এ রকম মৃত্যু নিয়ে লিখতে আজকাল অনেক কঠিন মনে হয়! লোকটি কদিন আগেই লেখা চেয়ে ফোন করলেন আমাকে। আজ আমি সেই নম্বরে কল করলে, ফোনটি রিসিভ করছে, কবির ছেলে!
আরুণ দা, আপনার বইগুলো আবার পড়ব, ‘ঋতপত্র’ শেষ সংখ্যাটি এখন আমার হাতে । কাগজটি আমি পেয়েছি কি না জানতে এবং ফের কিছু লেখা যেন পাঠাই তা জানিয়েছিলেন। কিন্তু আপনার ছেলে বলল, আমরা এখন গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি, সেখানেই বাবার দাহ করছি!
আর, কবি অরুণ সেন বললেন, ‘হো হো হো হো হো হো, চিনিস না শালা, আমি অপমৃত্যু / কী রকম ভূত হয়ে তোদের খতম করছি দ্যাখ।’ কবি আরও বললেন, ‘এ আমি কী দেখছি, এতে দেখি / হিসেবের রোগা দেহে স্বচ্ছতার প্রকৃষ্ট থুৎকার।’
শুধু কবিতায় নয়, আরুণ সেন ছিলেন ছোটকাগজ প্রকাশে নির্মোহ এবং নিবেদিত সম্পাদক । তাঁর ‘ঋতপত্র’ আমাদের মাঝে দীপ্তি ছড়িয়েছে বহু লেখকের লেখা প্রকাশের চাহিদায়। একই সরল আন্তরিকতায় কাগজটির প্রতিটি সংখ্যা প্রয়োজনের বর্ণনায় বেঁধে রাখতে হয় ।
তাই, নিজের লেখালেখি ও ছোটকাগজের জন্য নিজেকে সবময় উৎসর্গ করলেও অনেক বড় প্রেক্ষাপটে সমাজকে দেখার চোখ-মন ও আন্তরিকতা ছিল শ্বেতপাথরের মতো উজ্জ্বল ।
অতএব, এমন উজ্জ্বল মানুষের জীবনাবসান হয় না, কর্মক্লান্তি হয়!