দৈনিকের পাতা খুলতেই নিহতের রক্তরঙা খবরসমেত হেডলাইন, টিভির স্ক্রলে মানবিকতার বিপরীতে গিয়ে উন্মাদনার হটনিউজ কিংবা সমগ্র বিশ্বজুড়ে আত্মবিধ্বংসীপনার রোল, মানবঘাতী এ কর্ম আমরা বোধ হয় মেনে নিয়েছি বড় বেশি নির্লজ্জভাবে। ক্রমশ সুন্দরের খসে পড়া, সৃজনশীলতায় ক্ষেত্রগুলো সংকুচিত হওয়া, উগ্রবাদিতার জয়ধ্বনিতে পৃথিবীর অন্যসব দরজা বন্ধ হয়ে এলেও লেখক কিংবা শিল্পীসমাজ সরব তার সৃজনশীলতার আঙিনায় দাঁড়িয়ে—রীতিমতো বড়শক্তির বিপরীতে-বিরুদ্ধে উজানেই বইতে হয়, শুধু মানবমঙ্গলের প্রত্যাশায়। ক্রমাগত নগরমনস্কতা আর শহরায়নের আড়ালে আমরা হারিয়ে ফেলছি সবুজ-বন-অরণ্য। স্বাভাবিকভাবেই এর নেতিবাচক প্রভাবে পরিবেশ দূষণের যে মহাবিপর্যয়, তার সাক্ষ্য দেয় আর্ন্তজাতিক নেতৃত্ববৃন্দের সম্মেলন-সেমিনার-ক্ষতিপূরণ; কিন্তু বিপুল সংখ্যক প্রাণী-প্রজাতির বিলুপ্তি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিকার হরণ, সেইসঙ্গে বাড়তে থাকা প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের, মানুষের সঙ্গে মানুষের, মানুষের সঙ্গে পশু-পাখির এ বৈরিতা কী দিয়ে রুখা যায়? লেখকের সংবেদনশীল মনে এ নিয়ে ব্যাপক রক্তক্ষরণ-কান্না প্রতিনিয়ত ঝরে পড়ে।
গণহারে না হোক, কিছু মানুষকে, বিশেষ পাঠককে এসব সৃষ্টি উদ্বীপ্ত করে, সচেতন করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে জাগ্রত করে ভুলে থাকা বিবেকবর্জিত লোভী মানুষটিকেও। পৃথিবীর অন্যান্য উজ্জ্বল উদাহরণ এমনকী বাংলাসাহিত্যের অনেক সফল সাহিত্যকর্মের কথা আমরা এই পরিপ্রেক্ষিতে সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করেও দেখব, রেজিয়া রহমান রচিত ‘সীতা পাহাড়ে আগুন’ গল্পের পৃষ্ঠাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা হাহাকার ও বেদনার প্রকৃত চিত্র।
কথাসাহিত্যিক রেজিয়া রহমান ‘সীতা পাহাড়ে আগুন’-এর ভূমিকায় জানিয়ে দেন—‘… তবু ক্ষুদ্র প্রয়াসের স্বাক্ষর পার্বত্য অঞ্চল অশান্ত হয়ে ওঠার প্রাথমিক পর্যায়েই ইঙ্গিতবহ আমার এই উপন্যাসিকা— ‘সীতা পাহাড়ে আগুন’ এদেশের পাঠকদের জন্য বেদনার্ত নিবেদন।’ মূলত লেখক উপন্যাসিকা হিসেবে পাঠ-পরিচয় করে দিলেও এর অন্তর ধারণ করে আছে ঐতিহাসিক বেদনা, ক্লেদাক্ত সম্পর্ক, রক্তজমাট সময় ও ক্রমাগত পরিবর্তনের নামে আত্মদহনের মানবিক দলিল।
‘সীতা পাহাড়ে আগুন’— পাঠ-পর্যটন শেষে আমাদের পেয়ে বসে যাচিত দীর্ঘশ্বাস, অজানা এক অন্যায়বোধ বরং জেগে ওঠে নিজেদেরই মুখচ্ছবিতে। পাঠ-অভিজ্ঞতায় হয়তো ছলছল করে নিজেদেরই চোখ, আত্মদহনের গহনে পড়ে ক্রমশ বাড়তে থাকে আত্মসমালোচনা। লেখকই তো পারেন, নিজের জীবনকে দিয়ে, চারদিকের স্বাভাবিকতার ভেতর থেকেও অস্বাভাবিক আর কালোকে দেখিয়ে দিতে; একেবারে চোখে আঙুল দিয়েই! প্রিসিলা হয়তো হাবিবের বুকে মাথা রেখে কান্না করতে পারে—পাঠকের তো লোকলজ্জা আছে। ফলত সে মর্মবেদনা লুকিয়ে, বড় অভিঘাতের ভাষা নিয়ে পিষিয়ে দেয় লোভাতুর চোখের সামনেই! এভাবেই কি মহৎ সাহিত্যিকেরা জানান দেন তাদের অস্থিত্ব? কিংবা প্রিসিলাদেরই দিয়ে কি উন্মোচন করেন সময়চিত্র?
