জন্মদিনের নিমন্ত্রণ
এক যে ছিল কাঠবিড়ালী গাছের তলায় এসে
এক দুটি ফল খায় কুড়িয়ে যায় চলে সে হেসে।
শ্যাম ছিল খুব বন্ধু প্রিয় বললো ডেকে তারে
এত কী কাজ, যাচ্ছ চলে চেয়ে আড়ে আড়ে।
কালকে আমার জন্মদিনে তোমার নিমন্ত্রণ;
আসবে শালিক, কোয়েল, টিয়ে, ঘুঘুর আলাপন
চাকদোয়েলে নাচবে ফুলের মাচায় ভরা ঝিঙে
গান শোনাবে ময়না-তোতা-চন্দনা ও ফিঙে,
মৌটুসি, টুনটুনি, শ্যামা, কোকিল সাথে কাক
আসবে তুমি দেখবে উড়ে হরেক পাখির ঝাঁক।
রাঁধতে পারে মা-মনি খুব থাকবে সালাদ ফল
টক মিস্টি নোনতা স্বাদে আইস লেবু জল।
দোলনা বেতের বন্ধু পুবের বারান্দাটা খোলা
ফুল ফুটেছে টবে, আছে সাধের নাগরদোলা।
সোনা যাদুমনি
খুকুরে তোর খেলনা পুতুল কে করেছে চুরি!
আমি তোকে এনে দেবো হাজার ভুরি-ভুরি।
আলতা-কাজল, মাথার ফিতে, পায়ে নূপুর-মল ,
পুঁতির মালা-কাঁচের চুড়ি চোখ কেন টলমল?
রঙিন জামা, জুতো, বাঁশি ছড়া ছবির বই
সাত সকালে খাবে খুকু গুড়মাখা খই-দই।
আর কী খুকু বল আমারে রেশমি চাদর চাস?
ডুরে শাড়ি টিয়ে রঙের নকশি আঁচল বাস?
আমি তোকে দিতে পারি হাজার তারার মালা,
গজমতির হারের সাথে সোনার গোলাপ বালা।
টিকলি দেবো, হাঁসলি গলে, ঢাকাই কাতান শাড়ি
গড়বো সোনা যাদুমনি সবুজ বাগান বাড়ি।
সেই বাগানে চাঁদের আলো ফুলের ছড়াছড়ি
পাখির গানে নিত্য খেলা পড়ার বেলা পড়ি।
আয় পাখি ডাকে শ্যাম
জোড়া পাখি ডোরা পাখি সাথে কাছে গাঁয়
ছানা পোনা যারা আছে খাবে যদি আয়।
চালে ডালে রাঁধা ভাতে মজা করে খাবে
কিছু যদি লাগে ভালো ঠোঁটে নিয়ে যাবে।
ছোট পাখি চুনি-মুনি ডাকি তোরে আয়,
ঠোঁটে যদি লালে ভরে দুচোখে পাতায়-
কাজলেতে রেখা এঁকে নূপুর দু’পায়,
শাম ডাকে সখী পাখি কাছে আয় আয়।
এই বিভাগের আরও লেখা পড়ুন: কাকতাড়ুয়া ॥ জহিরুল ইসলাম