লোকসঙ্গীতশিল্পীরা তাদের চিন্তা-ভাবনায় সামাজিক দৃশ্যমান কিংবা অদৃশ্যমান চিত্রকেও সঙ্গীতের অনুষঙ্গ বানিয়ে সৃষ্টিসম্ভারকে আরও শাণিত করেন। সঙ্গীত সৃজন হয় একজন শিল্পীর বাহ্যিক জগতের কোলাহল, অন্ধকার বা স্তব্ধ জীবনকে ভেঙে নতুনভাবে সৃজন করার প্রত্যাশায়। পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন লোকসাহিত্য বিদ্যমান। সে সব দিক থেকে লোকালয়ের অনেক উপাদান লোক কবিদের সঙ্গীতে থাকাটা কঠিন বিষয় নয়। সে জন্য এসব লোক কবির সঙ্গীতের মধ্যে আঞ্চলিক বিষয়টি বিদ্যমান; যা তাদের সঙ্গীতকে আরও উচ্চকিত করে তোলে।
শাহেন শাহের সঙ্গীত আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয় জীবনতরীর সঙ্গে যা আমাদের বৈচিত্র্যময় জীবনের প্রতিচ্ছবি। অঞ্চলের মৌলিকতা তাদের সঙ্গীতের মুখ্য বিষয় হলেও তাদের এই সৃজনশীল চর্চার মধ্যে নিহিত থাকে চিন্তার দর্শন। নর-নারীর কামনা বাসনার, প্রেম-বিচ্ছেদের ভাবনা একসময় লীন হয়ে নিজ সত্তায় পরিণত হয়। তখন আর তাদের মধ্যে নর-নারীর জৈবিক কোনো কামনা বাসনা থাকে না, তা আশুক আর মাশুকে পরিণত হয়। প্রেম তখন স্বয়ং সত্তায় পরিগণিত হয়। শাহেন শাহের সঙ্গীতে তা লক্ষণীয়:
প্রেমে বিভোর প্রেয়শীর মন,
প্রিয় রূপে আত্মগোপন—
কামিনী কানন।
যার প্রেমে সে দিশেহারা-
ভরা মৌবনে।।আমি থাকলে আছো তুমি,
তুমি নাই কিসে গো আমি—
প্রেমো বৃন্দাবনে।
জটিলময় জীবনকে এক স্বস্তি দেওয়ার কাঙ্ক্ষায় মানুষ সঙ্গীতের সঙ্গে নিজের যাপনচিত্রকে চিত্রায়িত করে। উপমা, বাক্য, কথা, প্রতীক আর নিগূঢ় তত্ত্ব কথার বাণে মানুষকে মুগ্ধ করে সাধারণ মানুষও হয়ে ওঠে অসাধারণ এক মানুষপুরুষ। যার সঙ্গীতে তখন প্রকাশিত হয় অধ্যাত্ম বস্তুবাদ। বস্তু সেই বিষয়, যা একজন মানুষকে যুক্তি দিয়ে মুক্তির পথ প্রদর্শন করে। যিনি কূলহারাকে কূলের সন্ধান বাতলে দেন, তিনিই তো একজন বস্তুধারী গুরু বা সাধক। এজন্যই সুফিবাদ বা বাউল ধর্ম গুরুবাদী ধর্ম। এখানে গুরুর সান্নিধ্য পাওয়াটা খুব দরকারি। এতে যেমন ইহজাগতিক সাফল্য আসবে, তেমনি পরজগতেও চরম-পরম সার্থকতা বিরাজ করবে। যারা সঙ্গীত সৃজন করেন তাদের অন্তর জগতে মৌলশক্তি উত্থাপিত হয়। যে কারণে তারা সৃজন করেন সৃষ্টিশীল সঙ্গীত যেখানে প্রাত্যহিক জীবনের নানা গঞ্জনাময় জীবন যেমনটা প্রবেশ করেন, তেমনই সুখময় জীবনও। মুক্তির নেশায় এই সত্যাসন্ধানী সাধন পুরুষদের প্রবেশ করায় সেই নিগূঢ় দেশে যেখানে জীবনেরই সূক্ষ্মতিসূক্ষ্ম জীবনানুষঙ্গ, প্রেম-বিরহের নিত্য যাতায়াত।
সাংখ্য, যোগ, চার্বাক, জৈন, গৌড়ীয়, বৈষ্ণবসহ অন্যান্য ঐতিহ্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে যে সব সুফি সাধকের আগমন ঘটেছে তাদের ভারতের আধ্যাত্মতত্ত্ব বা সাধনার প্রভাবকে হাতছাড়া করে নিজেদের সাধনাকে প্রচার করা সম্ভব ছিল না। তাই পারস্য সুফিতত্ত্বের সঙ্গে এদেশীয় ঐতিহ্যিক বিষয়গুলোর মিশ্রণ ঘটে হয়ে উঠেছে তা একান্তই দেশীয়। সহজিয়া বাউল সাধনার মধ্যে রয়েছে প্রাচীন যোগসাধনা বা সুফিসাধনার প্রভাব, বাউলদের সঙ্গীতেই যার স্পষ্ট প্রভাব লক্ষ করা যায়। তারা তাদের সঙ্গীতে উপমা প্রয়োগেও সেই সাক্ষ্য রেখে চলেছেন। আল্লাহ্-নবী, মুর্শিদ, গুরু প্রশস্তি, প্রেম, প্রকৃতি, ধারা-কৃষ্ণ, পীর-মুর্শিদ, মিলন-বিচ্ছেদ, ভাটিয়ালী ইত্যাদি বিষয়কে উপজীব্য করে সঙ্গীত রচনা করেছেন শাহেন শাহ্।