কোনো কিছুই ঠিক থাকে না। পরিবর্তনের দোহাই দিয়ে আমরা বদলে ফেলি আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সবুজ; হয়তো বা নিজেরদের মুখোশও! প্রিসিলার আগের সে পাবর্ত্য এলাকা তো আমাদের নিজেদের আধিপত্য আর প্রয়োজনের নিরিখে বদলে ফেলছি একেবারে প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে। আর সব পরিবর্তন চাপিয়ে সামরিক বাহিনির গাড়ি-বহর সত্যিই অবাক করে দেয় প্রিসিলাকে। মুখ ফসকে রাঙামাটির রঙিন সৌন্দর্য হরণের কথাই যেন ধ্বনিত হয়—‘একেবারে বাজে হয়ে গেছে রাঙামাটি। মনে হয় ঢাকা কিংবা চিটাগাংয়ের একটা বাজার এনে বসিয়ে দিয়েছে এখানে।’ ওতে কী, সামনে যে আরও বিস্ময়! আরও অপরাধবোধ! ‘বিজনেস ম্যাগনেট শ্রেণীর সদ্য নতুন সদস্য’ হাবিব তথা প্রিসিলার স্বামী তাকে দেখায় তার রাজত্ব; চারদিকে কাটাগাছ, চেরাই হবে; মিস্ত্রি-মজুরদের জটলা, পান-সিগারেটের দোকান—বেড়ার ঘর; রীতিমতো আজব কারখানা! বুর্জোয়া যে সমতল ছেড়ে পাহাড়ের গভীরেও ডুকে পড়েছে তার নমুনা লেখক আমাদের বিশ্বস্তভাবেই দেখান। হাবিবের মতো লুটেরা সমাজে বসবাসকারীরা মানুষকে কেবল উৎপাদনেরই একটি উপকরণ ভাবে। যে কারণে মালিকরূপী হাবিবকে দেখে ‘রীতিমত তটস্ত’ নিয়োজিত শ্রমিকরা। যাবতীয় মানবিক দিক উপেক্ষা করলেও উৎপাদনের প্রবাহ ঠিক রাখতে মদ আর মেয়েলোকের বন্দোবস্ত করতে ভোলে না শোষক সম্প্রদায়। কাঠচেরাইয়ের পাশেই মেয়েলোক আর নানাবিধ অসমাঞ্জস্যপূর্ণ পণ্যের অযাচিত আবহ প্রিসিলাকে আঘাত করে মারাত্মকভাবে। নিজেকে মা-জাতির প্রতিনিধি ভাবতেই যেন তার ঘৃণা, হাবিবকে স্বামীজ্ঞান করতেই যেন অনীহা। কিন্তু তথাকথিত শিল্পবণিকদের সে ভাবনাকে প্রসারিত হতে সুযোগ দেবে কেন? মানবিকতা কাঁদুক, মানুষের পরাজয় হোক—তাতে তাদের কিছুই আসে-যায় না। হাবিবের গাড়ি চলে হিলটপের চমৎকার বাংলোটিতে—পিওন নুরালীর না আসার মতো—ওখানেও প্রিসিলার জন্য অপেক্ষা করে অনাকাঙ্ক্ষিত যত অভিজ্ঞতা।
‘বাংলোর বারান্দায় দাঁড়িয়ে সৈন্যদের মহাড়ায় দৃশ্য দেখা যায়’—কেন এ মহড়া? রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রেরই অভ্যন্তরে থাকা পাহাড়ে কেন এ মহড়া? অথচ হাবিব তথা বুর্জোয়া শ্রেণীর লোকদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয় সশস্ত্র বাহিনির দখলে থাকা বাংলোর অভিজাত অংশও! এখানে, রাষ্ট্র কি তবে দমন-পীড়নকে উৎসাহ দেয়? কিংবা লুম্পেনের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক কি খুব গভীর? এবং আশ্চর্য হাতি, যার সংসার করার কথা বনে, অন্যকোনো হাতিরই দলে তার নাম রাখা হয় রাণী! বন্দী, কী নামের বাহার! রাণী—বড় বড় কাঠের গুঁড়ি আর গাছ টেনে নামায় পাহাড় থেকে। এ-কাটা গাছ কার? কে ভোগ করে? কিভাবে? এসব প্রশ্নের অবতারণায় সরাসরি ইঙ্গিত না দিলেও লেখক আমাদের দেখান—পাহাড়ি বাস্তবতা। ওখানেও