শৈশবের গল্প
আবার কেন হই না ছোট
ফিরে যেতে গাঁয়ে
নরম ঘাসে হাঁটতে আবার
শিশির ভেজা পায়ে?
গাছের ডালে দড়ি বেঁধে
কী যে মজার দোল
ফিরে কি আর পাবো মায়ের
আদর মাখা কোল?
বাবার সাথে হাঁটে গিয়ে
কিনতে নাটাই-ঘুড়ি
ব্যাগভরা মাছ রান্নাতে মার
নেই তো কোনো জুড়ি।
খেজুর রসের পিঠে-পায়েস
বিন্নি ধানের খই
আনন্দেতে মেলায় যাওয়া
সেদিনগুলো কই?
যাত্রাপালা আউল-বাউল
জারি সারি গান
রাত জাগার সে স্মৃতি আজো
জুড়ায় মন-প্রাণ।
মেঠোপথে দল বেঁধে সব
পাঠশালাতে যাওয়া
সঙ্গী-সাথীর সে আনন্দ
আর যাবে না পাওয়া।
ছেলে বেলার সে সব স্মৃতি
ভাবলে লাগে ব্যথা
ঘুম পাড়ানি গল্প মায়ের
এখন যে রূপকথা।
বড়াই
চালচলনে জমিদারি
কথার ভীষণ বড়াই
বুক ফুলিয়ে হেঁটে বেড়ায়
কাকে আমি ডড়াই?
দাদার দাদা জমিদারের
নামকরা এক সেপাই
সে গৌরবে ঠাট দেখাতো
তার ছিল না দু’পাই
কথায় কথায় হুমকি ধমকি
যেন দেশের রাজা
গাঁয়ের লোকে বুদ্ধি আঁটে
তাকে দিতে সাজা।
মাছের মুড়ো
গোঁ ধরেছে বিড়াল ছানা
খাবে মাছের মুড়ো
তাইনা শুনে রেগে ওঠেন
আমার সেজো খুড়ো।
বাজার এখন আগুনমুখী
মাছও ভীষণ দামি
যে যা বলুক ধার ধারি না
মুড়ো খাবোই আমি।
খুড়োর কথায় বিড়াল ছানার
মুখ হয়ে যায় ভারী
মাছের মুড়ো না যদি পাই
সবার সাথে আড়ি।