বাঁদর ছানা
বাচ্চা বাঁদর বলছে মাকে
কিনে দিতে আয়না
মা বাদঁরটা রেগে বলে
একি আজব বায়না
আমরা থাকি গাছে গাছে
ফলমুল খেয়ে বাঁচি
তুই কি ভাবিস তোর কথাতে
করবো নাচানাচি
ফলে যেমন বুদ্ধি বাড়ে
রূপও তেমন বাড়ে
বানর জাতির বুদ্ধির কাছে
কে বলো আর পারে?
মায়ের কথায় বাঁদর ছানা
কষ্ট পেয়ে মনে
আয়নার শোকে থাকে বসে
গাছের ডালের কোনে।
আমাকে ডাকে
আমাকে ডাকে মধুমতি নদী
ডাকে দিঘলীয়া গ্রাম
কী আবেগে আজও রেখেছে যে মনে
ছেলেবেলার সে নাম
আমাকে ডাকে চুনোপুটি চিংড়ি
ডাকে কই শিং মাছ
মাচানের পুঁই ডাক দিয়ে যায়
ডাক দেয় বট গাছ
রাত জাগা পাখি কুহু কুহু ডাকে
ডাকে জুনি ঝিঁঝি পোকা
জোছনা রাতের মেঠো পথে হাঁটা
ডাকে ফুল থোকা থোকা
ডাক দিয়ে যায় স্কুলের পথ
বিকেলে খেলার মাঠ
ঘুম পরী এসে ভর করা চোখে
শেষ করে দিতো পাঠ
প্রতিক্ষণ ডাকে বৈশাখের মেলা
শরতের সাদা কাশ
নীল প্রজাপতি হলুদ ফড়িং
ধবধবে পাতি হাঁস
আমাকে কেনযে অবিরাম ডাকে
ফেলে আসা সব স্মৃতি
শহুরে মায়ায় ভুলে গেছি যেনো
গ্রাম গঞ্জের রীতি
কবে কোন ক্ষনে সব কিছু ছেড়ে
ঢাকায় এসেছি ছুটে
হারিয়ে ফেলেছি সোনালী প্রহর
সময় নিয়েছে লুটে…
শক্তি
গান ধরেছে হুলো বিড়াল
বাজায় পুষি ডুলি
সেই সুরেতে কুকুর ছানা
নাচছে দু’পা তুলি
বনের যতো পশুপাখি
সকলে হয় জড়ো
রাগে দুখে শিয়াল মামা
কাঁপছে থরো থরো
শুনছেনা তার কথাটা কেউ
মানছেনা আর তাকে
বলছে শিয়াল খাবো আমি
সামনে পাবো যাকে
পাতার ফাঁকে টুনটুনি কয়
তুই কি বাঘের মাসি
হিংসেটা তোর দেখে আমার
পাচ্ছে ভীষণ হাসি
সবাই যখন এক হয়ে যায়
শক্তি তাদের বাড়ে
চালাকিতে পারবিনা ভাই
বুঝবি হাড়ে হাড়ে।
দোস্তি
চুনোপুঁটির দোস্তি হলো
রুই কাতলার সাথে
তাইনা দেখে শিং মাগুরের
ঘা লেগে যায় আতে
তেলাপিয়া দুঃখ নিয়ে
গজার মাছকে কয়
বাইন মাছ লম্বা যতো
জ্ঞানটা ততো নয়
পাবদা এবং ফলি মাছের
মূল্য যেমন বেশী
পাঙাস মাছ অনেক বড়
তেমনি তার পেশি
এসব কথায় ইলিশ মাছও
তর্ক নেয়না কানে
গভীর জলের রাজা আমি
কে জানে তার মানে।