয়। অবশ্য একেবারেই ‘তুমিহীন’ কবি জীবনও বা কিভাবে ভাবা যায়? তবে এটুকু আশা করা নিশ্চয়ই দোষের নয় যে, শিহাব এই ‘তুমিটিকে’ অচিরেই সমষ্টির দিকে বা বিমূর্ততার দিকে নিয়ে যাবেন। অথবা নিয়ে যাবেন নিদেন পক্ষে নিসর্গ বন্দনায়। ফলে কোনো একদিন তাঁর কবিচোখ ঝর্ণজল পতনের দৃশ্যাবলি দেখে লিখে ফেলবে নক্ষত্র রাতে ঢল হয়ে বেগে ঝরে পড়বার পদাবলি।
নতুন কোনো সুর ধ্বনিত হবে অচিরেই
আমরা আশা করতে পারি যে, তাঁর এই ‘তুমিঘোর’ কেটে গিয়ে লেখা হবে ধানশালিক, রেলগাড়ি, ধানসিঁড়ি, কার্তিক, পেঁচা, হেমন্ত, ধানহীন শূন্য বিরান ভূমি, চলিঞ্চু মেঘকিংবা অলকানন্দাসহ অন্য কোনো নদীদের স্বরলিপি।অথবা লেখা হবে নিদেনপক্ষে কোনো বুড়োবুড়ির স্থির অথচ তীব্র প্রেমের কথা।
আমিও তোমার মতো বুড়ো হব— বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেবো কালীদহে বেনোজলে পার :
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাবো জীবনের
প্রচুর ভাড়ার।
(আট বছর আগের একদিন: জীবনানন্দ দাশ)
শূন্য করে করেই পূর্ণ হয়ে ওঠে এই ধরনী। এই মায়াময়, ছায়াময় জীবন কোনো না কোনোভাবে বা কোনোখানে হয়তো তার মতো করেই পূর্ণ হয়ে ওঠে। হোঁচট খেতে খেতেই স্বপ্নেরা পূর্ণ হয়। ফের ভেঙে যায়। কবি শিহাব শাহরিয়ার নক্ষত্রের ভাঙা ও বেসুরো সুরগুলো বেশ দতার সাথেই ইন্দ্রজালে আবদ্ধ করেছেন। তবে শব্দের খেলায় আরও খানিকটা কৌশলী হলে হয়তো তিনিই হয়ে উঠতে পারেন সেই বংশীবাদক, যাঁর বাঁশিতে বাংলা কবিতার নতুন কোনো সুর ধ্বনিত হবে অচিরেই।
মেঘেরা ফুটুক অথবা না ফুটুক
আমরা জলের স্পর্শ নিয়ে উড়ে যাব অন্য কোনো নদীর শরীরে
একবার যদি জলের ঘ্রাণ নিতে পারি
তাহলে মাছরাঙা বিকেলের রোদ উড়বেই, উড়তেই হবে তাকে
নদীদের কষ্টগুলো ধারণ করে রাতের চোখ
আমাদের চোখগুলো কানামছি খেলার সময় অন্ধ হয়ে গিয়েছিল কি?
নদীদের মন বোঝার জন্য
আমাদের ভ্রমণ-তৃঞ্চা থেকে যাবে বহুকাল
নদীর ভেতরে চোখ থাক চোখের ভিতরে নদী থাক
(যখন ভাঙে নক্ষত্র : ৬)
আমাদেরও কাব্যতৃঞ্চা থেকে গেল শিহাবের পঙ্ক্তি পড়ার জন্য। তাঁর নতুন কোনো সুরের মায়াজাল আমাদের নতুন বিভ্রমে নিয়ে যাবে এই ভরসায় রইলাম। নক্ষত্রের পথ পরিভ্রমণ শেষে জীবনের আরও নানাতল, নানা দিকের দিকে তাঁর দৃষ্টি নিবদ্ধ হবে আর আমরা হয়তো পেয়ে যাব কবিতার অন্যলোকের কোনো চাবি। ‘যখন ভাঙে নক্ষত্র’ কাব্যগ্রন্থটির জন্য কবি শিহাব শাহরিয়ারকে আমাদের হার্দিক অভিনন্দন।