শাহেন শাহ্ (১৯৭৯) জন্মগ্রহণ করেন যশোর জেলার সদর থানার হাশিমপুর গ্রামে। তার বাবার নাম কেরামত আলী বিশ্বাস; মা শাহিদা বেগম। তিনি বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান। বাল্যকাল থেকেই তিনি এই সৃষ্টিজগতের অপার সৃষ্টিলীলা নিয়ে ভেবেছেন এবং অন্যকে প্রশ্নের বাণে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছেন। উত্তরসূরি হিসেবেও তিনি একজন সঙ্গীত পরিবারের সন্তান। মা ছিলেন ঝিনাইদহের বিখ্যাত সঙ্গীত সাধক বাহাদুর শাহের নাতনী। যিনি এক সময় কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, যশোর, নড়াইল, মাগুরা তার মাইজভাণ্ডারি ভাবসঙ্গীতে মাতিয়ে রেখেছিলেন। তার পূর্ব নাম বাহাদুর মোল্লা হলেও তিনি পরবর্তী সময়ে বাহাদুর শাহ্ নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন। বাহাদুর শাহ্ স্ত্রীর কথায় এক সময়ের লাঠিয়াল জীবন পরিত্যাগ করে সাধু হওয়ার বাসনায় আগুনিয়া পাড়ার কিছমতুল্লাহর পরামর্শে নদীয়া জেলার হাতিকাটার পীর সৈয়দ আবু হায়দারের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এই পীরের নির্দেশেই ধর্মেকর্মে মনোনিবেশ করেন। এই পীর ছিলেন মাইজভাণ্ডারি মতের, তাই তিনি মাইজভাণ্ডারি গজল সঙ্গীতে সর্বদা নিমগ্ন থাকতেন। তিনি মাইজভাণ্ডারি সঙ্গীতের মধ্যেই নিমগ্ন থাকলেও লালন শাহ, পাঞ্জু শাহ্, দুদ্দু শাহ্ প্রমুখ সাধক পুরুষের সঙ্গীতও গায়তেন। তবে মাইজভাণ্ডারির প্রতি তার মনোযোগটা ছিল অনেক বেশি, যা তাকে সর্বদা এক মাতাল সঙ্গীত সাধক হিসেবে পরিচিত করে তোলে।
শাহেন শাহ্ ও ভাণ্ডারি তরিকার একজন ভাবসাধক। এই বাহাদুর শাহ্ই তার হৃদয়মঞ্জিলে স্বপ্নাদৃষ্ট গুরু রূপে বসে আছেন। তিনিই তাকে সুপথ দেখান। বাতলে দেন সত্যের পথ। সম্পর্কের দিক থেকেও বাহাদুর শাহ্- শাহেন শাহের বড় বাবা। এই সঙ্গীত পরিবারের সন্তান হওয়ায় মায়ের কাছেও তিনি বাজানের অর্থাৎ বাহাদুর শাহের অনেক গল্প বা গান মায়ের মুখে শুনতে শুনতে বড় হয়েছেন। কেননা মা (শাহিদা বেগম) সর্বদা বাহাদুর শাহের কাছেই থেকেছেন। পরবর্তী সময়ে বাহাদুর শাহ্ যখন ঝিনাইদহের রতনপুর ছেড়ে যশোর আসেন, মাও তার সঙ্গে যশোরে চলে আসেন এবং এই যশোরেই তাকে বিবাহ দেওয়া হয়। সেই সূত্রে শাহেন শাহের জন্মস্থান যশোর হলেও বর্তমান তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার তিন নং দিগনগর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা।