হাবিবেরা গড়ে তোলে আপন বলয়—কাউয়ুমের মতো মানুষেরা ওদের সঙ্গ দেয়, সহযোগিতা দেয়। ওদের মদ-বিয়ারের আড্ডায় পাহাড়ি মেয়েদের সৌন্দর্য বর্ণনা দেয় অশ্লীল ভাষায়। আবার হাবিবেরই বাংলোয় মদের আড্ডায় নোংরা আহ্বান বা বাহুবন্দি থেকে বাদ যায় না মেরি—চৌদ্দ বছরের বাংলা জানা পাহাড়ি মেয়েটিও, যে কিনা হাবীবের বাংলোয় কাজ করে, অথচ বাহুবন্দি সেই হাবিবেরই! এ শ্রেণির লজ্জা উঠে যায় মুনাফার প্রবাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। কিন্তু বাঙালি মেয়েরা তো সবসময়ই নিজেকে আবিষ্কার করে স্বামীর ভেতরই! প্রিসিলা হাবিবকে অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখে কষ্ট পায় ভীষণ, অশ্রুতে ভেজায় বালিশ। তবু নিরুপায়! চিরদিনের কষ্টধরা গাছের মতো বাঙালি বধূরাও নিজের ভেতর লুকিয়ে রাখে গোপন-বেদনা, জানতে দেয় না পাশের, সবচেয়ে আপন-মানুষটিকেও। অথচ হাবিবদের কাছে কখনো নিরাপদ নয় প্রিসিলাদের ভালোবাসা, দেশের পবিত্র দায়িত্ব।
তবু থেকে যায় অন্তর্গত হাহাকার। ক্যাপ্টেন মাহমুদ—মুক্তিযোদ্ধা, মহান মুক্তিযুদ্ধের উজ্জ্বল স্মৃতি একপাশে রেখে তাকেই করতে হচ্ছে নিজদেশে আরেক যুদ্ধ! এ-যুদ্ধে ভয়াবহ উন্মত্ততায় জ্বলে-পুড়ে যাচ্ছে প্রিয় স্বদেশেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রাষ্ট্রের অনুগত হিসেবে তারা নিরুপায়—ঠিক এ বৈরিতাকে কাজে লাগিয়ে সুযোগ-সন্ধানী হাবিবেরা গড়ে তোলে বিত্তের পাহাড়। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে রাষ্ট্রীয় হঠকারি নিয়মের বদৌলতে নানা দিকে প্রশ্রয় পায় আত্মঘাতী সংঘ, রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন, সশস্ত্র গেরিলা গোষ্ঠী। অবশ্যই এতে সংযুক্ত থাকে দেশি-বিদেশি নানা কূটচালও। অর্থনৈতি কবল সহযোগে হাবিবেরা প্ল্যানটেশনের নামে পোড়ে সবুজ, পোড়ে পাহাড়; জুমিয়ারা প্রতিবাদ করবে, নো চিন্তা, সময়ও দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে হাতি নামিয়ে দিয়ে ঘরবাড়ি উজাড় করা হবে। কিন্তু হাবিবেরা শুধু নিয়ে খাবে, দিয়ে খাবে না, তা কি হবে না? তাদের হয়ে প্রাণ যায় নুরালীদের, একসময় ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধে মারা যায় ক্যাপ্টেন মাহমুদও। প্রয়োজনে রক্ত নেওয়াও যার দায়িত্বে পড়ে, সেও বুঝি ক্ষান্ত দেয় রক্ত দিয়ে! মাহমুদেরা মারা যায় অনেকটা অপঘাতেই, হাবিবেরা নির্বিকার, হিসাব কষে মুনাফার। যুদ্ধ মানেই তো রক্ত রক্ত খেলা! কেউ হারে, কেউ জিতে—রক্ত তো আর সরল অংকের সূত্র মানে না! বুক খালি হয় মায়ের-বোনের-স্ত্রীর-সন্তানের। তবু পিপাসা মেটে না আমাদের, পৃথিবীব্যাপী কিংবা দেশেরই অভ্যন্তরে বিভিন্ন রাজ্যে-অংশে এত বিবাদ কেন? কেন এত হতাশার চোরাবালি? তবে কি শাসকের ব্যর্থতা? মন বুঝতে না-পারার দীর্ঘমেয়াদি ফল!
