স্বপ্ন আঁকি
আমরা শিশু আলোক-জ্যোতি ভবিষ্যতের কর্ণধার
বৈরীতাকে পাশ কাটিয়ে গাইবো গীতি সাম্যতার
তোমরা যাঁরা স্বপ্ন এঁকে এই আমাদের করছ খোঁজ
আমরা যেন সেই আশাতেই হন্যে হয়ে ঘুরছি রোজ।
দিনবদলের ধারা মেনেই সবকিছু জয় করতে চাই
তোমরা মাঝি! হাল ধরেছ আর আমাদের ভাবনা নাই
প্রাণের সাথে প্রাণ মিলিয়ে চলবো ছুটে দিকবিদিক
বিবেক বোধের জলছবিতে আঁকবো ছবি নান্দনিক।
আমরা শিশু হলুদকুঁড়ি স্বপ্ন ভরা মন আকাশ
চলার পথে তোমরা দেবে বিশ্বজয়ের পূর্বাভাস
নন্দিত দিন ডাকবে কাছে কাটবে আঁধার ভাঙবে ভুল
সঠিক পথের দিশা পেলে আমরা হবো আলোর ফুল
রাত পেরিয়ে আসবে সকাল হাসবো সবাই আনন্দেই
শুচি আলোর রঙিন ছোঁয়ায় দুঃখ যাবে নিমেষেই
আমরা শিশু, স্বপ্নচারী স্বপ্ন আঁকি সারাদিন
হোক তা যতোই আগোছালো জেনো সে নয় অর্থহীন
এই আমাদের স্বপ্ন ছুঁয়ে দূর পাখিরা গাইবে গান
লিখবো শত স্বপ্নগাথা কালজয়ী সব উপাখ্যান
সত্য ন্যায়ের মশাল হাতে চলবো ছুটে বীর পথিক
মানুষ হবো, এ-ই তো আশা, না-ই বা হলাম দার্শনিক
বিশ্ব এখন প্রযুক্তিময় সভ্যতা যে সঙ্গী তার
আমরা হবো দক্ষ নাবিক, এই আমাদের অঙ্গীকার!
লোকটা
আজব দেশে করতো বসত অদ্ভুতুড়ে একটা লোক
কথায় কথায় কাঁদতো বেজায় বাড়তো বুকে কষ্ট শোক
অলসতায় কাটতো সময় করতো না সে কোনই কাজ
শুনলে কারো খুশির খবর মাথায় যেন পড়তো বাজ
খাপছাড়া সেই লোকটা ছিল ভীষণ রকম ধান্দাবাজ।
ইচ্ছে হলেই চুপটি বসে পরতো মাথায় মোমের তাজ
একটু বকা দিলে কেহ চোখের পানি ঝরতো খুব
শ্যাওলা ভরা জলপুকুরে একশ হাজার দিতো ডুব
মিথ্যে কথা বলতো বেজায় ছিল না তার একটু ভয়
শুয়ে-বসে কল্পনাতে ঘুরতো সারা বিশ্বময়
স্বভাব দোষেই বিফল হলো খাপছাড়া তার জীবনটাই
অবশেষে বুঝলো ঠিকই কাজ ছাড়া আর মূল্য নাই।
বুঝি না তো
ডালিম গাছে বসে দোয়েল শিস দিতো যে নিত্যদিন
দেখে খুকু নাচতো সুখে বাজতো পায়েল রিনিকঝিন
আজকে খুকুর মন ভালো নেই, নেই আঙিনার গাছটি আর
দোয়েল পাখি অভিমানে তাই ছিঁড়েছে মায়ার তার
টুনটুনি ও বুলবুলি ছা উড়ে গেছে কোথায় হায়
খুকুমণি একলা বসে ভাবছে চুপি নিরালায়
পাখি আহা গানের পাখি ঘুম ভাঙানোর মিষ্টি সুর
আমরা অবুঝ, নিষ্ঠুরতায় দেই তাড়িয়ে অনেক দূর
বনবনানী উজাড় করে আমরা ওদের করছি পর
বুঝি না তো ওদের বুকেও ব্যথা বাজে নিরন্তর।