আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে
ধুত্তুর ধুত্তুর ধুত্তুর ধু শানাই বাজিয়ে
যাবো তোমায় শ্বশুর বাড়ি নিয়ে।
গানটি সেই ছেলেবেলার সঙ্গে মিশে আছে। আমাদের গ্রামের সেরু দাদার (সিরাজ তালুকদার) কণ্ঠে খুব শুনতাম। তখনো জানতাম না, গানের মূল শিল্পী এন্ড্রু কিশোর নামের একজন। শিল্পীর নাম না জানলেও সেরু দাদার কল্যাণে আমার কণ্ঠেও বেজে উঠতো এই গানের সুর। যদিও তখনো বউ বা শ্বশুরবাড়ির মানে বুঝতাম না। শুধু এই গানই নয়, সেরু দাদা স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গাইতেন ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘আমার সারা দেহ খেও গো মাটি’ বা ‘বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে’সহ অনেক গান।
ঘোষণা মঞ্চে তখন শিল্পী হিসেবে সিরাজ তালুকদারের নামই ঘোষিত হতো। এন্ড্রু কিশোরকে আয়োজকরাও হয়তো এড়িয়ে যেতেন। গ্রামের মানুষ জানতো, এটা ইলিয়াছ কাঞ্চনের গান। সিনেমার পর্দায় তো তাকেই ঠোঁট মেলাতে দেখেছেন সবাই।
এন্ড্রু কিশোর আসলে এভাবেই মিশে গিয়েছিলেন মাটি ও মানুষের মাঝে। গ্রামের সেই সেরু দাদার মাধ্যমেই আমাদেরও গানের দাদা হয়ে উঠেছিলেন। যুগে যুগে এভাবেই অনেক সেরু দাদা এন্ড্রু কিশোরের গাওয়া গান গেয়ে বাড়ির, পাড়ার, স্কুলের, ইউনিয়নের, উপজেলার বা জেলার সেরা শিল্পী হয়ে উঠেছিলেন। আমার ত্রিশ বছরের জীবনে এন্ড্রু কিশোর যেন আমার গানের পাখি হয়ে উঠলেন। বেতার, টেলিভিশন বা ক্যাসেট প্লেয়ার—কোথায় নেই তার গান। ছোটবেলায় আমাদের ভাইজানের (বড় ভাই) একটি রেডিও ছিল। বুক পকেটে রাখা যেতো। রাত দশটায় পড়া শেষ করে আমরা অনুরোধের আসর বা ছায়াছন্দ শুনতাম। একঘণ্টায় বারোটি গান শুনলে ঘোষক যেন দশবারই এন্ড্রু কিশোরের নাম ঘোষণা করতেন। শুধু নারী শিল্পীরা পরিবর্তিত হতেন। কখনো রুনা লায়লা, কখনো সাবিনা ইয়াসমিন, আবিদা সুলতানা বা কনকচাঁপার নাম যুক্ত হতো।
এভাবেই ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ এন্ড্রু কিশোর এক জীবনে হয়ে ওঠেন বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বাধিক ১৫ হাজার গান গাওয়া শিল্পী। এন্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে আলম খানের সুর করা ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। সিনেমায় ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তাঁর কেউ’ গানটির মধ্য দিয়ে তার প্লেব্যাক শুরু। এরপর তার রেকর্ডকৃত দ্বিতীয় গান বাদল রহমান পরিচালিত ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’ চলচ্চিত্রের ‘ধুম ধাড়াক্কা’। এই গান দিয়ে রাতারাতি পরিচিতি পান এন্ড্রু কিশোর। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেও গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পদ্মপাতার পানি’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙাল’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘আমার একদিকে পৃথিবী’, ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ প্রভৃতি। বাংলা চলচ্চিত্রের গানে অবদানের জন্য তিনি আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচবার এবং মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার দুইবার লাভ করেন।