মেরী আত্মহত্যা করে, প্রিসিলার মতে; যদিও লেখক একটা কারণ আমাদের দেখিয়ে দেন ‘সীতা পাহাড়ে আগুন’-এ। মেরীর পরিবারেরও আছে এক রক্তাভ ইতিহাস! মেরীর বড়ভাই ডেভিড—যে কিনা গিটার বাজাতো, চলে গেছে শান্তি বাহিনীর সঙ্গে। মা আর ছোটবোন দুটি না জানি কোন শরণার্থী ক্যাম্পে জীবন কাটাচ্ছে; অথচ এসব ভুলে থাকে যোসেফ—মেরীর বাবা; তুচ্ছ মদ গিলে। স্বাধীন দেশেও কি তবে উদ্বাস্তু হতে হয় মানুষকে! দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র তাহলে ভীষণ টুঁটি চেপে ধরে আছে আমাদের! মেরীর কৈশোর-জীবন পেছনে ফিরে খুঁজে পায় একরাশ যন্ত্রণা, যা প্রতিনিয়ত কুরে কুরে খায় তাকে। মেরী জানে, তার যন্ত্রণা; তাকে প্রতিনিয়ত অপমান হতে হয় নিজেরই কাছে, বাবার ব্যবহারে কিংবা পেটের নিশ্চয়তায় যেখানে কামলা দেয় সেখানেই! কিংবা হাবিবের বাহুবন্ধন, বেহিসেবী আচরণই কি মেরীকে বাধ্য করে আত্মহত্যায়? এ দেশেই তো হাজারো মেরী নামের গৃহকর্মী প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হয় গৃহকর্তার হাতে, কখনো মানসিক, কখনো বা শারীরিক। এ দিকে ইশারা দিতেই কি ঔপন্যাসিকের এ প্রয়াস? রিজিয়া রহমানের এ পর্যবেক্ষণ মিথ্যা প্রমাণ করার দায় তো মানুষেরই, আমাদেরই আশকারায় বেড়ে ওঠা আগাছাগুলো কি আমরাই নির্মুল করতে পারি না সমাজেরই বৃহত্তর কল্যাণেই?
এক সময় রাণীও বিদ্রোহ করে ওঠে। শেকল ছিঁড়ে সে-ও প্রকৃতির পক্ষ হয়ে প্রতিশোধ নিতে শুরু করে মানুষের বিরুদ্ধে। আহা, কেবলই দুঃসংবাদ ভর করে হাবিবের কানে; চারদিক থেকে তেড়ে আসে প্রতিরোধ। সীতা পাহাড়ে জুমিয়াদের আগুনে ঝলসে যায় স্বাভাবিক রূপ। সবাই নির্বাক! যেন কিছুই করার নেই, যেনবা মূঢতার রাজ্যে প্রবেশ করে দৃশ্যমান মানুষগুলো। প্রিসিলা কাঁদে, হাবিবকে বোঝায় এসব বন্ধ করো; আমার ভালোবাসার পাহাড়-সবুজ-জুম-চাষিদের বাঁচাও। কোনো উত্তর দেয় না হাবিব, আকস্মিক প্রতিক্রিয়ার সে যেন কিংকতর্ব্যবিমূঢ়। প্রকৃতির প্রতিশোধপরায়ণতার সঙ্গে পেরে ওঠে না মানুষ, শতচেষ্টায়ও না। প্রকৃতি তো আমাদেরই মমতা চায়, মানুষের নানাবিধ অভাব দূর করতে। মানুষের লোভাতুর শয়তানটি কেবলই জ্বেলে দেয় আগুন, কেবলই হরণ করার চিন্তায় জেগে থাকে পৃথিবীময়। সীতা পাহাড়ে আগুন উপন্যাসের পাতায় পাতায় আমরা শুনি একজন প্রকৃতিপ্রেমীর অন্তর্গত হাহাকার। একদল বুর্জোয়ার নির্লজ্জ দখল আর দেশেরই অভ্যন্তরে বাঙালি-পাহাড়ি নামে বিভাজন করে রক্তের নিষ্ঠুর খেলা। যার পরিণতি আগুন-ছাঁই আর কান্না। সবকিছুকে ছাপিয়ে রিজিয়া রহমান আমাদের শোনান মানবিক-মানুষ হওয়ারই জাগরণী সঙ্গীত। একজন প্রিসিলাকে বিবেকের প্রতিভূ করে তিনি দেখিয়ে দেন, সম্ভাবনার আলোটুকু এখনো শেষ হয়নি। বঙ্গবন্ধুকন্যার দূরদর্শী শান্তিচুক্তি অন্তত আলোর মশাল হয়ে এগিয়ে আসে সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে নিতে। হয়তো আমাদেরই মহান ঐক্যে বন্ধ হবে যাবতীয় ভণ্ডামি, হৃদয়ের কলুষতা। সীতা পাহাড়ে আগুন পাঠেই শুরু হোক মানুষের জয়গাথা।