এবারের বইমেলায় আপনার বই প্রকাশিত হচ্ছে? প্রকাশক কে? প্রচ্ছদ কে করেছেন? প্রকাশিতব্য বই সম্পর্কে কিছু বলুন।
কবিতার বই: ’রাত পৌনে চারটা’, ‘এই পথ একার: কথপোকথন’, ‘প্রেমের কবিতা’। ভ্রমণবিষয়ক বই: ‘মেঘের আলোয়’। প্রকাশক : নান্দনিক, অন্যপ্রকাশ, মাওলা ও অনন্যা। প্রচ্ছদশিল্পী : পীযুষ দস্তিদার। রাত পৌনে চারটা: ৪ ফর্মার নতুন কবিতার বই। কবিতাগুলো লেখা হয়েছে ২০১৫ সালে। এই পথ একার: দ্বৈত সংলাপের চারটি কবিতার বই। প্রায় ৭০টি কবিতা নিয়ে বের হচ্ছে প্রেমের কবিতা এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাহরাইন, কাতার, মাস্কাট, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ নিয়ে বই মেঘের আলোয়।
সারাবছর লেখক প্রকাশক বই প্রকাশ না করে এই একুশে বইমেলা এলেই বই প্রকাশের প্রতিযোগিতায় নামেন। বইমেলা কেন্দ্রিক বই প্রকাশকে আপনি কীভাবে দেখেন?
একুশের চেতনায় বইমেলাকে কেন্দ্র করে বই প্রকাশকে আমার ভালোই লাগে। উৎসব উৎসব ভাব। বাঙালি তো উৎসব প্রিয় জাতি।
একুশে বইমেলা বাংলাদেশের সাহিত্যে কী ধরনের প্রভাব ফেলছে?
সাহিত্যে প্রভাব ফেলে কি! লেখকদের দুটি আকর্ষণ থাকে, একটি নতুন বই প্রকাশের আকর্ষণ, অন্যটি বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কার। সাহিত্য কিছুটা এগোতে পারলেও পারতে পারে।
একুশে বইমেলা প্রকাশনা শিল্পে তরুণদের উৎসাহিত করার ব্যাপারে কী ধরনের ভূমিকা রাখছে বলে আপনি মনে করেন?
মনে করি, একুশের বইমেলা তরুণদের উচ্ছ্বাসের নাম। কারণ প্রথম প্রকাশিত বই মানে প্রথম সন্তান পাওয়ার আনন্দ নিয়ে আসার মতো। কিন্তু আনন্দ কি তরূনরা পায়? পায় না, যেহেতু অধিকাংশের বই প্রকাশিত হয় নিজের টাকা দিয়ে প্রকাশকদের মাধ্যমে। বেদনাটা এখানেই শেষ নয়, বইটি আবার তাকেই পুশিং করতে হয়। সেই জন্যই বলি, সামান্যই প্রভাব ফেলে।
প্রকাশনা উপকরণের সহজলভ্যতার কারণে যে কেউ ইচ্ছা করলেই বই প্রকাশ করতে পারেন। এতে বছর বছর বাড়ছে বইয়ের সংখ্যা। বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মান বৃদ্ধি ঘটছে না বলে অনেকেরই অভিযোগ; বিষযটাকে আপনি কী ভাবে দেখেন। বই প্রকাশের ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন আছে কি?
বাংলাদেশে যেমন ফুটপাত অগোছালো, তেমনি বই প্রকাশের ক্ষেত্রেও অগোছালো ভাব আছে, ভবিষ্যতে গোছালো হতে পারে।