কিশোর মায়ের স্বপ্ন পূরণ করে সংগীতাঙ্গনেই পা রাখলেন। তারপর একদিন কিশোর কুমারের মতোই বিখ্যাত ও কিংবদন্তি হয়ে উঠলেন।
যেদিন মেজ কাকার দোকানে বড় একটি ক্যাসেট প্লেয়ার এলো; সেদিন ফুফাতো ভাই মুস্তাফিজ কিনে আনলো এন্ড্রু কিশোরের সেরা বারোটি গানের অ্যালবাম ‘ফিরে ফিরে আসি’। ফিতা শেষ হয়ে গেলে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে কতবার যে শুনতাম আমরা গানগুলো। হারিয়ে যেতাম সেসব গানের কথায়। কখনো কখনো ভাবতাম, এই গান বুঝি শিল্পীর নিজেরই কথা। নিজের জীবনেরই গল্প। এই তো তখন ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন/ শুনেছিলাম গান,/ সেদিন থেকে গানই জীবন,/ গানই আমার প্রাণ।/ আমার মায়ের আদেশ বাবার মতো/ গাইতে হবে গান।/ সেদিন থেকেই গানই জীবন/ গানই আমার প্রাণ।’ গানটি যখন শুনতাম; তখন ভাবতাম গানটি এন্ড্রু কিশোরের জীবনেরই গল্প। এভাবে প্রতিটি গানই যেন তার এবং শ্রোতাদের জীবনের গল্প হয়ে উঠল। কিন্তু পড়ে জানলাম গানটির কথা ও সুর আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের।
এন্ড্রু কিশোরের বাবা ক্ষীতিশ চন্দ্র বাড়ৈ। তার জন্ম গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলায়। তিনি খ্রিষ্ট ধর্মের অনুসারী ছিলেন। হয়তো তার পূর্বপুরুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন। তাই হয়তো নামের ধরনের হিন্দুরের পদ-পদবী থেকে যায়। যদিও একসময় তিনি রাজশাহীতে থিতু হন। এন্ড্রু কিশোরের মা সেই রাজশাহীর বুলনপুর মিশন গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষিকা মিনু বাড়ৈ। মায়ের কাছেই তার পড়াশোনায় হাতেখড়ি। তাই রাজশাহীতেই কেটেছে খুদে শিল্পীর শৈশব-কৈশোর ও যৌবন। মা মিনু ছিলেন সংগীত অনুরাগী মানুষ। তার প্রিয় শিল্পী ছিলেন ভারতের কিশোর কুমার। সেই শিল্পীর নামে সদ্যোজাত সন্তানের নাম রেখেছিলেন ‘কিশোর’। কিশোর মায়ের স্বপ্ন পূরণ করে সংগীতাঙ্গনেই পা রাখলেন। তারপর একদিন কিশোর কুমারের মতোই বিখ্যাত ও কিংবদন্তি হয়ে উঠলেন।
এন্ড্রু কিশোরের সংগীতে প্রথম পাঠ শুরু রাজশাহীর আবদুল আজিজ বাচ্চুর কাছে। তবে তার সার্টিফিকেট নাম কিন্তু ‘এন্ড্রু কিশোর’ ছিল না। ছিল ‘এন্ড্রু কিশোর কুমার বাড়ৈ’। গান করতে এসে বাবা-মায়ের দেওয়া পারিবারিক নাম কেটে নিয়েছিলেন নিজের মতো করে। এন্ড্রু কিশোর এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘যখন ফিল্মে গান শুরু করলাম।