সকল সাধক কবিদের সাদৃশ্যের জায়গাটা সবার একই। তাদের সবারই সাধনা বা চিন্তার জায়গা একই যে কারণে, তাহলো নবী, রাসুল, গুরু, ঈশ্বর, মুর্শিদ বা গুরু বন্দনা তাদের সাধনার মুখ্য বিষয়। সৃষ্টিরহস্য উদ্ঘাটনে তারা সর্বদা নিজেদের মগ্ন করে রাখেন। পরমাত্মার সঙ্গে তারা কী করে নিজেদের লীন করে অমরত্ব লাভ করবেন, সেই বাসনায় মগ্ন থাকেন। সামাজিক পর্যায়েও তাদের প্রেমের মধ্যে কিংবা সামাজিক আচার আচরণের সঙ্গেও রয়েছে বৈসাদৃশ্য। যা তাদের নিজস্ব এক প্রকাশ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। তবে তারা যে সর্বময় একজন মানবপ্রেমিক হয়ে ওঠেন, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তারা সর্বধর্মের সমন্বয় সাধন চেষ্টায় মশগুল থাকেন এবং শাস্ত্রকে গৌণ বিষয় করে মানষকেই মুখ্য রূপ দিয়ে মানুষের জয়কীর্তন করেন। যেমনটা বলেছেন ভাবের সাধক লালন সাঁইজী:
মানুষ তত্ত্ব যার সত্য হয় মনে
সে কি অন্য তত্ত্ব মানে।
শাহেন শাহ্ও মানবতত্ত্বের অন্তর জগতে খুঁজে ফিরেছেন সেই অজানিত পরম পুরুষকে, যে তাকে নিজ অস্তিত্বের সন্ধান দিয়ে নিজেকে নিমগ্ন করবে। আসলে আমরা বাউল, সহজিয়া, মারেফতি, মুর্শিদি, ফকিরি, যা কিছুই বলি না কেন, তাতেই রয়েছে গুরুবাদী দর্শন; যা এক জটিল জীবন অতিবাহিত জীবনপন্থা। যাকে ফকিরি মতে, জ্যান্তমরা বলা হয়। শাহেন শাহ্ও তার সঙ্গীতে বলেছেন এই জ্যান্ত মরার কথা:
জ্যান্ত মরা কি সহজ কথা
মরিয়াছে কায়েস পাগলা
হয়ে লাইলার প্রেম ভক্তা
তিনি গভীর তত্ত্বকথা অতি সহজ-সরলভাবে উপস্থাপন করে সঙ্গীতকে এক সরল ভাষায় রূপায়িত করেছেন। আর ইন্দ্রিয় কিংবা অতীন্দ্রিয় বিষয়কে নানামুখী ব্যাখ্যায়িত উপমা প্রয়োগে, নিজস্ব এক সত্যানুসন্ধানী হয়ে বোধের জাগরণ কিংবা সমন্বয়ের এক অনুঘটক হয়ে বহুরূপ ধারণ করেছেন। যেখানে তিনি একজন সাধক পুরুষরূপে নিরন্তন মানবকল্যাণের চেষ্টায় নিজেকে নিবেদন করেছেন। যেখানে কোনো সাম্প্রদায়িকতা বা মনে কোনো হীনম্মন্যতা নেই। জাতপাতের ঊর্ধ্বে তিনি এমন এক সমাজ সৃজন করতে চান, যেখানে ‘শ্রেণীদ্বন্দ্ব নাহি রবে’। এক সম্প্রীতির সমাজ সৃজন হবে আর সঙ্গীতের মোহনায় সবাই তরঙ্গায়িত হবে। বিচ্ছিন্নবাদরোধ হয়ে সম্প্রীতির পরিচয় দিলেই সব লোক-কবিদের জীবন সার্থক। শাহেন শাহ্ সঙ্গীত রচনায় গভীর মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন, যেখানে শব্দচয়ন, উপমা, সুরের বৈচিত্র্য, প্রতীক, রূপক প্রয়োগে তিনি একজন সিদ্ধপুরুষ, যার প্রমাণ মেলে প্রতিটি সঙ্গীতের পরতে পরতে:
১.
নূর নবীর মাদ্রাসায় দাখিল হলে সরলে-
মেরাজের পুঁথি খানা দেয় অন্তরে।
আওলাদে-রাসুল আমার মুর্শিদ চাঁদ্রে।।মেরাজের বয়ানে, পাকজাতের শানে—
রণে বনে ধ্যানে জ্ঞানে করে মাস্তানা।
পাকেতে পাক্পাঞ্জাতন,
যে তনে সাঁই নিরাঞ্জন—
এ ছাড়া অন্য পড়া পড়ায় না অন্তরে।।ইশারায় লেখা পড়া, নিশানাই দৃষ্টি করা—
আদমের দমের পথে করাই পাহারা।
চোর ছেড়ে ধর সাধু,
তার ভিতরে দীনু বন্ধু—
এ ভব সিন্ধু বন্ধু নিবে ত্বরা-তরে।।দয়াল তাকালে বদনে, পলক রয় পিছনে—
আঁকা বাঁকা পথে রথে করে রওয়ানা।
কিছুতেই না যায় ধরা,
ভক্তিতে পাগল পারা।
শাহেনশাহর ভক্তি যোগ আর হলো না কপালে।।২.