একদিন দেওয়ান নজরুল নামের একজন পরিচালক বললেন, ‘আচ্ছা এন্ড্রু, তোমার এত বড় একটা নাম। কমার্শিয়ালি কিন্তু এ নামের কোনো ভ্যালু নেই! এই নামটা শুট করতেই তো দশ রিল ফিল্ম বেশি লাগবে। তাছাড়া পৃথিবীতে অধিকাংশ তারকার নাম দুই শব্দের হয়। খামোখা তুমি এই চার শব্দের নাম নিয়ে কেন ঘুরছ? লোকে তো মনে রাখতে পারবে না।’ পরিচালকের সেই কথা এন্ড্রু কিশোরের মনে দাগ কেটেছিল। তিনি সিদ্ধান্ত নেন নাম ছোট করার। কিন্তু বিপদ ঘটলো চার শব্দের কোন শব্দ ফেলবেন আর কোন শব্দ রাখবেন? তিনি বলেন, ‘‘আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম। কিশোর যেহেতু মায়ের দেওয়া ডাকনাম, সেটা তো রাখতেই হবে। আবার কুমার রাখলে কিশোর কুমারের সঙ্গে মিলে যাবে। ঝামেলা হয়ে যাবে। ক্রিশ্চিয়ানিটির কারণে ‘এন্ড্রু’টাও রাখতেই হবে। তাহলে পৈতৃক ‘বাড়ৈ’ টাইটেলটা ফেলে দিই। এটা ভেবে আমি রাজশাহীতে বাবাকে গিয়ে ব্যাপারটা জানালাম। এ কথা শুনে বাবা খুবই দুঃখ পেলেন। বললেন, ‘বাপ-দাদার টাইটেলটা ফেলে দিবি?’ আমি বললাম, ‘না বাবা, ফেলে দেওয়ার ব্যাপার না। নিজের প্রফেশনের প্রয়োজনই এটা করতে হবে। সার্টিফিকেটে তো সবই থাকছে।’ সে থেকে কুমার আর বাড়ৈ ফেলে দিয়ে হয়ে গেলাম ‘এন্ড্রু কিশোর’।’’
কোটালীপাড়া থেকে বিচ্ছিন্ন থাকলেও মাঝে মাঝে যেতেন সেখানে। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসেও এন্ড্রু কিশোর সস্ত্রীক কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের চিথলীয়া গ্রামের পৈতৃক ভিটায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি পৈতৃক ভিটায় একটি ‘প্রার্থনা কুঞ্জ’ করতে চেয়েছিলেন। তার চাচাতো ভাই পূর্ণদান বাড়ৈ বলেন, ‘এন্ড্রু কিশোর আমার কাকাতো ভাই। তার পিতার নাম ক্ষিতিশ বাড়ৈ। এন্ড্রু কিশোররা ছিলেন ৩ ভাই-বোন। ৩ ভাই-বোনের মধ্যে এন্ড্রু কিশোর ছিল ছোট। তার বড় ভাইয়ের নাম স্বপন বাড়ৈ। বোন শিখা বাড়ৈ। আমার কাকা ক্ষিতিশ বাড়ৈর কর্মস্থল ছিল রাজশাহী। তিনি ওখানে চিকিৎসা পেশায় জড়িত ছিলেন। ওখানেই এন্ড্রু কিশোরের জন্ম। তবে তার বাবার জন্ম কোটালীপাড়ায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এন্ড্রু কিশোরের পিতা ক্ষিতিশ বাড়ৈ বরিশালে মিশনারী স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাস করে রাজশাহীতে কর্মজীবন শুরু করেন। তবে তিনি তার পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রতিবছরই কোটালীপাড়ায় বেড়াতে আসতেন।’
তার কণ্ঠে মুগ্ধ হয়েছিলেন শচীন দেব বর্মণের ছেলে রাহুল দেব বর্মণ। সংক্ষেপে যাকে আর ডি বর্মণ বলা হয়। এন্ড্রু কিশোর আর ডি বর্মণের সেই প্রস্তাব বিনয়ের সাথে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এমনকি নিজের দেশের সংগীতেই ভালো থাকবেন বলে জবাব দিয়েছিলেন।
হাজার হাজার গানে কণ্ঠ দেওয়া এই কিংবদন্তি নিজের পরিবারের কাছে খুবই সাদাসিধা মানুষ ছিলেন। পৈতৃক ভিটার প্রতিও টান ছিল। মাঝে মাঝে খোঁজ-খবর নিতেন আত্মীয়-স্বজনের। তার জীবনটাও শুরু হয়েছিল স্বাভাবিক আর দশজন মানুষের মতোই। তাই তো জীবনে প্রথম গান গেয়ে এন্ড্রু কিশোর মাত্র ৮০০ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে এন্ড্রু কিশোরই জানিয়েছিলেন মজার এ তথ্য। আরও মজার ব্যাপার হলো, সেই পারিশ্রমিকটাও তিনি হাতে পাননি। স্কুলের এক বড় ভাই খরচ করে ফেলেছিলেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রথম কোনো গান করলাম পেশা হিসেবে। সে গানের জন্য পারিশ্রমিক ৮০০ টাকা দেবে ঠিক হলো। তখন আমি রাজশাহী থাকি। টাকাটা ছিলো ঢাকায়। এসময় খবর পেলাম স্কুলের এক বড় ভাই ঢাকা থেকে আসছেন। যারা টাকাটা দেবে তাদের বলে দিলাম, আমার টাকাটা ভাইয়ের কাছে দিয়ে দিন। সেই ভাই তার বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে সব টাকা শেষ করে ফেললো।’তবে চলচ্চিত্রে যখন নিয়মিত গাইতে শুরু করেন; তখন প্রতিটি গানের জন্য পাঁচ হাজার টাকা পেতেন এন্ড্রু কিশোর।
এছাড়াও এন্ড্রু কিশোর একটু লোভ করলেই নিতে পারতেন দারুণ এক সুযোগ। যা তাকে মুম্বাইয়ের সংগীত জগতে প্রতিষ্ঠিত করে দিতে পারত। বলিউডের একজন জনপ্রিয় গায়ক হিসেবেই হয়তো আজ উচ্চারিত হতো তার নাম। আমরা আফসোস মাখা অহংকার নিয়ে বলতাম, ‘ভারতের বিখ্যাত গায়ক এন্ড্রু কিশোর তো আমাদের দেশেরই মানুষ। তিনি রাজশাহীতে জন্মেছিলেন।’ যেমনটা আমরা সত্যজিৎ রায়, ঋত্মিক ঘটক, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সুচিত্রা সেন, সাবিত্রী চ্যাটার্জিদের বেলায় বলে থাকি।
তবে এন্ড্রু কিশোরের কারণেই তেমনটা হয়নি। বলিউডের অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন আর ডি বর্মণ এন্ড্রু কিশোরকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুম্বাইয়ে স্থায়ী হওয়ার। বলেছিলেন, নিয়মিত হলে তিনি ক্যারিয়ার গড়ে দেবেন এন্ড্রু কিশোরের। তার কণ্ঠে মুগ্ধ হয়েছিলেন শচীন দেব বর্মণের ছেলে রাহুল দেব বর্মণ। সংক্ষেপে যাকে আর ডি বর্মণ বলা হয়। এন্ড্রু কিশোর আর ডি বর্মণের সেই প্রস্তাব বিনয়ের সাথে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এমনকি নিজের দেশের সংগীতেই ভালো থাকবেন বলে জবাব দিয়েছিলেন।
আমাদের সেই অহঙ্কার, দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, প্লেব্যাক সম্রাট খ্যাত দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর গত ৬ জুলাই আমাদের কাঁদিয়ে চিরদিনের জন্য চলে যান। নন-হজকিন লিম্ফোমা নামক ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন তিনি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছিলেন। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করেও ক্যান্সার নির্মূল হয়নি প্রখ্যাত এ সংগীতশিল্পীর। চিকিৎসক হাল ছেড়ে দেওয়ায় ক্যান্সার নিয়েই ৯ মাস পর গত ১১ জুন দেশে ফেরেন। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি রাজশাহীতেই ছিলেন। তার অন্তিমকালে বয়স হয়েছিল মাত্র ৬৪ বছর। তার জীবনের সেই গল্প এখনো অল্প বাকি রয়েই গেল। তিনি দয়ালের ডাকে চলে গেলেন আমাদের ফেলে।