কবে হবে আমার—
মনের মত মন।।
যে মনেতে বসত করে—
সাঁই নিরাঞ্জন।মন জ্যোতি মন গতি
মন বুদ্ধি বল,
এ ধনাতে জমা থাকে রে—
পরম সম্বল।
ষোল আনা তবিল খানায়—
মুনা মহাজন।।ষোল আনা, তবিল হলে
ভরির হিসাব হয়—
আশি ভরি দীন মুজুরি
তবিলে জমা রয়।
চারি দশে দিন সমীপে
মনে মন ওজন।।ওজন শেষে, ভিশন বাঁশে
হয় রে শোভাময়
শাহেনশাহ্ কয় সে লগন বুঝি
এ কপালে নাই।
আমি কবে হবো সু-মনের ‘মা’-
জনমের মতন।।৩.
এ কি করিলি এক কলস দুগ্ধে
গো-চোনা মিশেলি।।
সাঁই এর দীল দরিয়া
বিষে বিষেলি।আসমান জমিন পাহাড় পর্বত
নারাজ হয় বিধির শর্ত,
উড়ে এসে জুড়ে নিলি
বে-খেয়ালী।।সামনে পেয়ে মানের চাঁপান-
মাথায় নিলি সমানে-সমান,
খাবিনে তা মাখালি কেন-
বে-সামালী।।মান হারালি কালিদায়,
হুশ হারালি বে-হুশের ন্যায়,
শাহেনশাহ্ কয় নিক্তির কাঁটায়-
মন তুই জুয়াড়ী।।৪.
যার মন যেমন সে হয় তেমন।।
(ওরে) করণে কারণ খতিলে-
খেতাবধারী মহাজন।হয়ে স্রষ্টার সেরা সৃষ্টি-
স্বভাব রভাব তোমার কৃষ্টি,
(ওরে) নিথর-পনা, ইতর-পনা-
মূলের ঘরেই আয়োজন।।রহিম রহমান পতিত পবন-
মন তোমাতেই পাই নিদর্শন,
(ওরে) গুণ বিচারে, পাই তোমারে-
ক্বাহারু রূপেই বিরাজন।।মন হয়েছে মনের মত-
তুমি হও তার অনুগত,
(ওরে) শাহেনশাহ্ কয়, নিত্য সত-
কর যোজন বিয়োজন।।৫.
মা’তনে বা’তন খবর।।
জ্বলে রূপের বহর,
বহে নূরের নহর,
মন করে দেখ বারেক নজর।দেখা যায় দেখানো যায় না-
শোনা যায় শোনানো হয় না,
মন নিকেতনে, প্রেম নিবেদনে-
চমক প্রমদে নাজুক অহর।।বামে ঈড়া, ডানে পিঙ্গল-
শুষম্মায় লও নাওয়ের খৈয়াল,
সুফলা ফলে সোজা পথ হলে-
অধরা চাঁন্দের নিশীর প্রহর।।উলু বনে মুক্তা বুনলে-
ফল হবে না কোন কালে,
শাহেনশাহ্ কয় বে-জাতি হলে-
কাল্ জ্বরায় জ্বরবে গতর।।
কোনোভাবেই আমরা মানব জীবনকে অস্বীকার করতে পারি না। এ জীবনের গভীর বিচ্ছেদ আর মিলনের পথ ধরে আমাদের অগ্রসর হতে হয় অজানা পৃথিবীর পথে। যেখানে ঈশ্বরের স্থানিক আবাস কিংবা তার আত্মমূল্যায়নের কেন্দ্রবিন্দু। আত্মবিচারের চেতনা জারিত পরমপুরুষ সেখানেই থাকেন কিংবা থাকেন না। সেই পরমার্থকে পাওয়া কিংবা অধরাকে পেয়ে মহামিলনের আকাঙ্ক্ষায় নিজেকে মত্ত করা-ই গীতিকার, কবি, শিল্পীদের কাজ। এভাবেই প্রতীকী রূপ ব্যবহার করে তারা অজানা আধারকে ধরার জন্য শৈল্পিক রূপ দান করে। যেখানে প্রিয়া বা প্রেম আধার মাত্র। এই আধারকে হাতড়েই ধরতে হয় প্রকৃতিকে। যেখানে থাকে মিলনের বাসনা বা না পাওয়ার বিচ্ছিন্নতাবোধ। সবকিছু মিলেই যেন শাহেন শাহ্ একজন স্বার্থক ভাবসাধক। যার সঙ্গীতই প্রমাণ করে তার অবস্থান। যা সংক্ষিপ্ত পরিসরে মূল্যায়নের অন্তরালে অবমূল্যায়নেরই নামান্তর।